খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সংঘাতের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার এবং আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও তিনটি বামপন্থী সংগঠন। আজ বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে এ জোট ও সংগঠনগুলোর নেতারা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

এর আগে বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশ জাসদ, জাতীয় গণফ্রন্ট ও গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির কেন্দ্রীয় নেতারা খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালা (মগপাড়া), স্বনির্ভর বাজার, গুইমারার চেঙ্গুলিয়া ও রামুসে বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা সকালে সিঙ্গিনালায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার বিস্তারিত জানেন। এরপর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন ও সরকারের লিগ্যাল এইড কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ধর্ষণ ও হামলার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত, দোষীদের শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং বিচারপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান।

বিকেলে প্রতিনিধিদল গুইমারার রামুসে বাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ঘুরে দেখে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে। পরে চেঙ্গুলিয়া এলাকায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তাঁরা।

বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বজলুর রশীদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী (ক্বাফী রতন), বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, কমিউনিস্ট লীগ নেতা নজরুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নেতা আবদুল আলী, জাতীয় গণফ্রন্টের নেতা রজত হুদা, কামরুজ্জামান ফিরোজ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নেতা হারুন অর রশীদ, মার্জিয়া প্রভা, সত্যজিৎ বিশ্বাস ও সাঈদুল হক।

পরিদর্শন শেষে বিবৃতিতে নেতারা বলেন, মারমা কিশোরীর ধর্ষক ও হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। এ সহিংসতার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তাঁরা অভিযোগ করেন, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর হাসপাতালের ছাড়পত্র ওসির কেড়ে নেওয়ার ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এই নথি দ্রুত ভুক্তভোগীর পরিবারকে ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেড় থেকে দুই হাজার অজ্ঞাতনামা মানুষের নামে মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে প্রশাসনকে দায়িত্বশীল হতে হবে।

এ ছাড়া বিবৃতিতে পাহাড়ে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পাহাড়ি-বাঙালি নাগরিকদের সংযম ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এই চার জোট ও সংগঠনের নেতারা।

আরও পড়ুনখাগড়াছড়িতে গুলিতে নিহত ৩, গুইমারায় থমথমে পরিস্থিতি২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট, দোয়া চাইল বিএনপি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্ট নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, তাঁর বুকে সংক্রমণ ও হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ