প্রবীণ সাংবাদিকদের ভাতা দেবে সরকার
Published: 10th, October 2025 GMT
প্রবীণ সাংবাদিকদের ভাতা দেবে সরকার। ৬৫ বছরের বেশি বয়সি সাংবাদিকদের প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে সম্মানি দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সংক্রান্ত নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.
তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, “নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন উপদেষ্টা অনুমোদন দিলে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এরপর এটি গেজেটে প্রকাশিত হবে। অসচ্ছ্বল প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক সম্মানী ১০ হাজার টাকা বহাল রাখা হয়েছে।”
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নীতিমালার খসড়াটি নিয়ে এসেছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। খসড়ায় সম্মানী ১৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেয়। তবে মন্ত্রণালয় কমিয়ে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে। শেষ পর্যন্ত সেটিই বহাল থাকে।
প্রাথমিকভাবে বিভাগীয় ও জেলা শহরের প্রবীণ সাংবাদিকদের এ ভাতার আওতায় আনা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে এর পরিধি ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, এ সম্মানী পেতে কমপক্ষে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ৬৫ বছরের বেশি বয়সী সাংবাদিকরা আবেদন করতে পারবেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় জনতা ব্যাংকের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিয়ে শাখা ব্যবস্থাপক নিখোঁজ
পাবনার ঈশ্বরদীতে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিয়ে জনতা ব্যাংকের পাকশী শাখার ব্যবস্থাপক তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ ওই ব্যবস্থাপকের নাম খালেদ সাইফুল্লাহ। এ ঘটনায় ব্যাংকের ঈশ্বরদী করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মোহছানাতুল হক ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জিডি থেকে জানা গেছে, গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাকশী শাখার ব্যবস্থাপক খালেদ সাইফুল্লাহ ঈশ্বরদী করপোরেট শাখায় আসেন। আগের দিন শনিবার তিনি টেলিফোনে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজনের কথা জানান। শাখায় নগদ সংকট থাকায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা দেওয়া সম্ভব বলে জানানো হয়। এরপর তিনি বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে জনতা ব্যাংকের দাশুড়িয়া বাজার শাখা থেকে ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এরপর আবার ১১টা ৩৫ মিনিটে ঈশ্বরদী করপোরেট শাখায় এসে ১ কোটি টাকা নগদ অর্থ গ্রহণ করেন। টাকা গ্রহণের সময় আনসার সদস্য মাহবুব তার সঙ্গে ছিলেন।
যোগাযোগ করা হলে ঈশ্বরদী করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মোহছানাতুল হক জানান, প্রয়োজনীয় ভাউচার ও রেজিস্টারে স্বাক্ষর করার পর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে খালেদ সাইফুল্লাহ এবং আনসার সদস্য মাহবুব টাকা নিয়ে পাকশী শাখার উদ্দেশ্যে প্রাইভেট কারে রওনা দেন। গাড়ির চালক ছিলেন মো. ইসমাইল হোসেন। এরপর তিনি শাখায় পৌঁছে টাকা জমা দেওয়ার কথা জানান। কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকেই তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পাকশী শাখার সহকারী ব্যবস্থাপকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে জানা যায়, খালেদ সাইফুল্লাহ তখনো শাখায় পৌঁছাননি। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
জনতা ব্যাংকের দাশুড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক শাহিনুর রহমান বলেন, খালেদ সাইফুল্লাহ ব্যাংকের নিয়ম মেনে দাশুড়িয়া শাখা থেকে টাকা নিয়েছেন। নিখোঁজ ব্যবস্থাপকের সঙ্গে থাকা আনসার সদস্য মাহবুব জানান, ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঈশ্বরদী ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে এসে তাঁকে গাড়ি থেকে নামতে বলা হয়। এরপর তিনি গাড়ি থেকে নেমে গেলে, টাকা নিয়ে খালেদ সাইফুল্লাহ চলে যান।
নিখোঁজ খালেদ সাইফুল্লাহর স্ত্রী দিলরুবা বেগম বলেন, প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে তাঁর স্বামী বাসা থেকে বেরিয়ে ব্যাংকে যান। বিকেলে ঈশ্বরদী করপোরেট শাখার কর্মকর্তারা বাসায় এসে তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবর জানান। এর পর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি স্বেচ্ছায় কোথাও গেছেন, নাকি কেউ তাঁকে গুম করেছেন—তা তাঁরা নিশ্চিত নন।
জানতে চাইলে জনতা ব্যাংক পিএলসি রাজশাহী অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন জোয়ার্দ্দার বলেন, ঘটনাটি জানার পর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আবদুন নূর বলেন, ‘ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। আমরা নিখোঁজ ব্যাংক ব্যবস্থাপককে খুঁজে বেড়ানোর চেষ্টা করছি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি তদন্ত করছে।’