শিশুকে হত্যার পর গাছে উঠলেন যুবক
Published: 10th, October 2025 GMT
পটুয়াখালীর দশমিনায় সবুজ মৃধা (২৫) নামে মাদকাসক্ত যুবকের দায়ের কোপে শাফায়েত হোসেন (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন চারজন। ঘটনার পর জনরোষ থেকে বাঁচাতে চাম্বল গাছের মগডালে ওঠেন অভিযুক্ত। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তাকে নামিয়ে এনে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
যাত্রী বহনে রাজি না হওয়ায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম
চোরাই মোবাইল উদ্ধার অভিযানে ৫ পুলিশ আহত, আটক ৩
মারা যাওয়া শাফায়েত একই গ্রামের জামাল বেপারীর ছেলে। আহতরা হলেন- মুইন হাসান (৮), নাছিমা (৩২), মরিয়ম (৩২) ও বাবুল সরদার (৪৭)। অভিযুক্ত সবুজ তাদের প্রতিবেশী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সবুজ মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই পরিবার ও প্রতিবেশীদের ভয় দেখাতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী জামাল বেপারীর বাড়িতে প্রবেশ করেন তিনি। বাড়ির উঠানে যাকে সামনে পেয়েছেন তাকে দা দিয়ে কোপাতে শুরু করেন। পাঁচজন গুরুতর আহত হন। ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সবুজ নিজেকে বাঁচাতে দৌঁড়ে একটি চাম্বল গাছের মগডালে ওঠেন।
ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেওয়ার পথে শাফায়াতের মৃত্যু হয়। রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় সবুজকে গাছ থেকে নামিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
মৃত সাফায়েতের চাচা মো.
দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল আলীম বলেন, “মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আহত আটক
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় গলা কাটা ২ শিশু ও তাদের মায়ের মরদেহ উদ্ধার
বগুড়ার শাজাহানপুরের একটি বাড়ি থেকে দুই শিশুর গলা কাটা ও গৃহবধূর ওড়না দিয়ে গলা প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার খৈলশাকান্দি গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠির নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান
নিহতরা হলেন- একই গ্রামের শাহাদত হোসেন কাজলের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৫), তার দুই সন্তান সাইফ (৭ মাস) ও সাইফা (৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টায় পরিবারের সদস্যরা ঘরের বিছানায় দুই শিশুর গলা কাটা ও তাদের মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের ফুফু আলপনা জানান, পারিবারিক নানা বিষয়ে স্বামী শাহদতের সঙ্গে সাদিয়ার ঝগড়া লেগেই থাকত। শাহাদত গত শুক্রবার ছুটিতে বাড়ি আসেন। গতকাল রাতে এবং আজ সকালেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) হুসাইন মোহাম্মদ রায়হান বলেন, “আমরা ঘরের মধ্যে তিনটি লাশ পেয়েছি। দুই শিশুর গলা কাটা ছিল। তাদের মায়ের গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। তাদের লাশ খাটের ওপর ছিল। কে বা কারা তাদের হত্যা করেছে সে বিষয়ে আমরা এখনো পরিষ্কার না। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
তিনি বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, নিহতের স্বামী শাহাদাত ঘরের ভেতরে তাদের লাশ দেখার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে আমরা আমাদের হেফাজতে রেখেছি। এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে আমাদের তদন্ত চলছে।”
ঢাকা/এনাম/মাসুদ