জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক ও দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে বেশ আলোচনা। কাকে ইঙ্গিত করে তিনি এই পোস্ট দিয়েছেন, তা নিয়ে কৌতূহলী অনেকে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘বন্ধু, তোমার লাল টুকটুকে স্বপ্ন আর পতাকা একটা সিটের বিনিময়ে বিক্রি করে দিও না।’

আরও পড়ুনযুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নকে ‘চাঁদাবাজ’ বলায় নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা০৩ নভেম্বর ২০২৫

এরপরই শুরু হয় আলোচনা। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, ‘একটা দলের নেতারা দিনের বেলায় হাঁকডাক ছাড়ে, দিনভর বিএনপিরে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে; আর রাতের বেলায় বিএনপির নেতাদের বাসায় গিয়ে ধরনা দেয়! মিডিয়ায় গলাবাজি করা আপসহীন ওই নেতা এবং তাঁর ইমাম সাহেব গত পনেরো দিনে বিশটা সিটের জন্য বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন সাহেবের বাসায় তিনবার মিটিং করেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলামের বাসায় ধরনা দিয়েছেন এখন পর্যন্ত একবার!’

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি যখন দলগুলো নিচ্ছে, জোট গঠনের আলোচনাও যখন চলছে, তখন জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বের কাতারে থাকা এই দুজনের পোস্ট তাঁদের পুরোনো সহযোদ্ধাদের নিয়ে, এমন ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এক বাক্যে পোস্ট শেষ করলেও আবদুল কাদের দিয়েছেন দীর্ঘ বক্তব্য। তিনি লিখেছেন, ‘আসন সমঝোতায় বেটার নেগোসিয়েশনের কৌশল হিসেবে এমন উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন ওই তথাকথিত আপসহীন নেতা। আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে ওই নেতা আবার সেটা বলেও বেড়াচ্ছেন। অথচ গণ-অভ্যুত্থানের পরের চিত্র কেমন ছিল! পুরানা রাজনৈতিক দলগুলা তরুণদের কাছে আসবে, তরুণ থাকবে ড্রাইভিং সিটে। কিন্তু খোদ ইমামরা গিয়ে বসে থাকেন বিশটা সিটের জন্য! আসন ভাগানোর কৌশল হিসেবে মিডিয়ায় গালিগালাজ করে বেড়ান; বাসায় গিয়ে বসে থাকেন; তবু আসন মিলে না! হা হা হা.

..’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন স র দ দ ন প টওয় র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামের ছেলেমেয়েরা অনুপ্রাণিত করল সেই রকম!

এ রকম যে হবে, আমি ধারণা করে রেখেছিলাম। তা–ই হলো। শিক্ষার্থীরা এসে বলতে লাগল, আপনার সঙ্গে আগেও দেখা হয়েছে। আগেরবার ছবি তুলেছিলাম। দেখুন, এই যে সেই ছবি। আমার এই বন্ধুটাও সেদিন আমার পাশে ছিল। আজকে দুই বছর পর, একই রকম করে আরেকটা ছবি তুলি।

চট্টগ্রামে কৃতী শিক্ষার্থী উৎসবে গেছি। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি প্রথম আলো কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব। উচ্চমাধ্যমিক জিপিএ–৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা। অনুষ্ঠান হচ্ছে ফয়’স লেকে। ১০ নভেম্বর ২০২৫ হেমন্তের মিষ্টি সকালে পাহাড়, গাছপালা, আর সরোবরের সৌন্দর্যে ভরা একটা সুন্দর পরিসরে। আর আছে নানা ধরনের রাইড।

কী ধারণা করেছিলাম? আমরা প্রথম আলোর পক্ষ থেকে মাধ্যমিকে জিপিএ–৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়ে থাকি। দুই বছর আগে যারা সেই সংবর্ধনা পেয়েছে, তাদের অনেকেই আবারও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিও–৫ পেয়েছে। কাজেই ওদের সঙ্গে এবারের দেখাটা হবে অন্তত দ্বিতীয়বারের মতো।

আর কিশোর আলোর অনুষ্ঠান আমরা নিয়মিত করেছি বেশ কয়েকবার, চট্টগ্রামে। অনেক শিশু–কিশোর সেসব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে। তাদের অনেকেই এবার বড় হয়ে উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ–৫ পাবে, এতে আমার কোনো সন্দেহ নেই। কাজেই ওদের সঙ্গেও দেখা হবে।

চট্টগ্রামে কৃতী শিক্ষার্থী উৎসবে বক্তব্য দিচ্ছেন আনিসুল হক। পাশে মুনির হাসান

সম্পর্কিত নিবন্ধ