রাজধানীতে আলাদা ঘটনায় নারীসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার
Published: 10th, October 2025 GMT
রাজধানীতে জাতীয় ঈদগার সামনের কদম ফোয়ারা সংলগ্ন ফুটপাথে থেকে অজ্ঞতানামা (৬৫) এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতের বিভিন্ন সময় শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শাহবাগ থানার উপর পরিদর্শক (এসআই) পারভেজ আহমেদ বলেন, “আমরা ৯৯৯-এ খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল জাতীয় ঈদগাহ মাঠের ফুটপাত থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত পৌনে ১০টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
এস আই পারভেজ জানান, নিহত বৃদ্ধ ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে অসুস্থতা জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন আইল্যান্ডের উপর থেকে অজ্ঞাতনামা (৫৫) এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস কবির বলেন, “রাত ৯টার দিকে আমার ডিউটি চলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনের আইল্যান্ডে কিছু লোকের ভিড় দেখে সেখানে উপস্থিত হই। সেখানে উপস্থিত লোকজন জানান, এখানে এক নারী ঘুমন্ত অবস্থায় মারা গেছে। তারা তাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। পরে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।”
এসআই ইলিয়াস কবির জানান, ওই নারী এখানে থাকতো এখানেই ঘুমাতো, ময়নাতদন্তে রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর পরিচয় জানার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তৃতীয় ঘটনাটি শাহবাগের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশের ফুটপাত থেকে অজ্ঞতনামা (৪০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক বলেন, “আমরা লোক মারফত খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ফুটপাতের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেহটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১টার দিকে ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।”
এসআই একরামুল হক জানান, মৃত ওই যুবক ভবঘুরে প্রকৃতির ছিল। শহীদ মিনারের আশেপাশের দোকানদাররাও তাকে চেনেন না। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে অসুস্থজনিত কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। তবুও ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। তার পরিচয় শনাক্তের জন্য (সিআইডি) ক্রাইম সিনকে খবর দেওয়া হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের মাধ্যমে হয়তো তার পরিচয় জানা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢাকা/বুলবুল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য শ হব গ তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
হবিগঞ্জে চোরাই মুঠোফোন উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার ৫ পুলিশ সদস্য
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা চোরাই মুঠোফোন উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শিবপাশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন নবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান (৩০), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোশারফ হোসেন (২৯), কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম (৩২), শাহ ইমরান (২৭) ও পল্টন চন্দ্র দাশ (২৫)। তাদের প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে কনস্টেবল শাহ ইমরানকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রুমন মিয়া (২৮) একটি চোরাই মুঠোফোন ব্যবহার করছেন বলে তথ্য পায় পুলিশ। মুঠোফোনের মালিক এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানার এসআই মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি দল উপজেলার শিবপাশা গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় মুঠোফোনসহ রুমন মিয়াকে আটক করা হয়।
তখন আটক রুমন উদ্ধার হওয়া মুঠোফোনটি তাঁর বলে দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুমনের ভাই মামুন মিয়া ও কয়েকজন নারী ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান বলে পুলিশের ভাষ্য। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন।
তবে আটক হওয়া মামুন মিয়া দাবি করেন, যে মুঠোফোনটি চোরাই বলা হচ্ছে, সেটি তাঁর ভাই রুমন মিয়া কেনেন অপর এক ব্যক্তির কাছ থেকে। তাঁর ভাই এ চুরির বিষয়ে কিছুই জানেন না।
এ ঘটনার পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামুন মিয়াসহ চারজনকে আটক করে বলে জানান নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে হাজির করা হবে।