রাজধানীতে জাতীয় ঈদগার সামনের কদম ফোয়ারা সংলগ্ন ফুটপাথে থেকে অজ্ঞতানামা (৬৫) এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতের বিভিন্ন সময় শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

শাহবাগ থানার উপর পরিদর্শক (এসআই) পারভেজ আহমেদ বলেন, “আমরা ৯৯৯-এ খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল জাতীয় ঈদগাহ মাঠের ফুটপাত থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত পৌনে ১০টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

এস আই পারভেজ জানান, নিহত বৃদ্ধ ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে অসুস্থতা জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন আইল্যান্ডের উপর থেকে অজ্ঞাতনামা (৫৫) এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস কবির বলেন, “রাত ৯টার দিকে আমার ডিউটি চলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনের আইল্যান্ডে কিছু লোকের ভিড় দেখে সেখানে উপস্থিত হই। সেখানে উপস্থিত লোকজন জানান, এখানে এক নারী ঘুমন্ত অবস্থায় মারা গেছে। তারা তাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। পরে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।”

এসআই ইলিয়াস কবির জানান, ওই নারী এখানে থাকতো এখানেই ঘুমাতো, ময়নাতদন্তে রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর পরিচয় জানার জন্য আমাদের চেষ্টা অব‍্যাহত রয়েছে।

তৃতীয় ঘটনাটি শাহবাগের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশের ফুটপাত থেকে অজ্ঞতনামা (৪০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক বলেন, “আমরা লোক মারফত খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ফুটপাতের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেহটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১টার দিকে ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।”

এসআই একরামুল হক জানান, মৃত ওই যুবক ভবঘুরে প্রকৃতির ছিল। শহীদ মিনারের আশেপাশের দোকানদাররাও তাকে চেনেন না। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে অসুস্থজনিত কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। তবুও ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। তার পরিচয় শনাক্তের জন্য (সিআইডি) ক্রাইম সিনকে খবর দেওয়া হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের মাধ্যমে হয়তো তার পরিচয় জানা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে।

ঢাকা/বুলবুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য শ হব গ তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা হবে : পুলিশ সুপার

নারায়ণগঞ্জে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা বিষয়ে মত প্রকাশ করেছেন পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন।

শনিবার (২২ নভেম্বর) মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন মামলার অগ্রগতি বিষয়ে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে অক্টোবর মাসে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা কম সংগঠিত হওয়ায় অফিসার ইনচার্জদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

চুরি, ছিনতাই, দস্যুতা এবং ডাকাতির ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য তিনি রাত্রি বেলায় পুলিশের টহল জোরদার এবং হাইওয়েগুলোতে হাইওয়ে পুলিশের সাথে সমন্বয় রেখে ক্রস পেট্রোলিং করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। 

এছাড়াও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রাথমিকভাবে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী এবং বঞ্চিত নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

পুলিশ সুপার মহোদয় আরও বলেন, “সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, আড়াইহাজার থানা এবং পুলিশ লাইন্স থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারের জন্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।” ইতিমধ্যে লুন্ঠিত এসব অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারে তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হবে বলে তিনি ঘোষণা করেন।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অক্টোবর/২৫ মাসের বিভিন্ন মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে উপস্থাপন করেন। 

আলোচনা সভা শেষে পুলিশ সুপার জেলার শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসেবে আড়াইহাজার থানার এএসআই মামুনুর রশিদ, রূপগঞ্জ থানার এসআই জয়নাল আবেদীন, ক্লু লেস মামলা ডিটেকশনে বিশেষ দক্ষতার জন্য ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মোঃ রফিক, অর্পিত দায়িত্ব কৃতিত্বের সাথে সম্পাদনের জন্য সদর কোর্ট, নারায়ণগঞ্জ এএ কর্মরত ইন্সপেক্টর জনাব মোঃ আব্দুল কাইয়ূম, গুরুত্বপূর্ণ মামলা সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তি করার জন্য সদর মডেল থানায় কর্মরত ইন্সপেক্টর মোঃ জামাল উদ্দিন, বাৎসরিক ফায়ারিং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এসআই কাজল মিয়া, ১০ বছরের সাজা প্রাপ্ত ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি গ্রেফতারের জন্য রূপগঞ্জ থানায় কর্মরত এএসআই মোঃ শাহারুল ইসলাম এবং সাহসিকতার সাথে কর্তব্য পালনের জন্য আড়াইহাজার থানার ড্রাইভার মোঃ হাওলাদার লপ্তি-দের পুরস্কৃত করেন।
এসময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, “গ” সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপারসহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সিআইডি, নৌপুলিশ ও টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ পরিদর্শকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা হবে : পুলিশ সুপার