আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কেন্দ্রীয় এলাকা আবদুল হক স্কয়ার নামের এক জায়গায় পাকিস্তান গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিমান হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এমনটাই বলা হয়েছে।

আফগানিস্তানের ইসলামি আমিরাত সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বিমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘কাবুলে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। কেউ হতাহত হয়েছেন বলে জানা যায়নি।’

আবদুল হক স্কয়ার থেকে শেরে নাও এলাকা এই প্রতিবেদকের হোটেলের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। দুটি জায়গাই কাবুলের মোটামুটি কেন্দ্রস্থলে বলা চলে। তবে গত রাতে কোনো বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনেননি এই প্রতিবেদক। হোটেলের কর্মীরাও কোনো বিস্ফোরণের শব্দ শোনেননি বলে জানান।

তবে অঞ্চলের খোঁজখবর রাখেন এবং বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে কাজ করেন, এমন একজন ট্যুর গাইড হোটেলের অভ্যত্থনা রিসেপশনে দাঁড়িয়ে চাপা গলায় বলেন, পাকিস্তান এ হামলা চালিয়েছে। আবদুল হক স্কয়ারে তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) এক নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে।

টিটিপির যে নেতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিমত, তিনি হলেন টিটিপির অন্যতম প্রধান নেতা মুফতি নুর ওয়ালি মেহসুদ। তাঁর কিছু হয়েছে কি না, তা নিয়ে কাবুলে সাংবাদিকদের মধ্যে আলোচনা হলেও বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি। আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন করবে বলে জানিয়েছে।

কাবুলে এই প্রতিবেদকের গাইড, অনুবাদক ও সাংবাদিক হাসমত স্থানিকজাই বলেন, তিনিও বিস্ফোরণের কোনো শব্দ শোনেননি। তাঁর বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে।

হাসমত বলেন, মেহসুদের আঘাত লেগেছে কি লাগেনি, সেটা খুব বড় কথা নয়। শহরের মানুষ কিঞ্চিৎ উত্তেজিত যে বিষয়টি নিয়ে তা হলো, এ হামলা যেখানে হয়েছে, সেটা কাবুলের একেবারে কেন্দ্রে, আর্গ অঞ্চল থেকে ১০০ বা ২০০ মিটার দূরে। এখানে প্রেসিডেন্ট ভবন রয়েছে। এর পাশেই রয়েছে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বিষয়টি উদ্বেগের।

তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান আবদুর রহমান খান উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রেসিডেন্ট ভবনের উদ্বোধন করেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত এখানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন আশরাফ গনি। হাসমত বলেন, আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর করার সময়ই এ ঘটনা প্রমাণ করছে যে বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছে না পাকিস্তান।

পাকিস্তান গত সেপ্টেম্বর মাসে জানিয়েছিল, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর টিটিপি ধারাবাহিকভাবে সীমান্ত অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে। পাকিস্তান সরকার সরাসরি আফগানিস্তানকে সাবধান করে দিয়েছিল।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দৃশ্য। ৯ অক্টোবর ২০২৫, কাবুল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন র

এছাড়াও পড়ুন:

মুখে না বলেও পুরুষেরা যেভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করেন

১. তাঁরা নিয়মিত পাশে থাকেন

যেসব পুরুষ নীরবে গভীরভাবে ভালোবাসেন, তাঁরা ভালোবাসার মানুষের শুধু ভালো সময়ে নয়; প্রয়োজনের মুহূর্তে, ব্যস্ততম দিনে, এমনকি ঝামেলার মধ্যেও পাশে থাকেন।

প্রিয়জনের পরীক্ষা, ভাইভার দিন কিংবা চাকরির ইন্টারভিউয়ের মুহূর্তে তিনি প্রথমেই মনে রাখেন, বার্তা দেন, ‘চিন্তা কোরো না, তুমি পারবে।’

প্রিয় মানুষটি যদি ব্যস্ত থাকেন, তিনি বিরক্ত হন না; বরং শান্তভাবে বলেন, ‘তোমার কাজটা আগে করো, পরে কথা হবে।’

ডেটে যাওয়ার মতো বড় পরিকল্পনা না থাকলেও তিনি চেষ্টা করেন সপ্তাহে অন্তত এক দিন সময় বের করে দেখা করতে। যেমন কোনো ফুচকার দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে মিনিট দশেক আড্ডা অথবা হাঁটতে হাঁটতে কথা বলা।

প্রিয়জনের পরিবারের বিপদ-আপদে দেখবেন ঠিকই তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাস্তায় কোনো সভা-সমাবেশ থাকলে আগেভাগেই জানিয়ে সতর্ক করে দেন। ভালোবাসা কিন্তু এক দিনের বড় রোমান্টিক মুহূর্তে নয়; বরং এ রকম ছোট ছোট যত্নের মধ্যেই গড়ে ওঠে। এই ধারাবাহিক পাশে থাকা ধীরে ধীরে বিশ্বাস তৈরি করে।

আরও পড়ুনএই ৫ প্রশ্নে বুঝবেন, আপনাদের ভালোবাসা কতখানি গভীর০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫২. তাঁরা ছোট ছোট বিষয় মনে রাখেন

যেসব পুরুষ নীরবে ভালোবাসেন, তাঁরা প্রিয়জনের ছোট ছোট বিষয় কখনোই ভুলে যান না। এসব খুঁটিনাটি তাঁদের কাছে গুরুত্ব পায়; কারণ, আপনি তাঁর কাছে বিশেষ একজন। যেমন প্রিয়জন সকালে চা না খেলে মাথা ধরে, তাই তিনি নিয়মিত জিজ্ঞেস করেন, ‘চা খেয়েছ?’কোন দোকানের লাচ্ছিটা প্রিয়জন বেশি পছন্দ করেন, তা তিনি মনে রাখেন, সুযোগ পেলে নিয়ে আসেন। ওষুধ বা প্রয়োজনীয় কিছু সময়মতো খাওয়ার কথা তিনি মনে করিয়ে দেন।

প্রিয়জন খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চাইলে গুরুত্ব দিয়ে উত্তর দেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ