বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, “বিদেশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, যুদ্ধ হয়েছে। এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের যুদ্ধ হয়েছে। তবে, বিদেশের পুলিশ প্রশাসন একদম পালিয়ে গেছে এরকম নজির কিন্তু কোথাও হয়নি। বাংলাদেশে চারদিন কোথাও পুলিশ ছিল না। তারা দলের হয়ে কাজ করেছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীদের গুম, হত্যা ও নির্যাতন করেছে।”

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইলের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ার হাউজিং মাঠে হাউজিং প্রভাতী গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

বিশ্বনাথে হুমায়ুন-লুনা অনুসারীদের সংঘর্ষ, আহত ১০

ফখরুলের সঙ্গে জার্মানির নতুন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, “এরশাদও স্বৈরাচার ছিলেন, তারও কিন্তু পতন হয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশ থেকে একবারে এরশাদের লোকজন উধাও হয়ে যায়নি। একমাত্র বাংলাদেশের কোথাও ফ্যাসিবাদের (আওয়ামী লীগ) লোক নাই।”

তিনি বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নেতাকর্মীরা অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকত। প্রত্যেকে সামাজিকভাবে অপরাধী ছিল। সমাজে লুটপাট করার কারণে তাদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের প্রতি বিগত ১৭ বছর মানুষের অনীহা ছিল।” 

বিএনপির এই নেতা বলেন, “১৭ বছরের আন্দোলন এক পর্যায়ে গিয়ে বিষ্ফোরণে রূপ নেয়। এখানে ছাত্র-জনতার সর্বোচ্চ ভূমিকা ছিল। ফ্যাসিস্টদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ট হয়ে এদেশের মানুষ তাদের প্রতি বিমুখ ছিল। তারা মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা নষ্ট করেছে।”

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, “তারেক রহমান লন্ডনের মতো বাংলাদেশ দেখতে চান। তারেক রহমানের কথা-বার্তায় মানুষ আশ্বস্ত হচ্ছেন। তারা বলছেন, উনার মতো প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রয়োজন। আল্লাহর রহমতে তিনি বাংলাদেশে আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তারেক রহমান বাংলাদেশকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যাবেন।”

এসময় হাউজিং প্রভাতী গ্রুপের সভাপতি জাফর আহমেদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, হাউজিং এস্টেটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হালিম, বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট শাহজাহান কবির, সদর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো.

জাহিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

গণবিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে মিষ্টি বিতরণ এবং প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করেছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদামতলায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর এবং মিষ্টি বিতরণ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। 

ফাঁসি কার্যকর ও মিষ্টি বিতরণ কর্মসূচিতে গকসুর কেন্দ্রীয় নেতা এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে দেখা যায়।

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে দীর্ঘ ১৭ বছর এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অত্যাচারীত এবং নিপীড়িত সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুনিয়া রহমান বলেন, “আমাদের ক্যাম্পাসে হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে এতে আমরা খুশি। তবে যেদিন হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে প্রকৃত ফাঁসি কার্যকর হবে সেদিন জুলাই আনদোলনের শহীদরা ন্যায়বিচার পাবে।”

প্রতীক ফাঁসি কর্মসূচির আয়োজক রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নাসিম বলেন, “শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করার মধ্যে দিয়েই এদেশের মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। একই সাথে জুলাই আন্দোলন থেকে সাধারণ জনগণ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ এদেশে একাত্তরে হত্যা চালিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে ছিল, তেমনি চব্বিশে হত্যা করে ভারতে পালাতে হয়েছে।”

কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (গকসু) এজিএস সামিউল হাসান শোভন বলেন, “প্রতীকী ফাঁসির মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয় অন্যায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যাতে কোনো ফ্যাসিস্টের আধিপত্য ছড়াতে না পারে তারজন্য আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করব।”

ঢাকা/সানজিদা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণবিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি