নিখোঁজের ২১ ঘণ্টা পর নদী থেকে স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার
Published: 10th, October 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিখোঁজের ২১ ঘণ্টা পর আয়েশা সিদ্দিকা এলি মণি (১১) নামের এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ কাকারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাতামুহুরি নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের বিরোধ, মায়ের লাশ দাফনে বাধা
পাবনায় আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নিহত আয়েশা সিদ্দিকা ওই এলাকার মনছুর আলমের মেয়ে। সে দক্ষিণ কাকারা ফারুকিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহতের স্বজন হাসান উল্লাহ বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে এলি মণিসহ কয়েকজন শিশু নদীতে গোসলে নামে। একপর্যায়ে এলি মণি পানির স্রোতে ভেসে যায়। এ সময় সঙ্গে থাকা অন্যরা উদ্ধারের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। প্রথম দিন তারা
উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। শুক্রবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ফের অভিযান শুরু করে। দুপুরে নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।’’
এ বিষয়ে দক্ষিণ কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, “শিশুটি নিখোঁজের পর স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অনেক চেষ্টা চালিয়েছেন। নিখোঁজের ২১ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ‘‘স্বজনদের আপত্তি না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’
ঢাকা/তারেকুর/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় গলা কাটা ২ শিশু ও তাদের মায়ের মরদেহ উদ্ধার
বগুড়ার শাজাহানপুরের একটি বাড়ি থেকে দুই শিশুর গলা কাটা ও গৃহবধূর ওড়না দিয়ে গলা প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার খৈলশাকান্দি গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠির নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান
নিহতরা হলেন- একই গ্রামের শাহাদত হোসেন কাজলের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৫), তার দুই সন্তান সাইফ (৭ মাস) ও সাইফা (৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টায় পরিবারের সদস্যরা ঘরের বিছানায় দুই শিশুর গলা কাটা ও তাদের মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের ফুফু আলপনা জানান, পারিবারিক নানা বিষয়ে স্বামী শাহদতের সঙ্গে সাদিয়ার ঝগড়া লেগেই থাকত। শাহাদত গত শুক্রবার ছুটিতে বাড়ি আসেন। গতকাল রাতে এবং আজ সকালেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) হুসাইন মোহাম্মদ রায়হান বলেন, “আমরা ঘরের মধ্যে তিনটি লাশ পেয়েছি। দুই শিশুর গলা কাটা ছিল। তাদের মায়ের গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। তাদের লাশ খাটের ওপর ছিল। কে বা কারা তাদের হত্যা করেছে সে বিষয়ে আমরা এখনো পরিষ্কার না। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
তিনি বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, নিহতের স্বামী শাহাদাত ঘরের ভেতরে তাদের লাশ দেখার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে আমরা আমাদের হেফাজতে রেখেছি। এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে আমাদের তদন্ত চলছে।”
ঢাকা/এনাম/মাসুদ