নারায়ণগঞ্জে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর তীব্র সমালোচনা করেছেন মুফতি মনির হোসেন কাসেমী।

তিনি বলেন, “যারা ইসলামের নাম ব্যবহার করে রাজনীতি করে কিন্তু নিজেদের প্রতীকে আল্লাহর নাম পর্যন্ত রাখতে লজ্জা পায়, তাদেরকে বিশ্বাস করা যায় না।”

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে শহরের কাশিপুর হাটখোলায় কাসেমী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার ওলামা, মাশায়েখ, পীর ও আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

মুফতি মনির কাসেমী বলেন, “যারা ইসলামের নাম নেয় কিন্তু জীবনে ইসলামের চর্চা নেই, তাদের সেই ইসলাম রাজনৈতিক ফায়দা তোলার হাতিয়ার ছাড়া কিছু নয়। বাংলাদেশে এমন ভণ্ডামির জায়গা নেই।”

তিনি আরও ঘোষণা দেন, “আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে আধুনিক মানের ক্লিনিক স্থাপন করব। সেখানে মানুষ বিনামূল্যে ঢাকার ব্যয়বহুল ক্লিনিক গুলোর মত উন্নত চিকিৎসা পাবে।”

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব। সভাপতিত্ব করেন মুফতি মনির হোসেন কাসেমী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা নূরুজ্জামান সেলিম, মাওলানা নূরুল ইসলাম সেলিম ও মুফতি বজলুর রশিদ।সভায় বক্তারা ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা, ন্যায়ভিত্তিক রাজনীতি ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ইসল ম র

এছাড়াও পড়ুন:

পিআর পদ্ধতিতে জনগণের কোনো সুবিধা নেই: মঈন খান

পিআর পদ্ধতি দলীয় কিছু আসন বৃদ্ধি ছাড়া জনগণের জন্য কোনো সুবিধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

ড. মঈন খান বলেন, “আমি কেন পিআর চাচ্ছি? একটু যদি আমরা খোলাখুলি বলি, পিআরটা চাচ্ছি এই কারণে যে, আমি পার্লামেন্টে কিছু বেশি সিট (আসন) পাব, এর বাইরে কিছু নাই। এখন আমি পার্লামেন্টে অধিকতর ক্ষমতাবান হব, অধিক সিট পাব সেই কারণে মানুষের মৌলিক যে দাবি সেটাকে আমি অগ্রাহ্য করব? এটা তো গণতন্ত্রের ভাষা নয়। কাজেই সেই দিক থেকে এটা সেলফ কনট্রাডিক্টরি। আসুন, মানুষের কল্যাণে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করি, এখানে খোলা মন নিয়ে কাজ করতে হবে।”

আরো পড়ুন:

ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে হবে: দুলু

জনতা চায় নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, এটিই আমাদের লক্ষ্য: ফখরুল

আব্দুল মঈন খান বলেন, “দেখুন, পিআর করার অর্থটা কি? পিআর হচ্ছে ব্যক্তির যে অবস্থান সেটাকে দুর্বল করে দলের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করে দিচ্ছে অর্থাৎ মানুষ ভোট দিবে দলকে এবং দল নির্ধারণ করে দেবে কে প্রার্থী হবেন।”

ড. মঈন খান বলেন, “তাহলে কি হচ্ছে? আমাদের যে মৌলিক চিন্তাধারা, জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে এবং জনগণের প্রতিনিধিরা সরাসরি জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে সেইটা তো তাহলে আর থাকছে না। দলকে শক্তিশালী করে দিতে আমরা জনপ্রতিনিধিকে দুর্বল করে দিয়ে সেখানে একটি দলকে যদি আমরা শক্তিশালী করে দেই তাহলে কিন্তু মানুষের যে সিস্টেমটা তৈরি হবে সেটাও কিন্তু একটা সেলফ কন্ট্রাডিকশন। সেলফ কন্ট্রাডিকশন এই কারণে যে মানুষ সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা, সেটা হচ্ছে এই, দল যেন অতিরিক্ত শক্তিশালী না হয়, বিশেষ করে বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক ইতিহাস আমরা বিগত ৫৪ বছরে দেখেছি। যখনই দল বেশি শক্তিশালী হয়ে গেছে তখনই কিন্তু জনগণের জন্য দুর্যোগ নেমে এসেছে।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর স্মারকলিপি প্রদান
  • ৫ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জামায়াতে ইসলামীর স্মারকলিপি
  • সেনাবাহিনীর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াত
  • পিআর আন্দোলনের লক্ষ্য নির্বাচন বিলম্বিত করা: মির্জা ফখরুল
  • পাকিস্তানের ৫৮ সেনা হত্যার দাবি কাবুলের, ১৯ আফগান ফাঁড়ি ‘দখল’ ইসলামাবাদের
  • সোনারগাঁয়ে মুষলধারে বৃষ্টিতেই ড. ইকবালের গণসংযোগ  
  • পিআর পদ্ধতিতে জনগণের কোনো সুবিধা নেই: মঈন খান
  • সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সুন্দর নারায়ণগঞ্জ গড়তে চাই : এড. সাখাওয়াত
  • ইসলামিক দল তাদের প্রকৃত চরিত্র উন্মোচন করেছেন: এড. টিপু