টকদইয়ের সঙ্গে যেসব খাবার খেলে হিতে বিপরীত
Published: 11th, October 2025 GMT
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে টকদই খুবই সমাদৃত খাবার। ডায়েটে টকদই রাখলে একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। যারা স্লিম থাকতে চান, তারা ব্রেকফাস্টে ওটসের সঙ্গে দই খান, আবার কেউ দুপুরে রায়তা বানিয়ে খান। টকদইয়ের সঙ্গে ভাত থেকে শুরু করে বাদাম, মধুর মতো বিভিন্ন নির্ভয়ে খাওয়া যায়। তবে তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
পেঁয়াজ
অনেকেই পেঁয়াজ দিয়ে রায়তা বানান। এতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। টকদইয়ের সঙ্গে পেঁয়াজ খেলে শরীর গরম হয়ে যায়। পেঁয়াজ ও টইদই একসঙ্গে খেলে এটি সহজে হজম হবে না। ত্বকেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
আরো পড়ুন:
‘সঠিক চিকিৎসা নিলে স্তন ক্যানসার থেকে বাঁচা সম্ভব’
আজ বিশ্ব ডিম দিবস
টক ফল
টকদইয়ের সঙ্গে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরির মতো ফল খাওয়া যায়। কিন্তু লেবুজাতীয় ফল একেবারেই খাওয়া চলে না। এমনকী যে সব ফলে অ্যাসিডের পরিমাণ অত্যধিক বেশি, সেগুলো দইয়ের সঙ্গে খাবেন না। এতে শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা দেখা দেয়।
দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার
দুধ থেকেই দই তৈরি হয়। কিন্তু দুধ ও দই একসঙ্গে খাওয়া যায় না। এই দুই খাবারেই প্রোটিন ও ফ্যাট রয়েছে। দুধ ও দই একসঙ্গে খেলে বুক জ্বালা, পেট ব্যথা, গা গোলানোর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই দুই খাবার আলাদা খাওয়াই ভালো।
চা
খাওয়ার পরেই দই খাবেন না। এমনকি দই খাওয়া শেষ হলেই চায়ে চুমুক দেওয়া চলবে না। এতে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে পারে। বমি, পেট খারাপ হতে পারে। বদহজম এড়াতে চা ও দই একসঙ্গে খাবেন না।
ভাজাপোড়া খাবার
অনেকেই পরোটার সঙ্গে টকদই খান। এই অভ্যাস মোটেই ভালো নয়। ভাজাভুজি খাবারের সঙ্গে টকদই খেলে মারাত্মক অ্যাসিডিটি হয়। এতে বদহজমের সমস্যা বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে ভাজাভুজি খাবারের সঙ্গে টকদই সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে হাজির দুই জলি, এরপর...
সুভাষ কাপুর আগে ছিলেন সাংবাদিক, কাজের বিষয় ছিল রাজনীতি। পরে যখন নির্মাতা হন, সিনেমাতেও উঠে আসে রাজনীতি। তবে তিনি সিরিয়াস বিষয় পর্দায় তুলে ধরেন হাস্যরসের মাধ্যমে। ‘ফাঁস গায়ে রে ওবামা’, আর ‘জলি’ ফ্র্যাঞ্চাইজির দর্শকমাত্রই সেটা জানেন। আলোচিত ‘জলি এলএলবি’ আর ‘জলি এলএলবি ২’-এর পর এবার তিনি হাজির তৃতীয় কিস্তি নিয়ে। এবার তিনি কোর্ট রুম ড্রামার মোড়াকে ভারতের কৃষিসংকট, কৃষকদের আত্মহত্যা নিয়ে কড়া বার্তা দিতে চেয়েছেন। কিন্তু আগের দুই কিস্তির মতো এবারও তিনি ‘জলি এলএলবি ৩’-এর হাস্যরসের আড়ালে কঠিন রাজনৈতিক বার্তা দিতে পারলেন?
একনজরেসিনেমা: ‘জলি এলএলবি ৩’
ধরন: কোর্ট রুম ড্রামা
পরিচালক: সুভাষ কাপুর
অভিনয়: অক্ষয় কুমার, আরশাদ ওয়ার্সি, সৌরভ শুক্লা, গজরাজ রাও, হুমা করেশি
স্ট্রিমি: নেটফ্লিক্স
রানটাইম: ২ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট
‘জলি এলএলবি ৩’ নির্মাতার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ, এবার তিনি সাহস করে অনেক জরুরি বিষয় নিয়ে ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হলো, সিনেমা হিসেবে সম্ভবত এটা এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সবচেয়ে দুর্বল। দুই জলি আরশাদ ওয়ার্সি আর অক্ষয় কুমার এই সিনেমায় হাজির হয়েছেন একসঙ্গে কিন্তু দুর্বল চিত্রনাট্যের কারণে তাঁদের যুগলবন্দী আর মনে রাখার মতো হলো কই।
শুরুটা যদিও ছিল আশাজাগানিয়া। জগদীশ ত্যাগী (আরশাদ ওয়ার্সি) ও জগদীশ্বর মিশ্র (অক্ষয় কুমার)—দিল্লির একই আদালতে কাজ করছেন। জগদীশ্বর, যিনি নিজেকে ‘অরিজিনাল জলি’ দাবি করেন, ক্লায়েন্ট ছিনিয়ে নেন ও নিয়মিত ঝগড়া করেন। এবার নির্মাতা পুরোনো কয়েকটি চরিত্র ফিরিয়ে এনেছেন, তাঁদের দিনযাপনও আছে আগের মতোই। যেমন জগদীশ্বরের স্ত্রী পুষ্পা (হুমা কুরেশি) আগের মতোই সুরা আসক্ত। তবে বিচারক সুন্দরলাল ত্রিপাঠি (সৌরভ শুক্লা) বদলে গেছেন, এখন ফিটনেস প্রেমিক। নিয়মিত জিম করেন, প্রোটিন শেক নেন। এমনকি ডেটিং অ্যাপেও নাম লেখাতে ভোলেননি।
‘জলি এলএলবি ৩’ সিনেমায় আরশাদ ওয়ার্সি ও অক্ষয় কুমার। আইএমডিবি