স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে টকদই খুবই সমাদৃত খাবার। ডায়েটে টকদই রাখলে একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। যারা স্লিম থাকতে চান, তারা ব্রেকফাস্টে ওটসের সঙ্গে দই খান, আবার কেউ দুপুরে রায়তা বানিয়ে খান। টকদইয়ের সঙ্গে ভাত থেকে শুরু করে বাদাম, মধুর মতো বিভিন্ন নির্ভয়ে খাওয়া যায়। তবে তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। 

পেঁয়াজ
অনেকেই পেঁয়াজ দিয়ে রায়তা বানান। এতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। টকদইয়ের সঙ্গে পেঁয়াজ খেলে শরীর গরম হয়ে যায়। পেঁয়াজ ও টইদই একসঙ্গে খেলে এটি সহজে হজম হবে না। ত্বকেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

আরো পড়ুন:

‘সঠিক চিকিৎসা নিলে স্তন ক্যানসার থেকে বাঁচা সম্ভব’

আজ বিশ্ব ডিম দিবস

টক ফল
টকদইয়ের সঙ্গে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরির মতো ফল খাওয়া যায়। কিন্তু লেবুজাতীয় ফল একেবারেই খাওয়া চলে না। এমনকী যে সব ফলে অ্যাসিডের পরিমাণ অত্যধিক বেশি, সেগুলো দইয়ের সঙ্গে খাবেন না। এতে শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা দেখা দেয়। 

দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার
দুধ থেকেই দই তৈরি হয়। কিন্তু দুধ ও দই একসঙ্গে খাওয়া যায় না। এই দুই খাবারেই প্রোটিন ও ফ্যাট রয়েছে। দুধ ও দই একসঙ্গে খেলে বুক জ্বালা, পেট ব্যথা, গা গোলানোর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই দুই খাবার আলাদা খাওয়াই ভালো।

চা
খাওয়ার পরেই দই খাবেন না। এমনকি দই খাওয়া শেষ হলেই চায়ে চুমুক দেওয়া চলবে না। এতে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে পারে। বমি, পেট খারাপ হতে পারে। বদহজম এড়াতে চা ও দই একসঙ্গে খাবেন না।

ভাজাপোড়া খাবার
অনেকেই পরোটার সঙ্গে টকদই খান। এই অভ্যাস মোটেই ভালো নয়। ভাজাভুজি খাবারের সঙ্গে টকদই খেলে মারাত্মক অ্যাসিডিটি হয়। এতে বদহজমের সমস্যা বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে ভাজাভুজি খাবারের সঙ্গে টকদই সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

দাম্পত্য সম্পর্কে ‘অদৃশ্য দূরত্ব’ তৈরি হলে করণীয়

দাম্পত্য সম্পর্কে একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকলে একটা অদৃশ্য দূরত্ব তৈরি হয়। আচরণে প্রাণ থাকা প্রয়োজন, এজন্য প্রয়োজন ভালোবাসা আর শুদ্ধাবোধ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘সঙ্গীকেহঠাৎ করে সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরা, ধন্যবাদ জানানো বা একসঙ্গে মজা করা—এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো আন্তরিকভাবে করলে সম্পর্ক প্রাণবন্ত এবং শক্তিশালী হয়।’’

সম্পর্ক ‘অদৃশ্য দূরত্ব’ তৈরি করে যা যা করতে পারেন

আরো পড়ুন:

দাঁতে ট্যাটু করছেন চীনের তরুণ-তরুণীরা

যেসব অভ্যাসের কারণে জাপানিরা মোটা হয় না

প্রতিদানহীন ভালোবাসা সঙ্গীর মধ্যে সঞ্চার করতে পারে অনন্য এক অনুভব। অসুস্থ হলে শুশ্রূষা করা, কাজের ফাঁকে খোঁজ নেওয়া, সঙ্গীর পছন্দের কাজে আগ্রহ দেখানো দাম্পত্য জীবনকে অনেক মজবুত ও সাবলীল করে।

প্রতিদিন কথা বলা
আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, সঙ্গীর সঙ্গে অবশ্যই প্রতিদিন একে অপরের সঙ্গে কথা বলার জন্য সময় বের করুন। রোজ সঙ্গীর সুস্থতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। যেমন, ‘আজ তোমার দিনটা কেমন কাটল? —এই ধরনের ছোট জিনিস দু'জনকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে।

মনোযোগ সহকারে শুনুন
কথা বলা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, মনোযোগ সহকারে শোনাও ততটাই জরুরি। যখন দু’জন মানুষ সত্যিই একে অপরের কথা শোনে এবং মাঝে মাঝে চিন্তাশীল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, তখন সম্পর্ক আরও গভীর হয়।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
একটি ছোট ‘ধন্যবাদ’ আপনার সঙ্গীর কাছে অনেক অর্থ বহন করে। সঙ্গী যদি দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট কাজেও আপনাকে সাহায্য করে, তাহলে তাকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। এটি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা উভয়ই বৃদ্ধি করে।

ছোট ছোট ভালোবাসার অঙ্গভঙ্গি
একটি সম্পর্ক কেবল প্রেমের বিষয় নয়। হাত ধরা, আলিঙ্গন করা, এমনকি হালকা স্পর্শও সম্পর্ককে শক্তিশালী করে এবং ভালোবাসা প্রকাশের এটি সহজ উপায়।

একসঙ্গে কাজ করা
যদি কোনো দম্পতি সত্যিই একে অপরকে ভালোবাসে এবং সম্মান করে, তাহলে তারা গৃহস্থালির কাজের দায়িত্ব ভাগ করে নেয়। এটি বোঝা কমায় এবং পার্টনারশিপের অনুভূতিকে শক্তিশালী করে।

ছোট ছোট আনন্দ দিন
বড় জিনিস সারপ্রাইজ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না সব সময়। কখনও কখনও একটি সুন্দর হাতে লেখা চিঠি বা ছোট একটি চকলেট দিয়ে চমক দিলেও সঙ্গীর দিনটা সুন্দর হয়ে উঠতে পারে।

একসঙ্গে কাটানো সময়
ফোন বা স্ক্রিন থেকে দূরে একসঙ্গে সময় কাটানো, যেমন হাঁটাহাঁটি করা বা একসঙ্গে বই পড়া, রান্না করা, সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। আর একে অপরের সঙ্গে রসিকতা ভাগাভাগি করা বা হালকা আড্ডা দেওয়া সম্পর্কের মধ্যে মজা আনে এবং আরও গভীর বন্ধন তৈরি করে।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৫০ ফিট উচ্চতা থেকে লাফ দেওয়ার সময় সত্যিই ভয় কাজ করেছিল...
  • এ–ই যদি হয় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা...
  • অসম বিয়ে: ভাঙা সংসার জোড়া লাগল সুদীপ-পৃথার
  • জুমার নামাজ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সৌহার্দ্য বিনিময়, জমজমাট প্রচার
  • প্রেম ভাঙার গুঞ্জনে মুখ খুললেন সাদিয়া আয়মান
  • রেখার সিঁদুর রহস্য
  • দাম্পত্য সম্পর্কে ‘অদৃশ্য দূরত্ব’ তৈরি হলে করণীয়