আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আরো শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে চলেছে বলে দাবি করা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এটাকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

শফিকুল আলম বলেন, “এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া গুজব।”

আরো পড়ুন:

পরোয়ানা থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাসদর

মিয়ানমারে সমাবেশে সেনাবাহিনীর প্যারাগ্লাইড বোমা হামলা, নিহত ২৪

শনিবার (১১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটরের তথ্য উদ্ধৃত করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরো জানান, এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কোনো পরিকল্পনা নেই।

প্রেস সচিব বলেন, “আমরা আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটরের দপ্তর থেকে জানতে পেরেছি যে এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই।”

শনিবার (১১ অক্টোবর) জনগণকে বিভ্রান্তিকর তথ্য বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই ধরনের অপপ্রচার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে।”

শফিকুল আলম বলেন, “আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যেই এসব অসৎ গুজব ছড়ানো হচ্ছে।”

প্রেস সচিব স্পষ্ট করে জানান, সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) বিলুপ্ত করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

তিনি বলেন, “সংস্থাটির সীমান্তবর্তী ও বহিঃদেশীয় গোয়েন্দা কার্যক্রম আরো জোরদার করতে সরকার সংস্কারমূলক পদক্ষেপ বিবেচনা করছে।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত র ব র দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে মহাসড়ক থেকে সরলেন আন্দোলনকারীরা, যান চলাচল স্বাভাবিক 

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক থেকে সরে গেছেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপর সাড়ে ১২টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে যমুনা সেতুর পূর্ব গোল চত্বর এলাকা থেকে সরে যান তারা। ফলে মহাসড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। 

এর আগে, আজ সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবনার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা যমুনা সেতুর পূর্ব গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে অন্তত ৬ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। 

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে নেওয়ার প্রস্তাবের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস চলাচল শুরু

আন্দোলনকারী রাকিব মিয়া জানান, কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে যোগ করে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এরই প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। 

সুমন চক্রবর্তী নামে অপর আন্দোলনকারী জানান, টাঙ্গাইল নিয়ে টানাহেঁচড়া চলবে না। টাঙ্গাইল ঢাকা বিভাগে না থাকলে টাঙ্গাইলকে বিভাগ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করবেন তারা ।

আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহকে দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখন টাঙ্গাইলকে এই বিভাগে যুক্ত করার কথা ছিল। জেলাবাসীর আন্দোলনের মুখে টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগেই রাখা হয়। 

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান জানান, আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবিগুলো লিখিতভাবে জমা দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদের দাবিগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ