শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ভবনে একাডেমিক কার্যক্রমের উদ্বোধন
Published: 12th, October 2025 GMT
বেসরকারি শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ভবনের একাডেমিক কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়েছে। ৯ অক্টোবর বিকেলে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, দোয়া অনুষ্ঠান ও ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয় দ্বিতীয় ভবনের একাডেমিক কার্যক্রমের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.
রাজধানীর উত্তরায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শাহ-ই-আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক। এ সময় শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য আহসানুল কবীর, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্যান্য সদস্য, শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পাড় মশিয়ূর রহমান, শান্ত-মারিয়াম হোংহে কনফুশিয়াস ক্লাসরুমের চীনা ও বাংলাদেশি পরিচালক জাংশি ফ্লিপ ও মহিউদ্দিন তাহেরসহ শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি অনলাইন কোর্স, ঘরে বসেই শিখুন নতুন দক্ষতা০৫ অক্টোবর ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া পর্যটনকেন্দ্রে বাঘের দেখা
পূর্ব সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া ইকো পর্যটনকেন্দ্রের ফুট ট্রেইলে দেখা মিলেছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের।
গতকাল শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে পর্যটনকেন্দ্রের ফুট ট্রেইলে বিশালাকৃতির একটি বাঘকে বসে থাকতে দেখেন পর্যটকরা।
এসময় তারা বাঘের বসে থাকার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। পরে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী সেই ভিডিও নিজের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ২৯ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, বিশাল এক রয়েল বেঙ্গল টাইগার ফুট ট্রেইলের মাঝখানে শান্তভাবে বসে আছে। কিছু সময় বসে থাকার পর বাঘটি ফুট ট্রেইলে হাঁটা শুরু করে।
হারবাড়িয়া ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম রমজান আলী কানন বলেন, “শনিবার পর্যটকরা যখন ফুট ট্রেইলে হাঁটছিলেন তখন তারা সেখানে একটি বাঘকে বসে থাকতে দেখেন। বাঘটি কিছু সময় বসেছিল। আমরা বাঘটিকে আবার বনে তাড়িয়ে দিই।”
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, হাড়বাড়িয়া ইকো পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। প্রতিদিনই সেখানে শত শত দেশি-বিদেশি পর্যটক ঘুরতে আসেন। এত কাছ থেকে বাঘ দেখা অত্যন্ত বিরল ঘটনা।
তিনি বলেন, “হাড়বাড়িয়া অঞ্চল সুন্দরবনের মূল বাঘের বিচরণক্ষেত্রের সন্নিকটে। তাই মাঝে মাঝে বাঘের উপস্থিতি দেখা যায়। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণ করেছি।”
২০১৮ সালের শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের বাঘ গণনায় সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫টিতে। অর্থাৎ গত ছয় বছরে বাঘ বেড়েছে ১১টি।
ঢাকা/শহিদুল/এস