এবার সোনার দাম ভরিতে বাড়ছে ৫ হাজার টাকা
Published: 13th, November 2025 GMT
দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ছে। এবার সোনার দাম একলাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়ছে। এতে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
সোনার মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার রাতে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। সর্বশেষ গতকাল বুধবার সোনার দাম ভরিপ্রতি ৪ হাজার ১৮৮ টাকা বাড়িয়েছিল জুয়েলার্স সমিতি। তার মানে দুই দিনে সোনার ভরি ৯ হাজার টাকার বেশি বাড়ছে। কাল শুক্রবার থেকে সোনার নতুন দর সারা দেশে কার্যকর হবে।
বৈশ্বিক সোনার বাজার গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে বেশ অস্থির। মাঝে একটু কমার লক্ষণ দেখা গেলেও আবার দাম বাড়ছে। আজ একপর্যায়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ২৩৮ ডলারে উঠেছিল। পরে আবার কমে ৪ হাজার ১৯০ ডলারে নেমেছিল। সোনার এই উত্থান–পতনের কারণে দেশেও দাম বাড়ছে।
দেশে সোনার নতুন দর অনুযায়ী, কাল শুক্রবার থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা। এ ছাড়া প্রতি ভরি ২১ ক্যারেটের সোনা ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম দাঁড়াবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা ২ লাখ ৮ হাজার ৪৭১ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৬৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তার মানে কাল থেকে ২২ ক্যারেটে ৫ হাজার ২৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেট ৫ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৪ হাজার ২৯২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৩ হাজার ৬৬২ টাকা বাড়বে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২২ ক য র ট
এছাড়াও পড়ুন:
চৌদ্দগ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় মারধর, আহত নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় মাদকসেবীদের পিটুনিতে আহত এক নির্মাণশ্রমিক মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার নাটাপাড়া গ্রামে মাদকাসক্ত বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে ওই শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে। নিহত ওই শ্রমিকের নাম আনোয়ার হোসেন (৩৮)। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা ও নির্মাণশ্রমিক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হত্যার বিষয়টি গোপনে আপস করে লাশ দাফনের প্রস্তুতির সময় পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাটাপাড়া গ্রামের মফিজুর রহমানের (৫৬) ছেলে ফারুক মিয়া (৩৫) বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিলেন। গত মঙ্গলবার সকালে ফারুক প্রকাশ্যে মাদক সেবন করলে আনোয়ার হোসেন বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন ফারুক। একপর্যায়ে যোগ দেন ফারুকের বাবা মফিজুর রহমানও। পরে আনোয়ার হোসেনের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে বাবা-ছেলে পালিয়ে যান। স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা আনোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ওই গ্রামের প্রভাবশালী মহল তাঁর পরিবারকে হত্যার ঘটনায় মামলা না করতে চাপ দেন। একপর্যায়ে তাঁদের পরিবারকে জোরপূর্বক ফারুকের পরিবারের সঙ্গে আপসের জন্য বৈঠকে বসানো হয়। এ সময় খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বিকেলে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর অভিযুক্ত বাবা ও ছেলে এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। এ জন্য তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আনোয়ার হোসেনের ভাগনে রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ফারুক ও তাঁর বাবা আমার মামাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমরা খুনিদের বিচার চাই।’
স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, মফিজুর রহমান এলাকায় মাদক সেবনের পাশাপাশি মাদকের কারবারও করেন। কেউ প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।