মার্কিন কংগ্রেসের তদারকি কমিটি প্রকাশিত একাংশ নথি থেকে বুধবার জানা গেছে, শিশু যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টাইনের কর্মীরা তাকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিমান ভ্রমণ সম্পর্কে অবহিত রাখতেন। কারণ এটি তার নিজস্ব পরিবহন সম্পর্কিত ছিল। এমনকি দুজনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির বহু বছর পর পর্যন্ত ট্রাম্পের ব্যাপারে খবর রাখতেন এপস্টাইন।

নথিগুলোতে দেখা গেছে, ট্রাম্পের অবস্থান ঘিরে পর্যালোচনা করা বেশিরভাগ আলোচনা ফ্লাইট লজিস্টিকস সম্পর্কিত। কারণ তিনি এবং এপস্টাইন প্রায়ই একই বিমানবন্দর ব্যবহার করতেন। ট্রাম্পের গতিবিধি সম্পর্কে এপস্টাইন তার পাইলটের কাছ থেকে একাধিক আপডেট পেয়েছেন। যেমন- ‘প্রেসিডেন্টের নতুন সময়সূচি, ট্রাম্পের বিমান শুক্রবার বিকেল ৫ টায় অরল্যান্ডো পৌঁছাবে, তারপর পাম বিচে পৌঁছাবে রাত ১০ টায়, অনুমান। তিনি সাধারণত দেরিতে চলেন, তাই রাত ১১ টা তার পিবিআই আগমনের জন্য বাস্তবসম্মত সময় হতে পারে’ ইত্যাদি।

নথিগুলোতে আরো দেখা গেছে, এপস্টাইনের সহযোগীরা ট্রাম্প সম্পর্কিত অসংখ্য সংবাদ নিবন্ধ ফরোয়ার্ড করেছেন, যার মধ্যে প্রেসিডেন্টকে ঘিরে বিতর্কের প্রতিবেদনও রয়েছে। বন্ধুবান্ধব এবং সহযোগীদের সাথে এপেস্টাইনের ইমেইল আদান-প্রদানে ট্রাম্পকে অবমাননা করতেও দেখা গেছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এক চিঠিতে এপস্টাইন সাবেক ট্রেজারি সেক্রেটারি ল্যারি সামারসকে বলেছিলেন,“ট্রাম্প শেষ সীমা বরবার পাগল। সীমান্ত থেকে কয়েক ফুট দূরে কিন্তু খুব বেশি নয়।”

ল্যারি জানতে চেয়েছিলেন- “ট্রাম্প কি পাগলামি করবে?”

জবাবে এপস্টাইন লিখেছিলেন, “এটি তার জন্য কোনো নতুন ঘটনা নয়। অতীতে তাকে বলা হয়েছিল, সে যেন তার সামর্থ্যের বাইরে না আসে। এভাবেই সে প্রায় ব্যক্তিগত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। তার শক্তি অসাধারণ। তাকে সাত দিনই ২৪ ঘণ্টা যন্ত্রণা দেওয়া হয়। আমি আশা করি তার খুব কাছের কেউ অভিযুক্ত হবে, কিন্তু নিশ্চিত নই, অন্যথায় অজানা চাপ তাকে পাগলাটে কাজ করতে বাধ্য করবে।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট ইন

এছাড়াও পড়ুন:

গাড়িতে থাকা প্রেমিক-প্রেমিকাকে হত্যা, সিরিজের আড়ালে ভয়ংকর সেই সত্যি ঘটনা

প্রিয়জনের সঙ্গে লং ড্রাইভে গেছেন, ঘুরতে ঘুরতে কোনো জায়গা দেখে ভালো লাগল। গাড়ি থামিয়ে হয়তো একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন। কিন্তু আপনি তখনো জানেন না, কাছেপিঠে কোথায় ওত পেতে আছে ভয়ংকর এক আততায়ী। গাড়িতে থাকা প্রেমিক যুগলদের যে বেছে বেছে হত্যা করে। দুনিয়ার নানা প্রান্তে রহস্যময় সব খুনের ঘটনা ঘটেছে, জানা গেছে কুখ্যাত সব ক্রমিক খুনির কথা। হালে এসব মীমাসিংত ও অমীমাংসিত ঘটনা নিয়ে তৈরি হচ্ছে তথ্যচিত্র। গত ২২ অক্টোবর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে তেমনই একটি সিরিজ ‘দ্য মনস্টার অব ফ্লোরেন্স’। যে সিরিজের পটভূমি আজ থেকে পঞ্চাশ বছরেরও আগে। কী ঘটেছিল তখন? সিরিজটিতেই–বা কী দেখানো হয়েছে?

রহস্যময় এক খুনি
১৯৬৮ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে ইতালির ফ্লোরেন্স ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভয়ংকর কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। এক অজানা হত্যাকারী বিশেষ করে শহরের নির্জন অঞ্চলে গাড়িতে থাকা যুগলদের হত্যা করতেন। বেশ কয়েকটি ঘটনায় ভুক্তভোগীর নারীর যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছিল। রহস্যময় সেই আততায়ীকে ডাকা হয় ‘ফ্লোরেন্সের মনস্টার’ নামে। হত্যাকারীর পরিচয় আজও ফাঁস হয়নি; এটি আজও ইতালির ইতিহাসের অন্যতম রহস্যময় অধ্যায়।

নেটফ্লিক্সের নতুন চার পর্বের লিমিটেড সিরিজ ‘দ্য মনস্টার অব ফ্লোরেন্স’ তৈরি করেছেন লিওনার্দো ফাসোলি ও স্টেফানো সোলিমা। গল্পের শুরু ১৯৮২ সালের একটি ঘটনা দিয়ে। এক তরুণ প্রেমিক যুগল নিজেদের গাড়িতে খুন হন। পুলিশ তখন ১৯৬৮ সালের একটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এটির মিল পায়। কারণ, দুই ঘটনাতেই পয়েন্ট ২২ ক্যালিবার বেরেটা পিস্তল দিয়ে খুন করা হয়েছিল। অনেকে ভেবেছিলেন, এবার বুঝি রহস্য শেষ। কিন্তু তদন্তকারী আর সাংবাদিকেরা জানতেন না, এক জটিল ধাঁধার চক্করে পড়েছেন তাঁরা।

দ্য মনস্টার অব ফ্লোরেন্স’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ