ঢাবিতে উচ্চশিক্ষায় মান নিশ্চয়তা-বিষয়ক সম্মেলন
Published: 13th, November 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ‘উচ্চশিক্ষায় মান নিশ্চয়তার অগ্রগতি: বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে উপাচার্যের অফিস সংলগ্ন অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।
আরো পড়ুন:
১৪ জেলায় নতুন ডিসি
টুঙ্গিপাড়ায় সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক মান নিশ্চয়তা সেল (আইকিউএসি) এ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.
ঢাবির আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের উপ-উপাচার্য ও পরিচালক (আইকিউএসি) অধ্যাপক ড. জুড উইলিয়াম জেনিলো ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আলম।
সম্মেলনের পরবর্তী পর্বগুলো অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইক উএস উপ চ র য
এছাড়াও পড়ুন:
চৌদ্দগ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় মারধর, আহত নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় মাদকসেবীদের পিটুনিতে আহত এক নির্মাণশ্রমিক মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার নাটাপাড়া গ্রামে মাদকাসক্ত বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে ওই শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে। নিহত ওই শ্রমিকের নাম আনোয়ার হোসেন (৩৮)। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা ও নির্মাণশ্রমিক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হত্যার বিষয়টি গোপনে আপস করে লাশ দাফনের প্রস্তুতির সময় পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাটাপাড়া গ্রামের মফিজুর রহমানের (৫৬) ছেলে ফারুক মিয়া (৩৫) বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিলেন। গত মঙ্গলবার সকালে ফারুক প্রকাশ্যে মাদক সেবন করলে আনোয়ার হোসেন বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন ফারুক। একপর্যায়ে যোগ দেন ফারুকের বাবা মফিজুর রহমানও। পরে আনোয়ার হোসেনের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে বাবা-ছেলে পালিয়ে যান। স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা আনোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ওই গ্রামের প্রভাবশালী মহল তাঁর পরিবারকে হত্যার ঘটনায় মামলা না করতে চাপ দেন। একপর্যায়ে তাঁদের পরিবারকে জোরপূর্বক ফারুকের পরিবারের সঙ্গে আপসের জন্য বৈঠকে বসানো হয়। এ সময় খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বিকেলে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর অভিযুক্ত বাবা ও ছেলে এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। এ জন্য তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আনোয়ার হোসেনের ভাগনে রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ফারুক ও তাঁর বাবা আমার মামাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমরা খুনিদের বিচার চাই।’
স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, মফিজুর রহমান এলাকায় মাদক সেবনের পাশাপাশি মাদকের কারবারও করেন। কেউ প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।