দৌলতপুরে গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিএনপির ৩১ দফার কথা জানাচ্ছেন যুবদল নেতা
Published: 12th, October 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার কথা জানাচ্ছেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন ওরফে জুয়েল। তিনি কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। দলীয় নেতা–কর্মীদের নিয়ে গ্রামের হাটবাজারে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। জানাচ্ছেন আগামীর বাংলাদেশ কেমন চান।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার বাজারে তিনি ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন। সেখানে হাজারো মানুষ তাঁকে স্বাগত জানান। এর আগে কয়েক মাস ধরে তিনি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই আয়োজন ছিল।
সাধারণ মানুষদের শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মই হলো আগামীর বাংলাদেশ। দেশের অগ্রগতি, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। আমি দৌলতপুরের ১৪টি ইউনিয়নের ২১৬টি গ্রামে ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের চোখে আমি পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা দেখেছি। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। তারা একটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত দৌলতপুর চায়। আমি মানুষের সেই দাবি বাস্তবায়নে নিজেকে বিলিয়ে দেব।’
তিনি নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তারেক রহমান সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন মানুষের দ্বারে যেতে হবে, তাদের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। দৌলতপুরের প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি মানুষের কাছে ৩১ দফার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়। শুধু সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দেবে দল।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ দৌলতপুরকে সন্ত্রাস ও মাদকে ভরিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। এখন দৌলতপুরবাসী সেই নিপীড়ন, নির্যাতনের অবসান চান।
বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, দৌলতপুরে যেসব কলেজ এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি, সেগুলো এমপিওভুক্ত করার উদ্যোগ নেবেন। পাশাপাশি রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থা দূর করবেন।
শরীফ উদ্দিনের সঙ্গে ছিলেন দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন, দৌলতপুর কৃষক দলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, দৌলতপুর কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুরাইয়া আক্তার, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মন্টি সরকার, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলাউদ্দিন বাদল, দৌলতপুর যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউর রহমান, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবালসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ লতপ র উপজ ল ব এনপ র উদ দ ন য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পদ ও সন্তান লাভের জন্য প্রার্থনা
জীবনের এমন অনেক মুহূর্ত আসে যখন মনে হয়, সবকিছু যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। আয়ের উৎস শুকিয়ে যাওয়া, পরিবারের উদ্বেগ বাড়তে থাকা বা জীবনে বরকতের অভাব—এসব চাপে মানুষের মন ভারী হয়ে ওঠে। ইসলামে এমন সময়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এমন একটি দোয়া মহানবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর সেবক আনাস ইবনে মালিক (রা.)-এর জন্য করেছিলেন। এই দোয়া শুধু ধন-সম্পদ ও সন্তানের বৃদ্ধি চায় না, বরং সবকিছুতে আল্লাহর বরকত কামনা করে।
দোয়ার উৎস ও প্রেক্ষাপটহাদিসে বর্ণিত, আনাস (রা.)-এর মা উম্মে সুলাইম নবীজিকে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনার এই সেবক আনাসের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।’ তখন নবীজি (সা.) দোয়া করেন: ‘আল্লাহুম্মা আকসির মালাহু ওয়া ওয়ালাদাহু, ওয়া বারিক লাহু ফীমা আ'তাইতাহু।’
এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং পৌত্রাদি মিলিয়ে তিনি ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।আরও পড়ুনতাকওয়া মুমিনের সবচেয়ে বড় সম্পদ৩০ জুন ২০২৫অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তার ধন-সম্পদ ও সন্তান বাড়িয়ে দাও এবং তুমি যা দান করেছ, তাতে তার জন্য বরকত দান করো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৩৪৪)
আনাস (রা.) তখন মাত্র দশ বছরের একটি ছেলে, যিনি নবী (সা.)-এর সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং তাঁর তিনি পৌত্রাদি মিলিয়ে ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন (সহিহ মুসলিম থেকে বর্ণিত)। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।
দোয়ার উদ্দেশ্য শুধু ধন নয়, বরকতএই দোয়ার সৌন্দর্য এতে যে এটি ধন-সম্পদের পাশাপাশি বরকতের জন্য প্রার্থনা করে। ইসলামে ধনকে শুধু সঞ্চয় নয়, বরং আল্লাহর নেয়ামত হিসেবে দেখা হয়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯)
আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে ধর্মের দাবি১৯ মে ২০২৫ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯আধুনিক জীবনে এর প্রাসঙ্গিকতা আরও বেশি। অর্থনৈতিক সংকট, চাকরির অনিশ্চয়তা বা পরিবারের চাপে অনেকে কষ্ট পান। কিন্তু এই দোয়া স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সত্যিকারের সমৃদ্ধি আল্লাহর রহমতে। সন্তানের ক্ষেত্রেও তাই—সন্তান লাভের সঙ্গে তাদের সুস্থতা, শান্তি ও ইমানের বরকত চাওয়া জরুরি।
আজকের দিনে, যখন পরিবারের আকার ছোট হচ্ছে এবং অর্থের চাপ বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধর্মীয় অনুশীলন (যেমন দোয়া) মানসিক চাপ কমায় এবং জীবনে ইতিবাচকতা বাড়ায়। ইসলামি ঐতিহ্যে এই দোয়া শুধু ব্যক্তিগত নয়, পরিবারের জন্যও ব্যবহার করা যায়।
দোয়ার সঙ্গে সদকা দেওয়া, কোরআন তিলাওয়াত এবং হালাল উপার্জনের চেষ্টা করুন—এগুলো বরকতের দরজা খোলে।
আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে মহানবী (সা.)-এর ১০টি নির্দেশনা২০ আগস্ট ২০২৫