কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার কথা জানাচ্ছেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন ওরফে জুয়েল। তিনি কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। দলীয় নেতা–কর্মীদের নিয়ে গ্রামের হাটবাজারে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। জানাচ্ছেন আগামীর বাংলাদেশ কেমন চান।

আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার বাজারে তিনি ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন। সেখানে হাজারো মানুষ তাঁকে স্বাগত জানান। এর আগে কয়েক মাস ধরে তিনি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই আয়োজন ছিল।

সাধারণ মানুষদের শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মই হলো আগামীর বাংলাদেশ। দেশের অগ্রগতি, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। আমি দৌলতপুরের ১৪টি ইউনিয়নের ২১৬টি গ্রামে ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের চোখে আমি পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা দেখেছি। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। তারা একটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত দৌলতপুর চায়। আমি মানুষের সেই দাবি বাস্তবায়নে নিজেকে বিলিয়ে দেব।’

তিনি নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তারেক রহমান সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন মানুষের দ্বারে যেতে হবে, তাদের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। দৌলতপুরের প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি মানুষের কাছে ৩১ দফার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়। শুধু সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দেবে দল।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ দৌলতপুরকে সন্ত্রাস ও মাদকে ভরিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। এখন দৌলতপুরবাসী সেই নিপীড়ন, নির্যাতনের অবসান চান।

বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, দৌলতপুরে যেসব কলেজ এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি, সেগুলো এমপিওভুক্ত করার উদ্যোগ নেবেন। পাশাপাশি রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থা দূর করবেন।

শরীফ উদ্দিনের সঙ্গে ছিলেন দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন, দৌলতপুর কৃষক দলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, দৌলতপুর কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুরাইয়া আক্তার, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মন্টি সরকার, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলাউদ্দিন বাদল, দৌলতপুর যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউর রহমান, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবালসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ লতপ র উপজ ল ব এনপ র উদ দ ন য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

গতানুগতিক নয়, পরিবর্তনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি : মাসুদুজ্জামান  

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, এবং আমাদের অভিভাবক তারেক রহমানের প্রতি। 

আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করছি গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, তাই আপনারা সবাই তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। বন্দর ও নগর একই মায়ের দুই সন্তান। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তবে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনকে একটি আধুনিক ও স্বপ্নের নারায়ণগঞ্জে রূপান্তরিত করা সম্ভব। 

আমি জানি আপনাদের গ্যাস সমস্যা, সুপেয় পানি, সেতু এবং পরিকল্পিত নগরীর প্রয়োজন রয়েছে। সমস্যা আছে, কিন্তু সমাধানের পথও আছে। আপনারা যদি বিএনপিকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেন, তবে আপনাদের সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব জাতীয় সংসদে।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বন্দর সিরাজদৌল্লা ক্লাব মাঠে বন্দর থানা ও বন্দর উপজেলা বিএনপি  কারানির্যাতিত নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি গতানুগতিক নয়, পরিবর্তনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি।

বন্দরে এখনো একটি পরিকল্পিত নগরী গড়ার সুযোগ আছে, এবং আমরা সেটি বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না এবং করবোও না, তবে প্রিয় বন্দরবাসী, নগরবাসী - আপনারা সচেতন থাকবেন যাতে কেউ ধর্মকে বিভ্রান্তির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জনমানুষের দল - আমরা মানুষের অন্তরে আছি। ইন শা আল্লাহ, আগামী নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে পারব যে জনগণ বিএনপিকেই তাদের প্রত্যাশার জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক ও বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান  আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলের সভাপতিত্বে সংবধর্ণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত  ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক; আব্দুস সবুর খান সেন্টু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সদস্য; হাজী ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন শোখন, মো: আলমগীর হোসেন, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু। প্রবীণ বিএনপি নেতা, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী নুরুদ্দিন, বন্দর থানা বিএনপির; সভাপতি শাহেন শাহ্, মহানগর যুবদল সভাপতি মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাখাওয়াতুল ইসলাম রানা, সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা – মুরাদ, কৃষকদলের সভাপতি এনামুল খন্দকার স্বপন। ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের বিএনপির মহানগর, থানা, ওয়ার্ডসহ কৃষকদল, যুবদল, মহিলাদল এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত কারাভোগ করা নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। তাদের মধ্যে অনেকে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও আন্দোলনের প্রেরণা তুলে ধরেন। উপস্থিত জনতারা বলেন, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের সংগ্রাম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ