এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি না দিয়ে কারও এক্সিট নেই। এই সনদ বাস্তবায়ন করা বর্তমান সরকারের সবচে‌য়ে বড় দায়িত্ব। আজ সোমবার রাত আটটায় শেরপুর শহরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘যারা অভুত্থান ধারণ করে সংস্কারের জন্য কাজ করবে, বিচারিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখবে এবং বাংলাদেশের পরিবর্তনের জন্য কাজ করবে, আমরা তাদের সঙ্গে ইলেকটোরাল আলায়েন্স (নির্বাচনী জোট) যেতে পারি।’ তিনি জানান, জোট হলেও এনসিপি অন্য কোনো দলের মার্কা বা নামে নির্বাচন করবে না। শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করবে।

আরও পড়ুনআমার ছেলেমেয়ে দেশে, আমি একা ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে কী করব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা১২ অক্টোবর ২০২৫

শাপলা প্রতীক না পেলে এনসিপির অবস্থান কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম বলেন, ‘প্রতীক, সংবিধান ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা কেউই এনসিপির শাপলা প্রতীক পাওয়ায় কোনো আইনগত বাধা দেখাতে পারেননি। যেহেতু কোনো আইনি বাধা নেই, তাই আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন কমিশনের মতো একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারিতা করবে না। আগামী নির্বাচনে আমরা শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশ নেব।’

আরও পড়ুনউপদেষ্টাদের মধ্যে কারা সেফ এক্সিট নিতে চান, সেটি নাহিদ ইসলামকেই পরিষ্কার করতে হবে: রিজওয়ানা হাসান০৮ অক্টোবর ২০২৫

এর আগে শেরপুর জেলা ও উপজেলার এনসিপির সমন্বয় কমিটির নেতাদের একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির শেরপুর জেলা প্রধান সমন্বয়ক মো.

লিখন মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলমসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতা-কর্মীরা।

আরও পড়ুনউপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের দরকার নেই, জাতির আছে: আসিফ নজরুল১১ অক্টোবর ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এনস প র এক স ট

এছাড়াও পড়ুন:

নায়িকা পপিকে আইনি নোটিশ

মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপিকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তার চাচাতো বোনজামাই মো. তারেক আহমেদ চৌধুরী। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মণ্ডলের মাধ্যমে পপির খুলনা ও ঢাকার ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাকযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়।  

এসব তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে তারেক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “আমার স্ত্রী সম্পর্কের আত্মীয় সাদিকা পারভীন পপি বিভিন্ন সময় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তার যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে পারিবারিকভাবে কথা বলতে পারেন কিংবা আইনিভাবে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু তিনি সেটা না করে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়াচ্ছেন। যেজন্য আইনিভাবে তাকে এই বিষয়গুলো আমি জানিয়েছি।”

আরো পড়ুন:

শাকিবের নায়িকা রহস্য

শীতের সকালে একটু নদীতে নামলাম: ভাবনা

পূর্বের ঘটনা উল্লেখ করে তারেক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “এর আগেও তিনি (পপি) আমাকে দোষারোপ করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছিল। ফলে আমি তার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছি।”

পপিকে আইনি নোটিশ পাঠানো প্রসঙ্গে আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মণ্ডল গণমাধ্যমকে জানান, তার মক্কেল ঢাকায় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ পদে আছেন। সাদিকা পারভীন পপির প্রয়াত চাচা প্রয়াত মিয়া কবির হোসেনের জামাতা হলেন তার মক্কেল তারেক আহমেদ চৌধুরী। বৈবাহিক সূত্রে তার সঙ্গে পপির আত্মীয়তার সম্পর্ক। 

আইনি নোটিশে বলা হয়, “একটি সম্পত্তি নিয়ে তাদের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। ওই সম্পত্তিটি সাদিকা পারভীন পপির প্রয়াত চাচার মালিকানাধীন ছিল, যা একটি বৈধ হেবা দলিলের মাধ্যমে তারেক আহমেদ চৌধুরীর স্ত্রী এবং তার মাকে উপহার হিসেবে প্রদান করা হয় এবং তারা আইনগতভাবে উক্ত সম্পত্তির মালিক হন। আমার মক্কেল উক্ত সম্পত্তির কোনো আইনগত উত্তরাধিকারী নন এবং উক্ত সম্পত্তির ওপর তার কোনো দখল, মালিকানা বা আইনি স্বার্থ নেই; সম্পত্তিটির হস্তান্তর ও বণ্টন সম্পূর্ণরূপে উক্ত হেবা দলিল ও প্রযোজ্য উত্তরাধিকার আইনের অধীন পরিচালিত হয়। আমার মক্কেলের সঙ্গে উক্ত সম্পত্তিগত বিরোধের কোনো আইনগত বা বাস্তবিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও, নোটিশ গ্রহীতা গত ২১ নভেম্বর প্রচারিত একটি টিভি অনুষ্ঠানে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মানহানিকর অভিযোগ করেছেন এবং তা প্রকাশ করেছেন। 

ইলিয়াছ আলী বলেন, “টিভি অনুষ্ঠানে পপি বলেছেন, আমার মক্কেল তাকে তার নিজ এলাকায় চলাফেরায় বাধা দিচ্ছেন এবং তাকে উক্ত সম্পত্তিতে তার অংশ থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে এমনটি করছেন।” 

পপির ধারাবাহিক, বিদ্বেষমূলক ও ভিত্তিহীন জনসমক্ষে প্রদত্ত অভিযোগসমূহ তারেক আহমেদ চৌধুরীর পেশাগত অবস্থান ও নৈতিক সুনামকে গুরুতরভাবে হুমকির মুখে ফেলছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে নোটিশো অভিযোগ করা হয়। 

নোটিশে বলা হয়, আপনি অবিলম্বে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে টিভি বা অন্য কোনো জনসমক্ষে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকবেন এবং যে টিভি চ্যানেলে অভিযোগ প্রচারিত হয়েছিল সেই একই সময় টিভি চ্যানেলে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। স্পষ্টভাবে উল্লেখ করবেন যে, আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগসমূহ সম্পূর্ণ অসত্য ও ভিত্তিহীন ছিল। এছাড়া, আপনি উক্ত সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আমার মক্কেলকে আর সম্পৃক্ত করবেন না, কারণ উক্ত বিষয়ে তার কোনো আইনগত অবস্থান বা সম্পৃক্ততা নেই। 

এছাড়া এই আইনি নোটিশ দেওয়ার তারিখ থেকে সাত দিনের মধ্যে উপরোক্ত নির্দেশসমূহ পালন করতে ব্যর্থ হলে পপির বিরুদ্ধে যথাযথ ফৌজদারি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন; যার মধ্যে মানহানি মামলা দায়ের ও তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত সুনামে সৃষ্ট ক্ষতির জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করাসহ সকল আইনানুগ প্রতিকার অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানান আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মণ্ডল।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নায়িকা পপিকে আইনি নোটিশ