শরীয়তপুরে জাতীয় যুব শক্তির কমিটি ঘোষণার ২৫ মিনিটের মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য সচিব আমিন মোহাম্মদ জিতুসহ চারজন।

বাকি তিনজন হলেন, কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. কামাল হোসেন সরল, যুগ্ম-সদস্য সচিব সাবরিন ইসলাম ও সংগঠক রবিউল হাসান। 

আরো পড়ুন:

স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এনসিপি থেকে পদত্যাগ

গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের ৫৯ নেতার পদত্যাগ

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে থেকে তারা দফায় দফায় ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করেন।

জানা যায়, শনিবার রাতে জাতীয় যুব শক্তি শরীয়তপুর জেলা শাখায় ১ বছরের জন্য ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি অনুমোদন করেছেন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো.

তারিকুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম। কমিটিতে কাওসার মৃধাকে আহ্বায়ক ও আমিন মোহাম্মদ জিতুকে সদস্য সচিব করা হয়। 

কমিটি ঘোষণার পরই ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে পদত্যাগের স্ট্যাটাস দেন সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য সচিব আমিন মোহাম্মদ জিতু।

তিনি ওই স্ট্যাটাসে লেখেন, “আমি, আমিন মোহাম্মদ জিতু, জাতীয় যুব শক্তি এনসিপির সদ্য ঘোষিত জেলা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি। তবে ব্যক্তিগত কিছু বিশেষ কারণে বর্তমানে আমি এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে অসমর্থ। সংগঠনের কার্যক্রমে যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় এবং দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন অব্যাহত রাখতে পারে এমন কাউকে সুযোগ দেওয়ার স্বার্থে আমি সদস্য সচিব পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

শেষে তিনি লেখেন, “আমি সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবো এবং ভবিষ্যতেও সংগঠনের অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার চেষ্টা করবো।”

একইভাবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বাকি তিনজন ফেসবুকে পদত্যাগের স্ট্যাটাস দেন।

এ বিষয়ে আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, “আমি পূর্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম। গতকাল (শনিবার) জাতীয় যুব শক্তি জেলা কমিটিতে আমাকে সদস্য সচিব হিসেবে রাখা হয়েছে বলে কমিটি ঘোষণার পর জানতে পেরেছি। তবে আমার ব্যক্তিগত কারণে কমিটির পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। লিখিত পদত্যাগপত্র যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”

যুগ্ম-আহ্বায়ক পদ পাওয়া মো. কামাল হোসেন সরল বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন জেলা কমিটিতে একজন আহত যোদ্ধা হিসেবে মূল্যায়ন না করে ৪১ নাম্বারে রাখা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে নড়িয়ার উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখবে বলে কথা দিয়েছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। এছাড়া আমি আমার ব্যক্তিগত কারণে এ পথ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।”

বিষয়টি জানতে সদ্য ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক কাওসার মৃধা বলেন, “যারা পদত্যাগ করেছে ফেসবুকে তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। অফিসিয়ালি কোনো পদত্যাগপত্র এখন পর্যন্ত জমা দেয়নি তারা। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।”

ঢাকা/আকাশ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ এনস প ফ সব ক কম ট র স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য ‘কূটনৈতিক সৌজন্যের পরিপন্থী’: ঢাকা

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম বাসসকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমরা মনে করি রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য সঠিক ও গঠনমূলক নয় এবং তা শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনকও নয়।”

আরো পড়ুন:

বক্তব্য রাখার সময় ড. ইউনূসের সতর্ক থাকা উচিত: ভারত

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে তিনটি সামরিক স্থাপনা নির্মাণ ভারতের

ভারতের নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল জোশির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজনাথ সিং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘নিজের কথাবার্তায় সতর্ক থাকার’ পরামর্শ দেন।

সাক্ষাৎকারে সিং বলেন, “আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো টানাপোড়েন চাই না, তবে ইউনূসকে তার বক্তব্যে সতর্ক থাকতে হবে।” শুক্রবার নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের একটি গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে।

এ প্রসঙ্গে মুখপাত্র মাহবুবুল আলম বলেন, “ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে।”

তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, “বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ‘সার্বভৌম সমতা, পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার’ ভিত্তিতে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।”

আলম আরো বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যগুলো গঠনমূলক ও শ্রদ্ধাশীল সংলাপের মাধ্যমেই সবচেয়ে ভালোভাবে সমাধান করা সম্ভব।”

সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, “ভারত বাংলাদেশ সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব চায় না।”

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ