রাজধানীর বাংলা মোটরের রূপায়ণ টাওয়ারে অবস্থিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের একজনকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

সোমবার (​১০ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে ককটেল হামলা হয়। 

আরো পড়ুন:

ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দিল্লি, নিহত ১০

শরীয়তপুরে এনসিপি নেতার অফিসে ককটেল হামলা

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীরা পরপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে একটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

আটক যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন ৫০০০ টাকার বিনিময়ে তিনি এই হামলা করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক যুবকের নাম পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের জানান, এনসিপির কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। অবিস্ফোরিত একটি ককটেল উদ্ধার হয়েছে। আটককৃতকে থানায় নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত জুন-জুলাই সময়েও এনসিপি কার্যালয় লক্ষ্য করে কয়েকবার ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। কিছু ঘটনায় দলের কর্মী-সমর্থকরা আহতও হয়েছিলেন।

ঢাকা/এমআর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প আটক ককট ল ব স ফ র এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত হাকিমপুরের কৃষক

দিনাজপুরের হাকিমপুরে আগাম জাতের আলু রোপণকে কেন্দ্র করে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আমন ধান কাটার পর ফাঁকা জমিতে অ্যাস্টেরিক, কার্ডিনাল ও স্বল্পমেয়াদী শাটাল জাতের আলুর বীজ রোপণের কাজ চলছে। 

মৌসুমের শুরুতে আলুর ভালো দামের প্রত্যাশা থাকলেও সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের বাড়তি ব্যয় তাদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

উপজেলার খট্টামাধবপাড়া, ইসবপুর, বোয়ালদাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠজুড়ে হাল চাষ, আগাছা পরিষ্কার, গোবর ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ, বেড তৈরি ও হিমাগার থেকে আনা বীজ রোপণে কৃষকদের ব্যাপক কর্মব্যস্ততা। শীতের আগমনী বার্তায় কৃষিজমিতে যেন উৎসবের আমেজ।

খট্টামাধবপাড়ার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমন ধান কাটার পরপরই আলুর জমি প্রস্তুত শুরু করেছি। হাল চাষ থেকে শুরু করে বীজ আনা, সব মিলিয়ে এখন সবচেয়ে ব্যস্ত সময়। এক বিঘায় খরচ ৪০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আগাম আলু ৫০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যেই বাজারে বিক্রি করা যায় কিন্তু বর্তমান বাজারদর কম। রপ্তানির সুযোগ থাকলে কৃষকেরা বেশি লাভবান হতো।”

ইসবপুরের কৃষক মোজাফফর হোসেন জানান, আগাম আলুর দামে লাভ বেশি থাকায় অ্যাস্টেরিক, কার্ডিনাল ও শাটাল জাতের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। এসব আলুর উৎপাদন প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৫০ মণ পর্যন্ত হয়।

মাধবপাড়ার কৃষক আজিজার রহমান বলেন, “বীজ আলুর দাম কম থাকায় স্বস্তি মিললেও সার ও কীটনাশকের মূল্যবৃদ্ধি হিসাব বদলে দিয়েছে। বাজারদর না বাড়লে লোকসান অনিবার্য।”

এ মৌসুমে শ্রমিকরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমির বিভিন্ন ধাপে তাদের কাজ চলছে। স্থানীয় শ্রমিক রেজাউল করিম জানান, আগাম আলুর মৌসুমে কাজ বেশি থাকে, আয়ও ভালো হয়।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, “আগাম আলু চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে। চলতি বছর উপজেলায় ১ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, এরইমধ্যে ৬০ হেক্টরে বীজ রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।”

ঢাকা/মোসলেম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ