‘মেসির চেয়ে রোনালদোর ২০২৬ বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা বেশি’
Published: 11th, November 2025 GMT
২০২৬ বিশ্বকাপের আর বেশি দেরি নেই। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় আগামী ১১ জুন থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপ। লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আগামী বিশ্বকাপে খেলবেন কি না, সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো নিশ্চিত নয়। কিন্তু বাতাসের গতিপ্রকৃতি বলছে, ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ তাঁরা এখনো খেলে ফেলেননি। ৩৮ বছর বয়সী মেসি গত মাসেও যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে বলেছেন, ‘আমি সেখানে (২০২৬ বিশ্বকাপ) থাকতে চাই।’ ৪০ বছর বয়সী রোনালদোও এর আগে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছার কথা বলেছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, মেসির আর্জেন্টিনা ও রোনালদোর পর্তুগালের মধ্যে কোন দলের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা বেশি?
ওয়েসলি স্নেইডারকে ঠিক এ প্রশ্নই করা হয়েছিল। নেদারল্যান্ডসের হয়ে ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা সাবেক এ মিডফিল্ডারকে নিশ্চয়ই চিনতে পেরেছেন? স্নেইডার অনেকের বিচারেই তাঁর প্রজন্মের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। আয়াক্স, রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান ও গালাতাসারাইয়ের মতো ক্লাবে খেলেছেন। তুরস্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও স্পেনে জিতেছেন শীর্ষ লিগ। চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতেন ইন্টার মিলানের হয়ে। ‘ডেড বল’ বিশেষজ্ঞ হিসেবেও তাঁকে স্মরণ করেন অনেকেই। সেই স্নেইডার ২০২৬ বিশ্বকাপ জয়ে মেসির আর্জেন্টিনার চেয়ে এগিয়ে রাখলেন রোনালদোর পর্তুগালকে।
কাতারে আর্জেন্টিনার হয়ে ২০২২ বিশ্বকাপ জেতেন মেসি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বক প জ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের নজর এবার নিউইয়র্ক রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ, লড়বেন তাঁর ঘনিষ্ঠ এলিস স্টেফানিক
নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির কাছে তাঁর সমর্থিত প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোর পরাজয়কে যেন মেনে নিতে পারছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই তিনি এবার নিউইয়র্ক রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া। এ কারণেই কিনা তাঁর ঘনিষ্ঠ রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান (প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য) এলিস স্টেফানিক নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর পদে লড়াইয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন।
২০২৬ সালের নভেম্বরে এই রাজ্যে গভর্নর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তাঁর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ডেমোক্রেটিক দলীয় গভর্নর ক্যাথি হচুল।
নিজের নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়ে স্টেফানিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’–এ (সাবেক টুইটার) ক্যাথি হচুলকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বাজে গভর্নর’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি অভিযোগ করেন, হচুলের ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে নিউইয়র্ক বর্তমানে ‘দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল রাজ্যে’ পরিণত হয়েছে।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র৪১ বছর বয়সী এলিস স্টেফানিক ২০১৪ সাল থেকে নিউইয়র্কের ২১তম কংগ্রেসনাল আসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০১৯ সালে ট্রাম্পের প্রথম অভিশংসনের সময় স্টেফানিক তাঁর অন্যতম প্রধান সমর্থক হিসেবে আবির্ভূত হন।
স্টেফানিক তাঁর সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী হচুলকে নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির প্রতি দেরিতে সমর্থন জানানোরও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, হচুল ‘নিউইয়র্ক পুলিশের তহবিল বন্ধ এবং কর বৃদ্ধির উদ্যোগী কমিউনিস্ট’ জোহরান মামদানির কাছে মাথা নত করেছেন। জোহরানের এসব উদ্যোগ নিউইয়র্কে বসবাসরত পরিবারগুলোর জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
হচুলের পাল্টা জবাবস্টেফানিকের ঘোষণার পরপরই গভর্নর ক্যাথি হচুলও কড়া জবাব দিয়েছেন। তিনি রিপাবলিকান প্রতিনিধিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘কংগ্রেসে এক নম্বর চিয়ারলিডার এবং নিউইয়র্কের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের যুদ্ধে ডান হাতের নারী’ বলে অভিহিত করেছেন।
ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে স্টেফানিককে জাতিসংঘে মার্কিন দূত পদে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তবে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রক্ষার কথা বিবেচনা করে পরে সেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
জরিপ ও চ্যালেঞ্জগত সেপ্টেম্বরে সিয়েনা কলেজের এক জরিপে দেখা যায়, হচুলের প্রতি জনসমর্থন রয়েছে ৫২ শতাংশ। অন্যদিকে স্টেফানিকের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন নিউইয়র্কের ২৭ শতাংশ ভোটার। সেই দিক বিবেচনায় নিলে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হচুল অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন।
তবে সিয়েনার ওই জরিপে হচুলের নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষের চিত্রও উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৫২ শতাংশ ভোটার জানান, তাঁরা ২০২৬ সালে অন্য কাউকে গভর্নর হিসেবে দেখতে চান।
স্টেফানিককে গভর্নর পদে রিপাবলিকান দলের প্রাইমারিতে (দলীয় প্রাথমিক বাছাই) প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হতে পারেন। আবার হচুলও তাঁর লেফটেন্যান্ট গভর্নর অ্যান্টনি ডেলগাডোর কাছ থেকে ডেমোক্রেটিক দলের প্রাইমারিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন।
নিউইয়র্কে রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচিত সর্বশেষ গভর্নর ছিলেন জর্জ পাটাকি। তিনি ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।