বাবা ডাববিক্রেতা, মা পরিচারিকা; এই অভিনেতার গল্প সিনেমাকেও হার মানায়
Published: 25th, November 2025 GMT
বলিউডের কোনো অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনের গল্প অনেক সময় পর্দার গল্পকেও হার মানায়; বিশাল জেঠওয়া তেমনই একজন। চলতি বছর নীরজ ঘেওনের ‘হোমবাউন্ড’ সিনেমা দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় থাকা এই অভিনেতার এক বস্তি থেকে অস্কার পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চলতি বছর ভারত থেকে অস্কারে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ‘হোমবাউন্ড’কে; গত সপ্তাহে ওটিটিতে মুক্তির পর থেকে বাংলাদেশি দর্শকেরাও মজেছেন এই সিনেমায়। তবে অনেকেই জানেন না পর্দায় দুর্দান্ত অভিনয় করা বিশালের গল্প।
বস্তির দিনগুলো
১৯৯৪ সালের ৬ জুলাই এক গুজরাটি পরিবারে বিশালের জন্ম হয়। বাবা নরেশ জেঠওয়া ও মা প্রীতি জেঠওয়া। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা বিশাল ছোট থেকে অভাবের মধ্যে বড় হয়েছেন। জীবিকার খোঁজে বিশালের বাবা একসময় মুম্বাই পাড়ি দেন। বাণিজ্য নগরীতে এসে অকূলপাথারে পড়েছিল জেঠওয়া পরিবার। ছোটখাটো কাজকর্ম করে যা আয় হতো, তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই পরিবারের অন্ন সংস্থান করার জন্য মুম্বাইয়ের সড়কে ডাব বিক্রি করা শুরু করেন নরেশ। মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছিল ঘিঞ্জি বস্তিতে। ছোট থেকে অভাব নিত্যসঙ্গী হলেও লেখাপড়ার জন্য ছেলেকে উৎসাহ দিতে নরেশ ও প্রীতি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হেমন্তে
বাবলাগাছে বসে রয়েছে এক পাখি
হয়তো হরিয়াল অথবা বেনেবউ,
দেখছি দূর থেকে এখনই উড়ে যাবে
নিকটে যাই যত, ততই দূরে যায়
আমিও ঘুরে ঘুরে দেখছি জঙ্গল
কোথায় আছে জল, কোথায় নীরবতা
যখনই ফাঁদ পাতি, শিকারি চোখ রাখি
নিকাব খসে পড়ে, প্রবল লজ্জায়
দোভাষী হয়ে আছে সঙ্গে কবুতর
ভাষার বদলে সে, শিখেছে ছলাকলা
হয় না যোগাযোগ কখনো কারও সাথে
তবু এ হেমন্তে, কেন যে হই ফানা
গুহার মুখে বসে দেখছি ঘন রাত
সাজানো তাঁবু এক পাশেই পড়ে থাকে
হিমেল হাওয়া আসে সাপের দেহ ছুঁয়ে
কুয়াশা বুনে যায় অসীম শূন্যতা
কত কী মনে পড়ে, কত কী ভুলে যাই
কখনো হয়তোবা নিজের পরিচয়—
হয়তো বেনেবউ অথবা হরিয়াল,
আমার নাম ধরে তখনো ডেকে যায়...