৪৭তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা পিএসসির
Published: 25th, November 2025 GMT
৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর শুরু হবে। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) গতকাল সোমবার লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি ও আসনবিন্যাস প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা।
পরীক্ষাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা১. সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে হলের গেট (সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের) বন্ধ হয়ে যাবে। ৯টা ৩০ মিনিটের পর কাউকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না;
২.
৩. ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রার্থীর নামে পৃথক প্রবেশপত্র জারি করা হয়েছে। কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) টেস্টের প্রবেশপত্র দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না;
////////////////৪. মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি, পকেটঘড়ি, ইলেকট্রনিক ঘড়ি, সব ধরনের ইলেকট্রনিক যোগাযোগযন্ত্র, বইপুস্তক, ব্যাগ, মানিব্যাগ, ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ড, ক্যালকুলেটর (গাণিতিক যুক্তি) আবশ্যিক বিষয়ের জন্য কেবল সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে;////////////////
আরও পড়ুনজুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে বিশাল নিয়োগ, পদ ১১৫২২৩ নভেম্বর ২০২৫৫. পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে কেবল গণিত, ফলিত গণিত, পদার্থবিদ্যা, ফলিত পদার্থ, ইলেকট্রনিকস, হিসাববিজ্ঞান, ফিন্যান্স, মার্কেটিং, কম্পিউটার সায়েন্স, পরিসংখ্যান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ক্ষেত্রে সায়েন্টিফিক নন-প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে;
৬. পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা মুখ ও কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না;
৭. পদসংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান (বিষয় কোড-৯৮১) বিষয়ের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা Hypothesis (অনুমান ও নাস্তিকল্পনা) Testing এবং পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে ব্যবহৃত পরিসংখ্যানিক সারণি নিয়ে আসতে পারবেন;
৮. পরীক্ষার দিন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য যেসব পরীক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, তা তাঁদের সঙ্গে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
আরও পড়ুনযে ১০ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সবচেয়ে কঠিন৬ ঘণ্টা আগেপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের শ্রুতলেখক প্রদানসংক্রান্ত—৯. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের শ্রুতলেখক প্রয়োজন, তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন থেকে নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রুতলেখক প্রদান করা হবে। প্রতিবন্ধী প্রার্থীর আবেদন অনুযায়ী কেবল কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত শ্রুতলেখককে ছবিসংবলিত অনুমতিপত্র প্রদান করা হবে। কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ও প্রদত্ত শ্রুতলেখক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তিকে শ্রুতলেখক হিসেবে গ্রহণ করা হবে না;
১০. শ্রুতলেখকদের (শুধু দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য) প্রতি ঘণ্টার পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রতিটি কক্ষে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার আওতায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। যেকোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বল/গ্রহণ থেকে প্রার্থীদের বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন৪৭তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষা দুই দিন পরে, পেছানোর দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত৩ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল খ ত পর ক ষ পর স খ য ন পর ক ষ র থ গ রহণ কর ব স এস র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নানা আয়োজনে ইবির ৪৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে দুই পর্বে অনুষ্ঠান আয়োজন করে প্রশাসন।
আরো পড়ুন:
ইবিতে দলিল ও খতিয়ান-বিষয়ক কর্মশালা
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কেক কাটা, শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে সব বিভাগ ও হল, ইউট্যাব, জিয়া পরিষদ, শাখা ছাত্রদল, জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা ইউনিট স্ব স্ব ব্যানারে অংশ নেয়।
শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় ইউট্যাব, জিয়া পরিষদ, শাখা ছাত্রদল ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় উপাচার্য বলেন, “ইবি প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল ইসলামিক শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে একটি কার্যকর ‘কম্বাইন্ড এডুকেশন সিস্টেম’ গড়ে তোলা। কিন্তু শুরু থেকে পরিকল্পনা ও কর্মপরিকল্পনায় কিছু ত্রুটির কারণে আমরা মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির মতো ধারাবাহিক অগ্রগতি অর্জন করতে পারিনি। এ ব্যর্থতার দায় কোনো একক ব্যক্তির নয়, এটি রাষ্ট্রের নীতি, সমাজের কাঠামো এবং সবার সম্মিলিত ত্রুটির ফল।”
তিনি আরো বলেন, “৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো জ্ঞানকে ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পুনর্গঠন করা। আমরা এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে চাই, যেখানে বিজ্ঞান, আধুনিকতা, সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিকবিদ্যা এবং ইসলাম সব শাখাই সমন্বিত কাঠামোর মধ্যে বিকশিত হবে। এই সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে।
পরে বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়াসহ মিলনায়তনে ইরানী চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এদিকে, ৪৭তম দিবস উপলক্ষে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম উপেক্ষিতসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা সভায় যোগ দিয়েও তা বর্জন করে শাখা ছাত্রদল।
ছাত্রদেলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের পরিবর্তে ইরানি চলচ্চিত্র দেখানো হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। প্রশাসনের আয়োজন গত বছরের চেয়েও খারাপ হয়েছে। আমরা হলে ফিস্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছিলাম, কিন্তু তারা কোনো গুরুত্ব দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়ার নাম ও ছবি বাদ দেওয়া এটা শিক্ষার্থীদের প্রতি অপমান। কেক কাটার সময় বিশৃঙ্খলা হয়েছে, আর আমাদের শুধু নামমাত্র ডাকা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মতো দিনে প্রশাসনের অবহেলা ও উদাসীনতা অগ্রহণযোগ্য। তাই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনাসভা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
অবশ্য বেলা সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মঞ্চে মনোঞ্জ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শাখা ছাত্রদল। এতে গান, নৃত্য, নাটক পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী