পিঠের চোটে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে খেলতে পারবেন না অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে পার্থে ২১ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া সেই টেস্টে না থাকলেও ব্রিসবেনে পরের টেস্টেই তাঁর ফেরার কথা। এই ফাঁকেই সাংসারিক জীবনে একটা বড় সিদ্ধান্ত নিলেন অস্ট্রেলিয়ান এই পেসার। সিডনির অন্যতম অভিজাত এলাকায় কিনে ফেললেন এক রাজকীয় বাড়ি, যার দাম ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৯৫ কোটি ২০ লাখ টাকা)!

সিডনির ব্রন্ট এলাকায় ১৩৭ বছরের পুরোনো ভিক্টোরিয়ান ঐতিহ্যের এই বাড়ি বেছে নেওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা কামিন্সের স্ত্রী বেকি বস্টনের, যিনি পেশায় একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। শহরের উপকূলঘেঁষা সবচেয়ে অভিজাত এলাকায় অবস্থিত এ বাড়ি তৈরি হয়েছিল ১৮৮৮ সালে। দ্বিতল বাড়িটি ৭৩০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। আছে পাঁচটি শোবার ঘর ও চারটি বাথরুম।

ব্যক্তিগত জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাড়িটি কিনলেন কামিন্স দম্পতি। এ বছরই ফেব্রুয়ারিতে কামিন্স দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান এসেছে পৃথিবীতে, জন্ম নিয়েছে তাঁদের মেয়ে এডি। বাড়িতে এখন সে আর তার চার বছরের ভাই আলবি। পরিবারের সদস্য বেড়েছে, সে কারণেই বড় বাড়ি লাগছে হয়তো।

চোট থেকে ফেরার চেষ্টায় থাকা কামিন্সের সন্তানদের সঙ্গে ভালোই সময় কাটছে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভিসা–জটিলতায় কপ৩০ সম্মেলনে যেতে পারল না নওশীন ও নুর

ভিসা–জটিলতার কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় শিশুদের প্রতিনিধি হিসেবে সাতক্ষীরার দুই শিক্ষার্থী ব্রাজিলে জাতিসংঘের জলবায়ু-সংক্রান্ত ৩০তম সম্মেলন বা কপ৩০ সম্মেলনে অংশ নিতে পারছে না। গতকাল সোমবার রাত একটায় এমিরেটস এয়ারলাইনসে নওশীন ইসলাম ও নুর আহমদের ব্রাজিলে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।

দুই শিক্ষার্থীর এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুযোগ এসেছিল বেসরকারি সংস্থা জাগ্রত যুব সংঘের (জেজেএস) ‘স্ট্রেংদেনিং চিলড্রেনস ভয়েস অ্যান্ড লিডারশিপ ইন অ্যাড্রেসিং ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার রিস্ক ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের মাধ্যমে। এই প্রকল্পের প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক নবকুমার সাহা জানান, জাতিসংঘের ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ায় ওই দুই শিক্ষার্থী ব্রাজিলে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশে কর্মরত ব্রজিলের দূতাবাসে ভিসার জন্য অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আবেদন করে। দূতাবাস থেকে গত ৩০ অক্টোবর প্রথম দফায় সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে আবার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। বিকেল চারটার দিকে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ব্রাজিল থেকে অনুমোদন না আসায় আপাতত ভিসা দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনে দুই শিক্ষার্থী যোগ দিতে পারছে না।

ব্রাজিলের আমাজনের শহর বেলেমে বসছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবায়ু সম্মেলন (কপ৩০)। সম্মেলনে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত পৃথিবীকে রক্ষার নতুন অঙ্গীকার নিয়ে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের ১৫০টি দেশের ১২ হাজারের বেশি প্রতিনিধি। বিশাল ওই আয়োজনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল সাতক্ষীরার দুই শিক্ষার্থী নওশীন ইসলাম ও নুর আহমদের। বাংলাদেশ থেকে শিশু প্রতিনিধি হিসেবে তাদের এই যাত্রা উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বাস্তবতা তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। নওশীন ইসলাম সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও প্রতাপনগর ইউনাইটেড বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নুর আহমদ শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের যতীন্দ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা ও সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

ব্রাজিলে বিশ্ব জলাবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে না পারায় নওশীন ইসলাম ও নুর আহমদ জানায়, এ ঘটনায় তারা হতাশ। তারা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পারল না। জানাতে পারল না কীভাবে তারা আন্দোলন ও সংগ্রাম করে বেঁচে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ