অবসরের পর আবার নতুন সূচনা: বার্সায় আরও দুই বছর থাকছেন সেজনি
Published: 8th, July 2025 GMT
ক্লাব ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায় ভেবেই হয়তো বিদায় বলেছিলেন পেশাদার ফুটবলকে। কিন্তু বাস্তবতা যেন লিখে দিলো এক নতুন চিত্রনাট্য। অবসর ভেঙে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর গোলপোস্টে নিজের দক্ষতা দেখিয়ে এখন ক্লাবটির পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছেন পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। এবার তিনি চুক্তি নবায়ন করেছেন আরও দুই বছরের জন্য, অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত থাকছেন কাতালানদের হয়েই।
সোমবার (৭ জুলাই) বার্সেলোনা ক্লাবের পক্ষ থেকে অফিসিয়াল বিবৃতিতে সেজনির সঙ্গে নতুন চুক্তির ঘোষণা আসে। এর আগে মে মাসে সেজনি জানিয়েছিলেন, বার্সার প্রস্তাব নিয়ে তিনি ও তার স্ত্রী পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সেই ভাবনাই বাস্তবতায় রূপ পেল।
গত বছর আগস্টে জুভেন্টাস ছেড়ে সেজনি ঘোষণা দেন অবসরের। কিন্তু বার্সার প্রথম গোলকিপার মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান গুরুতর চোটে পড়লে মৌসুমের মাঝপথে তাকে ফেরাতে হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন এই অভিজ্ঞ পোলিশ গোলকিপার। যোগ দেন শুধু বাকি মৌসুমের জন্য, কিন্তু এরপর বদলে যায় পুরো গল্প।
আরো পড়ুন:
২০৩১ সাল পর্যন্ত বার্সায় ইয়ামাল, হলেন সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত খেলোয়াড়
লেভানডোভস্কির শততম গোলে মৌসুম শেষ করলো চ্যাম্পিয়ন বার্সা
৩০টি ম্যাচে গোলপোস্টের নিচে দায়িত্ব নিয়ে সেজনি বার্সেলোনার কোচ হান্সি ফ্লিকের আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠেন। তার সুরক্ষায় বার্সা জিতেছে লা লিগা, কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা।
বর্তমানে বার্সেলোনার গোলপোস্ট নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও তীব্র। দলে আছেন স্টেগান, ইনিয়াকি পেনিয়া এবং নতুন যোগ দেওয়া তরুণ হোয়ান গার্সিয়া। একাধিক গোলকিপার থাকায় কাউকে না কাউকে ছাড়তে হতে পারে। ইতিমধ্যেই পেনিয়া অন্য ক্লাবের সন্ধান শুরু করেছেন বলে জানাচ্ছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো। স্টেগানের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি অনিশ্চিত, ভালো অফার পেলে ক্লাব তাকে বিক্রিতে রাজি।
২০০৯ সালে আর্সেনালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সেজনি। সেখান থেকে ব্রেন্টফোর্ড ও রোমায় ধারে খেলেন। এরপর ২০১৭ সালে পাড়ি জমান জুভেন্টাসে, যেখানে তার ঝুলিতে জমে ৩টি সিরি’আ শিরোপা। জাতীয় দলে ৮৪ ম্যাচ খেলেছেন পোল্যান্ডের হয়ে।
এখন, ৩৫ বছর বয়সেও সেজনির বার্সেলোনা অধ্যায় যেন এক প্রেরণার গল্প। অবসর বলে কিছু নেই, যদি মন থেকে খেলা ছাড়তে না চান।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শেষে ফুড ডেলিভারির চাকরি
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ফুড ডেলিভারির কাজ করছেন চীনের এক ব্যক্তি। জুতসই চাকরি না পেয়ে কঠোর পরিশ্রমের এই পেশা বেছে নিয়েছেন তিনি। নিজের পরিশ্রমের গল্প সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে পোস্ট করে তরুণদের উৎসাহ জোগাচ্ছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে।
চীনের ওই ব্যক্তির নাম দিং ইউয়াংঝু (৩৯)। তাঁর বাড়ি চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে। ২০০৪ সালে চীনের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেন। এই পরীক্ষা গাওকাও নামে পরিচিত।
এরপর সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক পাস করেন দিং। চীনের আরেকটি সম্মানজনক বিশ্ববিদ্যালয় পিকিং ইউনিভার্সিটি থেকে জ্বালানি প্রকৌশল নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
দিং ইউয়াংঝুর উচ্চশিক্ষা এখানেই থেমে যায়নি। এরপর সিঙ্গাপুরের নানাইয়াং টেকনোলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর শীর্ষস্থানীয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববৈচিত্র্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
পড়াশোনা শেষ করে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট ডক্টরাল গবেষক হিসেবে কাজ করেন ইউয়াংঝু। গত মার্চে তাঁর চাকরির চুক্তি শেষ হয়ে যায়। চাকরি হারানোর পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একাধিক জীবনবৃত্তান্ত পাঠান। অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠানে মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার ডাক পান। কিন্তু কোথাও ভালো চাকরি মেলেনি।
উপায়ন্তর না দেখে ইউয়াংঝু সিঙ্গাপুরের একটি ফুড ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানে কর্মী হিসেবে নিবন্ধন করেন।
দিং ইউয়াংঝু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাকরি নিয়ে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘এটা একটা স্থায়ী চাকরি। এই আয় দিয়ে আমি পরিবারকে সাহায্য করতে পারি।’
কয়েক মাস পর ইউয়াংঝু সিঙ্গাপুর থেকে আবার চীনে ফিরে যান। বর্তমানে বেইজিংয়ের মেইতুয়ানে একজন ফুড ডেলিভারি কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। মেইতুয়ান হলো চীনের একটি শীর্ষস্থানীয় কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম।
চীনে প্রতিবছরের জুনে গাওকাও পরীক্ষা হয়। মাস শেষে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি ইউয়াংঝু একটি ভিডিও পোস্ট করে গাওকাও পরীক্ষা শেষ করা শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিয়েছেন।