২০২২ সালে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘শাটিকাপ’ বানিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন রাজশাহীর তরুণ নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম। অপেশাদার শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে নির্মিত সিরিজটি দেখে দর্শকেরা নড়েচড়ে বসেছিলেন।
বছর দুয়েক পর ২০২৪ সালে নির্মাণ করেন আরেক সিরিজ ‘সিনপাট’। সিরিজ বানিয়ে ওটিটিতে নিজের ভিত শক্ত করেছেন তাওকীর। বেশ কয়েকটি পুরস্কারও ঝুলিতে ভরেছেন এই তরুণ নির্মাতা।

এবার ক্যারিয়ারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নিয়ে আসছেন তাওকীর, নাম ‘দেলুপি’। সিনেমার দৃশ্যধারণ শেষ, এ বছরই মুক্তির পরিকল্পনার কথা রয়েছে। সিনেমার নামকরণ নিয়ে তাওকীর জানান, ‘দেলুপি’ নামটি এসেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়ন থেকে। সেই অঞ্চলের মানুষের জীবন, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাল্পনিক বাস্তবতা হিসেবে দেলুপির গল্প লেখা। যা শুধু এই অঞ্চলের নয়; বরং একই সঙ্গে দেশের সর্বস্তরের মানুষের জীবনের সঙ্গে মেলাতে পারবে। সিনেমার শুটিং থেকে শুরু করে অভিনয়শিল্পী—সবই স্থানীয়। গল্পেই লুকিয়ে আছে সিনেমার শক্তি।

তাওকীর বলেন, ‘আমি সব সময়ই বাস্তব মানুষের গল্প বলতে চেয়েছি। “দেলুপি” মূলত সে চেষ্টারই আরেক ধাপ। এই সিনেমার প্রতিটি চরিত্র, প্রতিটি ফ্রেম আসলে মানুষ ও তাদের জীবনের অংশ। আমার কাছে সব সময় বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল সত্যিকার অনুভূতি তুলে ধরা।’

আরও পড়ুন‘শাটিকাপ’ অভিনেতারা পেলেন ব্যাগভর্তি টাকা, সঙ্গে রহস্যজনক কাপ১৮ আগস্ট ২০২৪

সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশন। গতকাল বৃহস্পতিকার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে সিনেমাটির ঘোষণা দেওয়া হয়। এর বাইরে ‘অদ-ভূত’ নামে আরেকটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন তাওকীর। ছবিটির প্রি–প্রোডাকশনের কাজ চলছে। এটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছে।
তাওকীরের জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাজশাহীতে। স্কুলে পড়াকালে ২০০৯ সালে প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কঙ্কপুরাণ’ নির্মাণ করেন। এরপর নির্মাণ করেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘গ্যাস বেলুন’, ‘লামা’, ‘দ্য ইফনিট’, ‘গোল ও যোগ’, ‘সিনেমার নাম খুঁজছি’, ‘আয়না ও সর্বোচ্চ গতিসীমা’।
সিনেমা নিয়ে দিল্লির এশিয়ান স্কুল অব মিডিয়া স্টাডিজ থেকে পড়ালেখা করেছেন তাওকীর।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ম ণ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অতিরিক্ত হাঁচি হলে শরীরে যেসব পরিবর্তন দেখা দিতে পারে 

হাঁচি দেওয়ার সময ফুসফুস থেকে নাক ও মুখের মধ্য দিয়ে বাতাস দ্রুতগতিতে বেরিয়ে আসে। এই গতির কারণে হাঁচির কণা প্রায় ২ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। এর ফলে কিছু ক্ষেত্রে কিছু ক্ষেত্রে কানের আঘাত, সাইনাস সংক্রমণ বা রক্তনালীর ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়াও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

এক. অতিরিক্ত হাঁচি দিলে কানের ওপর চাপ পড়ে এবং কানের সূক্ষ্ম রক্তনালী ছিঁড়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুন:

রাতে হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

শীতকালে জলপাই কেন খাবেন?

দুই. অতিরিক্ত হাঁচি সাইনাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং সংক্রমণের কারণ হতে পারে।

তিন. হাঁচির সময় রক্তচাপ বেড়ে যায়, যা রক্তনালীর ক্ষতি করতে পারে।

চার. কিছু বিরল ক্ষেত্রে হাঁচির কারণে মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, যেমন দুর্বলতা বা দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

কখন ডাক্তার দেখাবেন 

হাঁচির সঙ্গে যদি জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মতো অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ থাকে। কিংবা  অ্যালার্জি দেখা দেয় তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

সূত্র: দ্য কনভার্সেশন ডট কম

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ