বাংলাদেশের বাস্তবতায় কাজ করা কঠিন: সিইসি
Published: 27th, September 2025 GMT
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, “বাংলাদেশে কাজ করা খুবই ডিফিকাল্ট (কঠিন)। পার্টিকুলারলি যেই অবস্থার মধ্য দিয়ে দেশ যাচ্ছে, তাতে কাজ আদায় করে নেওয়া কঠিন। কিছু কিছু পক্ষের লোকের জন্য খুব সুবিধা, আর বেশিরভাগ পক্ষের লোকের জন্য ডিফিকাল্ট। এই সিচুয়েশনে আমরা এখন এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছি।”
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
কোনো দলের পক্ষে কাজ করা যাবে না: সিইসি
প্রবাসী ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা হবে: সিইসি
নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন আরো বলেন, “আপনারা ওয়াদা করেছিলেন নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন এবং প্রফেশনালি কাজ করবেন। আইন মেনে কাজ করবেন।”
সিইসি বলেন, “আমরা ইলেকশনের জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি এবং বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে কাজ করছি। এতে আমরা অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি।”
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, “আমি চাই কোনো দলের পক্ষে হয়ে কেউ কাজ করবেন না। এটা আমরা প্রত্যাশা করি না এবং আপনারা আজকে ওয়াদা করলেন—যেকোনো ব্যক্তি বা পক্ষের পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে আপনারা কোনো কাজ করবেন না।”
নির্বাচনি কর্মকর্তাদের সিইসি বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ আইন ও বিধি মোতাবেক, সঠিক কাজটি সঠিকভাবে করার নির্দেশনা দেব। কাজটা সঠিকভাবে আপনারা করছেন এবং সেটা যে আপনারা সঠিকভাবে করছেন, তা আমরা নিশ্চিত করব।”
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “সিভিল সারভেন্ট ইজ এ পলিটিক্যাল পারসন। হি মাস্ট বি পলিটিক্যাল। বাট হি অর শি শুড বি নন পার্টিশন। আপনি কোনো দল করতে পারবেন না, কিন্তু ভোটটা একজনকে দেবেন।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “এই নির্বাচন একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সুতরাং, আমাদের বিশেষভাবেই এটা মোকাবিলা করতে হবে। বিশেষভাবেই এইটা ফেস করতে হবে, বিশেষ অ্যারেঞ্জমেন্টের মাধ্যমেই এটাকে আমদের এগিয়ে নিতে হবে।”
‘আগামী নির্বাচন ঐতিহাসিক হবে’ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, “অতীতে যা-ই করে থাকুন, আমাদের প্রমাণ করতে হবে আমরা এটা পারি। এর কোনো ব্যতিক্রম হওয়ার সুযোগ নেই। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমি এটা নিশ্চিত করব।”
একই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসি আবুল ফজল মো.
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, “আপনারা একবার চোখ বন্ধ করে চিন্তা করেন, ভালো নির্বাচন হলে কি এ ধরনের ঘটনা ঘটত? আমরা এ ধরনের নির্বাচন করব না, নির্বাচনের অংশ হব না। এই নির্বাচন কমিশন কখনোই আপনাদের পক্ষপাতদুষ্ট কোনো নির্বাচনের নির্দেশনা দেবে।”
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো চাপ কোনো ইনসট্রাকশন কোনো ধরনের ইনিয়ে বিনিয়ে কিছু বলা হবে না। আইন অনুযায়ী সুষ্ঠ নির্বাচন হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। স্বচ্ছ নির্বাচন হতেই হবে।”
ইসি আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “নির্বাচনের ব্যাপারে, নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে অনেক অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন ভালো নির্বাচন করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই।”
বিগত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উদাহরণ টেনে ইসি তাহমিদা আহমদ বলেন, “বিগত দিনে যেটা হয়েছে, আমরা দেখেছি, আপনারা দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। আপনাদের অবস্থা ছিল হৈমন্তী শুক্লার গানের মতো ‘আমার করার কিছুই ছিল, না চেয়ে চেয়ে দেখলাম’ এর মতো, কিন্তু এবার হবে উল্টো। মানে চেয়ে চেয়ে দেখার আর সময় থাকবে না। আপনারা খালি কাজ করতেই থাকবেন। তবে এটাও ঠিক, আমরা সবাই কি চেয়ে দেখেছিলাম? আমরা কেউ কেউ তো আবার একটু বেশি উৎসাহী হচ্ছিলাম।”
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, “অতীতের যেকোনো নির্বাচনের থেকে আসন্ন নির্বাচন চ্যালেঞ্জের। আমরা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করতে চাই।”
আখতার আহমেদ বলেন, “ইসির চ্যালেঞ্জ দুটি। একটি হলো এআইয়ের অপপ্রয়োগ, আরেকটি প্রবাসীদের ভোটাধিকার। আমরা প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করব। ধাপে ধাপে কাজ করছি, ওভারনাইট কিছু হবে না। আমরা কাজ করে সব কিছু আদায় করতে চাই। ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই, এটির জন্য জাতি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কোনো কৃপণতা নেই। আমরা চেষ্টা করছি সব কাজ ভালোভাবে করতে।”
নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার এবং পোস্টাল ভোটিংয়ের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে বলেও জানান ইসি সচিব।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইস ইস কর মকর ত দ র ক জ করব ন আম দ র র জন য ক জ কর আপন র অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের সেরা কর্মস্থল হিলটন হোটেল, সেরা তালিকায় আছে মেটলাইফ
আধুনিক মানুষের দিনের বড় একটা সময় যায় কর্মস্থলে। ফলে সেই কর্মস্থলের পরিবেশ কেমন, কর্তৃপক্ষ কর্মীদের কথা কতটা ভাবছে—এ সবকিছু এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে।
সম্মান, নিরাপত্তা, উন্নতির সুযোগ ও কাজের অর্থবহতা আছে—মানুষ সাধারণত এমন কর্মস্থলই চায়। এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। তারা মূলত বিশ্বের সেরা ২৫ কর্মস্থলের তালিকা করে। সেই তালিকায় সবার ওপরে আছে হিলটন হোটেল। মূলত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে নিয়ে এই জরিপ ও তালিকা করা হয়েছে।
এবারের তালিকায় ২৫টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি যুক্তরাষ্ট্রের। অন্যগুলো বিভিন্ন দেশের, মূলত ইউরোপের। কোম্পানিগুলোর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে—২৫টি কোম্পানির মধ্যে ৮টি এই খাতের। এ ছাড়া নির্মাণ, জৈব ওষুধ, উৎপাদন, কুরিয়ার, আর্থিক ও পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানিগুলোও তালিকায় আছে।
সেই বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি কোম্পানি হলো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জীবনবিমা কোম্পানি মেটলাইফ। ২০২৫ সালে দশম স্থান অর্জন করে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ বৈশ্বিক স্বীকৃতি ধরে রাখল কোম্পানিটি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম রয়েছে।
৯০ লাখের বেশি উত্তরের ওপর ভিত্তি করে ফরচুনের সেরা ২৫টি কর্মক্ষেত্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জরিপ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী আড়াই কোটি কর্মীর কাজের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরা হয়েছে।
এ বিষয়ে মেটলাইফের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মিশেল খালাফ বলেন, ‘টানা দ্বিতীয় বছরের মতো বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকায় স্থান পাওয়া কর্মীদের নিষ্ঠা ও উদ্যোগের প্রমাণ।’
কারা আছে তালিকায়দেখে নেওয়া যাক এবারের তালিকায় কোন কোন দেশের কোম্পানি আছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে কুরিয়ার ও যাতায়াত খাতের কোম্পানি ডিএইচএল। তৃতীয় স্থানে আছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সিসকো। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রে। চতুর্থ স্থানে আছে পেশাদার সেবা দেওয়া আইরিশ কোম্পানি অ্যাক্সেনচিউর, পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিশ্বখ্যাত হোটেল ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল। ষষ্ঠ স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি অ্যাব ভিয়ে, সপ্তম স্থানে আছে ফ্রান্সের পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানি টিপি। অষ্টম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনভিত্তিক কোম্পানি স্ট্রাইকার, নবম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি সেলস ফোর্স।
দশম স্থানে আছে মার্কিন বিমা কোম্পানি মেটলাইফ, ১১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সার্ভিস নাউ। ১২তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রেতা কোম্পানি স্পেকসেভার্স। ১৩তম স্থানে আছে জার্মানির স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি সিমেন্স হেলদিনেস; ১৪তম স্থানে আছে আইরিশ তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এক্সপেরিয়েন। ১৫তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এনভিডিয়া, ১৬তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি কেডেন্স। ১৭তম স্থানে আছে জার্মানির বিমা ও আর্থিক কোম্পানি আলিয়াঞ্জ এবং ১৮তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের কোম্পানি ডাও।
১৯ থেকে ২১তম স্থানে আছে তিনটি মার্কিন কোম্পানি। ১৯তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি ভিয়াট্রিস, ২০তম স্থানে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাডোবি, ২১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ক্রাউডস্ট্রাইক।
২২ ও ২৩তম স্থানেও আছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানি—উৎপাদন খাতের এসসি জনসন ও খুচরা বিক্রয় খাতের ট্রেক বাইসাইকেল। ২৪তম স্থানে আছে লিচেনস্টাইনের নির্মাণ কোম্পানি হিলতি ও ২৫তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের বিমা ও আর্থিক খাতের কোম্পানি অ্যাডমিরাল গ্রুপ।
কীভাবে এই মূল্যায়ন৩০ বছর ধরে এই জরিপ পরিচালনা করছে ফরচুন ম্যাগাজিন। সারা বিশ্বের কর্মীদের কাছ থেকে তারা জানতে চায়, কর্মস্থলে তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন। এই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তারা কিছু মানদণ্ড তৈরি করে। সেই মানদণ্ডের ভিত্তিতে বোঝা যায়, কোনো কর্মস্থল প্রকৃত অর্থেই ‘দারুণ’ কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা সে প্রতিষ্ঠানে থাকতে চান কি না, প্রতিষ্ঠান কত দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে ও তার সামগ্রিক ব্যবসায়িক সাফল্য কতটা মিলবে—এসব বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায় জরিপে।
ফরচুন ম্যাগাজিন নিজস্ব ট্রাস্ট ইনডেক্স বা আস্থাসূচক তৈরি করেছে। ব্যবস্থাপনার প্রতি কর্মীদের আস্থা কতটা, সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ও কোম্পানির প্রতি কর্মীদের আনুগত্য কতটা—এসব আস্থাসূচকের মাধ্যমে এসব বিষয় পরিমাপ করা হয়।
এ জরিপে কর্মীরা গোপনীয়তার সঙ্গে তাঁদের মতামত জানাতে পারেন। ৬০টি বিষয়ের ওপর ৫ পয়েন্টের ভিত্তিতে উত্তর দিতে হয়, সঙ্গে থাকে ২টি উন্মুক্ত প্রশ্ন।
কর্মীদের কাছ থেকে যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়, সেগুলো হলো নেতৃত্বের কাছে কি সহজে যাওয়া যায়, নেতৃত্ব সততা ও স্বচ্চতার সঙ্গে কথা বলেন ও কাজ করেন কি না, নেতৃত্বের কথা ও কাজে মিল আছে কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে সম্মানিত বোধ করেন কি না এবং তাঁদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কতটা। নেতৃত্ব কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানান কি না এবং কর্মীদের সুস্থতা বজায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না। এ ছাড়া কর্মীদের অবদান রাখার সুযোগ আছে কি না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়।
জরিপে কর্মীদের কাছে আরও যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয় সেগুলো হলো:বেতন, মুনাফা, পদোন্নতি, স্বীকৃতি ও সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কতটা ন্যায়সংগত;
কর্মীরা নিজেদের কাজ, কর্মদল ও প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্ব বোধ করেন;
কাজ অর্থবহ এবং তা পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে;
সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে;
কর্মীরা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারেন।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অভিজ্ঞতার ভিন্নতা কতটা, তা–ও জরিপে পরিমাপ করা হয়। কর্মীদের অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও গুণগত মানও মূল্যায়ন করা হয়। এভাবে প্রতিটি ধাপে কঠোর মানদণ্ড মেনে এই তালিকা করা হয় বলে জানিয়েছে ফরচুন ম্যাগাজিন।