সঞ্চয়পত্রের লেনদেন কী, বাস্তবতা কতটা, সুবিধাই–বা কী
Published: 27th, September 2025 GMT
দেশের আর্থিক খাতের পরিসর ছোট—এই নিয়ে অর্থনীতিবিদদের ওজর-আপত্তি অনেক দিনের। আর্থিক খাত বলতে আছে কেবল ব্যাংক। শেয়ারবাজারের অবস্থা এতটা করুণ, অনেক মানুষ সেখানে যাওয়ার সাহসই পান না। বন্ডের বাজার মূলত সরকারি। বিশেষ করে সঞ্চয়পত্র। বেসরকারি বন্ডের পরিসর আরও ছোট।
এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, সঞ্চয়পত্র ট্রেডেবল বা লেনদেনযোগ্য করা দরকার। সন্দেহ নেই, আর্থিক খাতের পরিসর বড় করার লক্ষ্যে এ কথা বলেছেন তিনি।
সঞ্চয়পত্রও একধরনের বন্ড। বন্ড হলো দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণের প্রতিশ্রুতিপত্র; কিন্তু এই শর্তের নিরাপত্তার ধরন বিভিন্ন। অনুন্নত দেশে যেখানে বন্ড বাজার চালু নয় কিংবা এখনো অতটা বিকশিত হয়নি, সেখানে মূলত সরকার বন্ড ইস্যু করে থাকে। তাকে সরকারি বন্ড বলে। যুক্তরাষ্ট্রে একে বলে ট্রেজারি বন্ড। সরকারি বন্ডের নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি বলে এতে প্রদেয় সুদহার বা কুপন রেট সাধারণত কম হয়। কিন্তু আমাদের মতো দেশে তা উল্টো—সঞ্চয়পত্র বা ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের সুদহার ব্যাংকের সুদহারের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সঞ্চয়পত্রের সুদ বাবদ পরিশোধ করতে হয় প্রতিবছর। ফলে ব্যাংক আমানতের পরিমাণ কমে যায়; টান পড়ে বিনিয়োগযোগ্য অর্থে।
সেকেন্ডারি মার্কেট কী
বিষয়টি হলো কোনো কোম্পানি যখন প্রথম অবস্থায় বন্ড বিক্রি করে কিংবা প্রাথমিক গণবিক্রয় বা ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা সংক্ষেপে আইপিওর মাধ্যমে বাজারে একেবারে প্রথম অবস্থায় শেয়ার ছাড়ে, তখন সেগুলো প্রাথমিক বাজারের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই শেয়ার বা বন্ডগুলোর প্রাথমিক মালিকেরা যদি টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করে দেন, তখন তা দ্বিতীয় পর্যায়ের বাজার বা সেকেন্ডারি মার্কেটে করতে হয়। প্রাথমিক বাজারে কেনাবেচা একবারই হয়; কিন্তু দ্বিতীয় বাজারে কেনাবেচা কতবার হবে, তার সীমারেখা নেই।
এ পরিস্থিতিতে সঞ্চয়পত্রের সেকেন্ডারি মার্কেট থাকলে কী হতে পারে, তা দেখে নেওয়া যাক:
ইতিবাচক দিক
সঞ্চয়পত্রের সেকেন্ডারি বাজার চালু হলে আর্থিক খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যেতে পারে। প্রথমত, বাজারে তারল্য বাড়বে। কেউ জরুরি প্রয়োজনে সহজেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি করতে পারবেন, ক্রেতারা চাইলে সরাসরি বাজার থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। এতে লেনদেন আরও সহজ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
দ্বিতীয়ত, বিনিয়োগকারীর আস্থা ও আগ্রহ বাড়বে। বর্তমানে অনেকেই সঞ্চয়পত্র কেনার পর দীর্ঘদিন টাকা আটকে থাকার ভয়ে পিছিয়ে যান; কিন্তু সেকেন্ডারি বাজার থাকলে প্রয়োজনে তা বিক্রি করা সম্ভব। ফলে মানুষের স্বাধীনতা বাড়বে।
তৃতীয়ত, সরকারের দায় ব্যবস্থাপনাও সহজ হবে। লেনদেন বাজারে হলে সরকারকে মেয়াদপূর্তির আগেই সরাসরি অর্থ ফেরত দেওয়ার চাপ কিছুটা কমবে। একই সঙ্গে ব্যাংকঋণের সুদ ও সঞ্চয়পত্রের সুদের মধ্যে ভারসাম্য আনার ক্ষেত্রে তা সহায়ক হতে পারে।
সবশেষে বাজারে লেনদেনের ধারা থেকেই বোঝা যাবে, সাধারণ মানুষ সঞ্চয়পত্রের ওপর কতটা আস্থা রাখছেন। এটি সরকারের আর্থিক নীতি প্রণয়নেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
নেতিবাচক দিক ও ঝুঁকি
সঞ্চয়পত্রের সেকেন্ডারি বাজার চালু হলে যেমন সম্ভাবনা আছে, তেমনি কিছু ঝুঁকিও থেকে যাবে। সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো সুদের হার বিকৃতি। যদি বাজারে সঞ্চয়পত্র ছাড়ে বিক্রি হয়, তাহলে কার্যকর সুদের হার সরকারের ঘোষিত হারের সঙ্গে মিলবে না। এতে নীতিনির্ধারণে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।
আরেকটি আশঙ্কা হলো অতিরিক্ত জল্পনাকল্পনা। কিছু লোক হয়তো কম দামে সঞ্চয়পত্র কিনে বেশি দামে বিক্রি করে ফাটকাবাজি শুরু করবে। এতে মূল উদ্দেশ্য—সাধারণ মানুষের সঞ্চয়কে সুরক্ষা দেওয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেকেন্ডারি বাজারে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সঞ্চয়পত্রে বাজারসুবিধা পাওয়া গেলে মানুষ বেশি করে এতে বিনিয়োগ করবেন। ফলে ব্যাংক আমানত ও বেসরকারি বন্ড বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে। এতে ব্যাংকের তারল্যসংকট দেখা দেওয়ার ঝুঁকিও থেকে যাবে।
প্রশাসনিক ও প্রযুক্তিগত দিক থেকেও সঞ্চয়পত্রের সেকেন্ডারি বাজার চালু করা বড় চ্যালেঞ্জ হবে। নিরাপদ ও কার্যকর লেনদেনের জন্য স্বচ্ছ কাঠামো ও প্রযুক্তিগত অবকাঠামো গড়ে তোলা অপরিহার্য।
আরও পড়ুনসঞ্চয়পত্র কেনাবেচার আলাদা বাজার তৈরির পরামর্শ দিলেন গভর্নর২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫কী বলছেন বিশ্লেষকেরা
সঞ্চয়পত্রের এই লেনদেনের পরামর্শের বিষয়টি স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরূপাক্ষ পাল। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ধরা যাক কেউ পাঁচ বছরের জন্য সঞ্চয়পত্র কেনেন, কিন্তু চার বছরের মাথায় তাঁর তারল্যসংকট হলো, তখন তিনি কী করবেন। এ সমস্যার সমাধান হলো লেনদেন যোগ্যতা। অর্থাৎ তিনি সেকেন্ডারি বাজারে কোনো গ্রাহকের সঙ্গে দর-কষাকষি করে সঞ্চয়পত্রটি বিক্রি করে দিতে পারেন। যিনি কিনবেন, তিনিও জানেন—এক বছর পর মেয়াদপূর্তিতে তিনি সেই সরকারের প্রতিশ্রুত টাকা পাবেন। এটি একধরনের উদ্ভাবন।
কিন্তু আরেকটি বিষয় হলো, বাংলাদেশে যাঁরা সঞ্চয়পত্র কেনেন, তাঁরা মূলত এটিকে সঞ্চয়ের মাধ্যম হিসেবে দেখেন। এটি বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তার অন্যতম হাতিয়ার। অনেকটা সোনার মতো। সোনার দাম বাড়লেও যেমন মানুষ তা বিক্রি করতে হুমরি খেয়ে পড়ে না, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে চায়, সঞ্চয়পত্রও অনেকটা তেমন। গ্রামের শিক্ষক বা স্বল্প আয়ের চাকরিজীবীরা অবসরের পর বাজার খরচ মেটাতে এই সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এমনকি তাঁরা উত্তরাধিকার হিসেবেও এই সঞ্চয়পত্র রেখে যান। ফলে সঞ্চয়পত্র একেবারে ঠিক বন্ডের মতো নয়। এই বাস্তবতায় দেশে সঞ্চয়পত্রের সেকেন্ডারি বাজার চালু হলেই যে তেমন জনপ্রিয় হবে, সে বিষয়ে আশাবাদী নন বিরূপাক্ষ পাল।
মানুষ সঞ্চয় ভাঙছে
দীর্ঘদিন ধরে চলা উচ্চ মূল্যস্ফীতির জেরে মানুষ সঞ্চয় ভাঙতে শুরু করেছে। তিন অর্থবছর ধরে সঞ্চয়পত্রে ঋণাত্মক বিক্রি দেখা গেছে। অর্থাৎ মেয়াদোত্তীর্ণ সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর পরিমাণ নতুন বিনিয়োগের চেয়ে বেশি ছিল। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, সে কারণেও সঞ্চয়পত্রকে লেনদেনযোগ্য করার কথা ভাবতে পারেন গভর্নর। বাস্তবতা হলো, দেশে বন্ডের বাজার এমনিতে অতটা শক্তিশালী নয়। তার সঙ্গে যাঁরা সঞ্চয়পত্র কেনেন, তাঁরা কীভাবে এই সেকেন্ডারি বাজারে প্রবেশাধিকার পাবেন, সেই প্রশ্ন থেকে যায়।
বন্ড বাজারের দুরবস্থা
বন্ড বাজার যেখানে উন্নয়নশীল অর্থনীতির প্রাণের মতো, সেখানে বাংলাদেশে বন্ড বাজারের অবস্থা নাজুক। বন্ড সাধারণত সরকারের ব্যয় নির্বাহে অর্থ জোগায় এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশে মূলধনের জোগান নিশ্চিত করে। বাংলাদেশের বন্ড বাজার—সরকারি সিকিউরিটি ও করপোরেট বন্ড মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১২ শতাংশের কম। এর মধ্যে সরকারি সিকিউরিটি সিংহভাগ। অন্যদিকে মালয়েশিয়ায় এ হার ১২৫ শতাংশ, চীনে ১০৭ শতাংশ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৫০ শতাংশ। এ ছাড়া থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুরের বন্ড বাজারও সমৃদ্ধ।
বাংলাদেশের আর্থিক খাতের পরিসর ছোট—ব্যাংক, দুর্বল শেয়ারবাজার ও সরকারি সঞ্চয় পত্রনির্ভর বন্ড বাজার। করপোরেট বন্ড যা আছে তা বলার মতো নয়; সঞ্চয়পত্রেও সেকেন্ডারি মার্কেট না থাকায় তারল্যসংকট দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে সঞ্চয়পত্র লেনদেনযোগ্য হলে বিনিয়োগকারীর আগ্রহ বাড়বে, সরকারের দায় ব্যবস্থাপনা সহজ হবে ও বাজারে ভারসাম্য আসবে। তবে ফাটকাবাজির ঝুঁকি আছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, সঞ্চয়পত্র অনেকের কাছে নিরাপদ সঞ্চয় বা সামাজিক নিরাপত্তার প্রতীক। ফলে সেকেন্ডারি বাজার কতটা জনপ্রিয় হবে তা অনিশ্চিত। কার্যকর বন্ড বাজার গড়ে তোলা এখন বাংলাদেশের আর্থিক খাতের জরুরি চ্যালেঞ্জ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর থ ক খ ত র র বন ড ব জ র র আর থ ক ক র যকর সরক র র ল নদ ন ত র পর বন ড র র পর ম অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যবিত্তের ভরসা সঞ্চয়পত্র: কোনটিতে কত মুনাফা
বিনিয়োগের জন্য মধ্যবিত্তের অন্যতম পছন্দ সঞ্চয়পত্র। এ বিনিয়োগ নিরাপদ ও মুনাফার হারও বেশি। ব্যাংকে টাকার রাখার চেয়ে সঞ্চয়পত্রে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। এমন চিন্তা থেকে অনেকেই সঞ্চয়পত্র কেনেন। অনেকে সংসার খরচের একটা অংশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে জোগান দেন। ফলে সঞ্চয়পত্র এখন সামাজিক সুরক্ষার অংশও হয়ে গেছে।
বর্তমানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের চার ধরনের সঞ্চয় আছে। এগুলো হলো পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। এসব সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হারও কাছাকাছি। তবে সঞ্চয়পত্রভেদে ভিন্ন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। আছে শর্ত। তাই মুনাফার হারের পাশাপাশি অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে সঞ্চয়পত্র কিনতে হবে। ভাবতে হবে, কোনটি আপনার জন্য বেশি লাভজনক।
মুনাফা কত
এবার দেখা যাক, কোন সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কত। এখানে বলা প্রয়োজন, গত জুলাই মাস থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়েছে সরকার।
দেশে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের যত ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিবার সঞ্চয়পত্র। এ সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পাঁচ বছরের মেয়াদপূর্তিতে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ করা হয়েছে।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পঞ্চম বছর শেষে, অর্থাৎ মেয়াদপূর্তিতে মুনাফা ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। সঞ্চয়পত্রগুলোর মধ্যে এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার সবচেয়ে বেশি।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এ ছাড়া তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তিতে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
মেয়াদপূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র ভাঙলে মুনাফা কমে যায়। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মেয়াদপূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র না ভাঙাই ভালো।
কে কত বিনিয়োগ করতে পারবেন
সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নারীরাই কিনতে পারবেন। তবে যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ এবং ৬৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিকের পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ আছে।
একক নামে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত পেনশনার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। কিনতে পারবেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী বা স্ত্রী বা সন্তান।
তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র কেনায় সীমা হলো ব্যক্তির ক্ষেত্রে একক নামে ৩০ লাখ টাকা অথবা যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ভবিষ্য তহবিলে মোট স্থিতির ৫০ শতাংশ। তবে সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকার কেনা যাবে।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কেনায় সীমা হলো ব্যক্তির ক্ষেত্রে একক নামে ৩০ লাখ টাকা অথবা যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তা হলো ভবিষ্য তহবিলে মোট স্থিতির ৫০ শতাংশ। তবে তা হবে সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা। অন্যদিকে এই সীমা ফার্মের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকা এবং অটিস্টিক সহায়ক প্রতিষ্ঠান, দুস্থ ও অনাথ শিশুদের নিবন্ধিত আশ্রয় প্রতিষ্ঠান (অনাথ আশ্রম, শিশু পরিবার, এতিমখানা ইত্যাদি) এবং প্রবীণদের জন্য নিবন্ধিত আশ্রয়কেন্দ্রের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা।
কোথায় পাওয়া যায়
জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা ও ডাকঘর থেকে এই সঞ্চয়পত্র কেনা ও ভাঙানো যায়।