বিশ্বব্যাংকের গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ, অক্সফোর্ড, হার্ভার্ড, টোকিও, স্ট্যানফোর্ডসহ ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা
Published: 12th, January 2025 GMT
বিশ্বব্যাংকের তালিকাভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বৃত্তি আছে। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ আছে এ বৃত্তিতে। বৃত্তির কিতাবি নাম ‘জয়েন্ট জাপান ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ’। জাপান ও বিশ্বব্যাংক স্নাতকোত্তরে বৃত্তি নিয়ে বিশ্বের ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ মেলে এ বৃত্তি পেলে।
প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা দুটি সময়ে এ বৃত্তির জন্য আবেদন করার সুযোগ পান। অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো-১–এ বছরের ১৩ জানুয়ারি থেকে আবেদন শুরু হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন আগ্রহী প্রার্থীরা। এ ধাপের নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয় মার্চে। অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো-২–এ আবেদন শুরু হবে ২৫ মার্চ থেকে। এ ধাপে আবেদন চলবে আগামী ২৪ মে পর্যন্ত। নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৪ সালের জুনের দিকে।
জয়েন্ট জাপান ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আওতায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব টোকিও, ইউনিভার্সিটি অব লিডস, ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ মিলবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাংকের তালিকাভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপে আবেদনের সুযোগ পাবেন।
সুযোগ-সুবিধা—*সম্পূর্ণ টিউশন ফি মুক্ত
*বিমানে যাতায়াতের খরচ
*চিকিৎসা বিমা সুবিধা দেবে
*মাসিক উপবৃত্তি দেবে (আবাসন, খাবার ও বই ক্রয়ের ব্যয় বহন করা যাবে);
আবেদনের যোগ্যতা—*বিশ্বব্যাংকের সদস্যভুক্ত উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক হতে হবে
*কোনো উন্নত দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা যাবে না
*সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে
*আবেদনের তারিখের ন্যূনতম তিন বছর আগে স্নাতক সম্পন্ন করতে হবে
*স্নাতকের পর ন্যূনতম তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
*যুক্ত থাকতে হবে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে
*সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে
যে যে খরচ শিক্ষার্থীকে বহন করতে হবে—
আরও পড়ুনব্রুনেই দারুসসালাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, মাসে ভাতা ২ লাখ টাকার সঙ্গে নানা সুবিধা০৮ জানুয়ারি ২০২৫*ভিসা আবেদনের খরচ;
*পরিবারের সদস্যদের খরচ;
*অতিরিক্ত একাডেমিক কোর্স বা প্রশিক্ষণ খরচ;
*স্টাডি প্রোগ্রাম চলাকালে অতিরিক্ত ভ্রমণ;
*গবেষণাবিষয়ক খরচ, সম্পূরক শিক্ষা উপকরণ, ফিল্ড ট্রিপ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বা ইন্টার্নশিপ ও শিক্ষাগত সরঞ্জাম। যেমন কম্পিউটার;
*আবাসিক পারমিট ফি;
আরও পড়ুনসব পাঠ্যবই পেতে অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে০৭ জানুয়ারি ২০২৫আবেদনের শেষ তারিখ—অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো-১: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো-২: ২৪ মে ২০২৫;
আবেদন যেভাবে—আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনে। আবেদনের পদ্ধতিসহ অন্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
https://www.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিওডিলের স্টলে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের উপচে পড়া ভিড়
দেশে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দিনব্যাপী অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের স্পন্সর বাংলাদেশের ১ নম্বর ডার্মা কসমেটিকস ডক্টর রিকমেন্ডেড ব্র্যান্ড সিওডিল। প্রায় ৩ শতাধিক দেশী ও বিদেশী ডার্মাটোলজিস্ট সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (এডিএসবি) উদ্যোগে সম্মেলনের প্রথম দিনে ছিলো সায়েন্টিফিক সেশনের পাশাপাশি সেমিনার। আয়োজনের মূল স্পন্সর হওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে সিওডিলের প্রচলিত পণ্য এবং উদ্ভাবনী গবেষণা কার্যক্রম তুলে ধরতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে সিওডিলের।
ত্বকের যত্নে সিওডিলের নতুন উদ্ভাবনী পণ্য ও কার্যক্রম নিয়ে ডাক্তারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো সিওডিলের স্টল। ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড এবং ভারতের ডার্মাটোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা ভিজিট করে সিওডিলের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ডার্মাটোলজিস্ট ডা. শারমিনা হক বলেন, অ্যাকনি, এজিং, ড্রাইনেস, স্ক্যাল্পের সমস্যাসহ ত্বকের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলপ্রসূ কর্মসূচির মাধ্যমে নিজের ত্বক সম্পর্কে সচেতন হতে সিওডিল তার ভোক্তাদের উৎসাহিত করছে। আশা করছি সিওডিল বাংরাদেশের অন্যতম একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে দেশের সুনাম বয়ে আনবে।
সিওডিলের হেড অব বিজনেস সুকান্ত দাস জানান, এবারের অ্যাস্থেটিক ২০২৫-এ উদ্ভাবনী পণ্যের তালিকায় অন্যতম আকর্ষণ সিওডিল। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা রেকমেন্ডেড এই ব্র্যান্ডটি সর্বস্তরের ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সিওডিলের এই সুদৃঢ় অবস্থানকে বিশ্বব্যাপী আরও ছড়িয়ে দিতেই সিওডিল চলতি বছরেই দুবাই ডার্মা ও কসমো প্রফ ২০২৫ এ অংশগ্রহণ করে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে। আজকেও বাংলাদেশের এই আয়োজনে যেসব ডাক্তাররা আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিয়েছেন তারা সিওডিলের পণ্যের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে আমেরিকাসহ শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, দুবাই ও ভারতে সিওডিলের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।
আশা করছি খুব শিগগিরেই আমরা মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তানে আমাদের পণ্যের নতুন বাজার তৈরী করতে পারবো।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে স্কিন কেয়ার ও কসমেটিকসের অথেন্টিক রিটেল শপ হারল্যান স্টোরসহ সব সেলস চ্যানেলে সিওডিল পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। সিওডিল এখন স্কিন কেয়ার খাতে শীর্ষ বিক্রীত ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। অন্য দেশে তৈরি পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশি তৈরি পণ্য শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করেছে। দামেও সাশ্রয়ী। অন্য দেশের পণ্য আমদানি হয়ে আসতে আসতে মেয়াদ চলে যায়। তাই গুণগতমান নিশ্চিত এবং দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে সিডিলের কদর বাড়ছে।
রাহাত//