‘হাসিনার পতনে বিএনপি ক্ষমতা পেয়ে গেছে, ভাবা ভুল’
Published: 13th, January 2025 GMT
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় চলে এসেছে ভাবা ভুল হবে বলে মন্তব্য করেছেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন।
মোশারফ হোসেন বলেন, ‘‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনার পতন হয়েছে, মানেই বিএনপি ক্ষমতা পেয়ে গেছে; তা ভেবে রাজপথ ছেড়ে ঘরে বসে থাকলে চরম ভুল হবে। তাই সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে একযোগে কাজ করতে হবে।’’
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) চাঁদপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণকালে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
সাঁথিয়ায় বিএনপি নেতা শামসুর রহমান বহিষ্কার
যশোরে বিএনপির মিলনমেলা
মোশারফ হোসেন বলেন, ‘‘এই রাষ্ট্র কীভাবে চলবে, সেই রূপরেখা ৩১ দফায় তুলে ধরা হয়েছে। বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মীকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের এই ৩১ দফা মুখস্ত রাখতে হবে। একইসঙ্গে প্রতিটি ঘরে ঘরে ৩১ দফার পক্ষে জনমত গঠনে দাবিগুলো পৌঁছে দিতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপি ক্ষমতায় এসে যোগ্য জনপ্রতিনিধি দ্বারা এ রাষ্ট্র পরিচালনা হবে।’’
এ দিন বিকেলে চাঁদপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বিদ্যাবতি খাল সড়ক, ছৈয়াল বাড়ী, মাঝি বাড়ী, মোল্লাবাড়ী, প্রফেসর পাড়া, জিয়া হোস্টেল ও চিত্রলেখা মোড়সহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ৩১ দফা সম্বলিত দলীয় লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এতে পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন আকাশ।
চাঁদপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন মৃধার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের ছৈয়ালের সঞ্চালনায় পথসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা দলের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নার্গিস খান, সদর উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নাল মাতাব্বর, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিরন মাঝি, কাইয়ুম খান প্রমুখ।
ঢাকা/জয়/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।
জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।
ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।
আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’
জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল