ভবনে পানির সংযোগ দিতে এনএসআই কর্মকর্তা পরিচয়ে হুমকি, পরে ধরা
Published: 13th, January 2025 GMT
জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ২ লাখ টাকা বকেয়া থাকা ভবনে পানির সংযোগ দিতে ঢাকা ওয়াসার উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে হুমকি দেন সোহেল নামের ব্যক্তি। পরে সন্দেহ হলে বিষয়টি এনএসআইকে জানান ওয়াসার কর্মকর্তা। পরে এনএসআই কর্মকর্তারা তার পরিচয়পত্র যাচাই করে দেখেন সেটি ভুয়া। পরে তাকে শাহ আলী থানায় হস্তান্তর করে এনএসআই।
জানা গেছে, মিরপুর ৪ নম্বর সেকশনের ১১ নম্বর সড়কের ১–সি নম্বর হোল্ডিংয়ের বাড়ির মালিক মানিক মিয়ার ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৭১ টাকা বিল বকেয়া পড়ে। এ অবস্থায় ওই ভবনের পানির সংযোগ সম্প্রতি বিচ্ছিন্ন করে দেয় ওয়াসা। সোমবার দুপুরে এনএসআই’র সিনিয়র ফিল্ড অফিসার তাইবুর রহমান পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি মিরপুর বাংলা কলেজ সংলগ্ন ঢাকা ওয়াসার মডস জোন–৪–এর অফিসে যান। উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক খানকে এই মুহূর্তেই পানির সংযোগ দেয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। অন্যথায় বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যাবে বলে তাকে হুমকি দেন।
আবু বকর সিদ্দিক খান বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে দ্রুত এনএসআই’র একটি টিম ঘটনাস্থলে হাজির হন। তারা তার কাছ থেকে পরিচয়পত্র উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে ওই ভুয়া কর্মকর্তা নিজের আসল পরিচয় প্রকাশ করেন এবং তিনি ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন বলে জানান। পরে শাহ আলী থানা পুলিশের কাছে সোহেলকে হস্তান্তর করা হয়।
আবু বকর সিদ্দিক জানান, ওই ব্যক্তির আচরণ দেখে সন্দেহ হয়েছিল। পরে কৌশলে তাকে বসিয়ে রেখে কর্তৃপক্ষ ও এনএসআই টিমকে খবর দেন। ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি আমাকে ভয়-ভীতি দেখান। এতে আরও সন্দেহ হয়েছিল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’