বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে চুরি ও অন্যান্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিরব মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার বিকালে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাইফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা সম্প্রতি এ অফিস আদেশ দেন।

বগুড়ার জেলা প্রশাসকের ওই অফিস আদেশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গত ২০২৪ সালের ১৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টা থেকে ২০ এপ্রিল বেলা ১১টার মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই সময় চারটি কম্পিউটার, একটি ল্যাপটপ ও হার্ডডিক্সসহ দুটি সিসি ক্যামেরা চুরি হয়। এছাড়া নিরব মিয়া দুপচাঁচিয়ার মেসার্স সিদ্দিক ব্রিকসের মালিককে ইট পোড়ানোর লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেন। ওই ব্রিকস ফিল্ড হতে এক হাজার ইট গ্রহণ করে মূল্য সাড়ে ১৪ হাজার টাকা পরিশোধ না করা এবং অফিসের গোপনীয় নথিপত্র বাহিরে পাচারের অপচেষ্টার অভিযোগ উঠে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন থেকে তদন্ত করা হয়। অভিযুক্ত সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিরব মিয়া অভিযোগের ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক লিখিত জবাব দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) ও ৩(ঘ) বিধিমতে ‘অসদাচরণ’ ও ‘দুর্নীতি পরায়ণতার' অভিযোগে বিভাগীয় মামলার কার্যধারা সূচিত হয়েছে। বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ১২(১) মোতাবেক সরকারি চাকরি হতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এছাড়া সাময়িক বরখাস্তকালে বিধিমোতাবেক তিনি খোরাকি ভাতা পাবেন।

তবে অভিযুক্ত ও সাময়িক বরখাস্ত নিরব মিয়া এ প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি চক্রান্তের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নোবিপ্রবির আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা স্থায়ী বহিষ্কার 

আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়াকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ও শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য করায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরো পড়ুন:

জুলাই বিরোধিতা: ইবির ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’

আ.লীগে যোগ দেওয়া মুবিনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার 

সোমবার (৩ নভেম্বর) নোবিপ্রবির রেজিষ্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. তামজীদ হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের  রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

নোটিশে বলা হয়েছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত বিদেশে গমন করেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ২(চ) অনুযায়ী ‘পলায়ন’ ।

এছাড়া একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ করায় ‘নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ,২০০১’ এর ধারা ৪৭(৫) এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। 

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, গত ২৮ মে  আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলে সেটির জবাব যথাযথ হয়নি। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি আপনাকে পুনরায় ৭ জুলাই বিজ্ঞ আইনজীবীর মতামত এবং ৩১ জুলাই প্রেরিত নোটিশের জবাব না দেয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর নোবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭ তম সভার আলোচ্যসূচি-১৮ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ৪৭(৮) ধারা অনুযায়ী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) ও (গ) অনুযায়ী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সহকারী পরিচালক (সামরিক বরখাস্ত) পদ থেকে চূড়ান্ত বা স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো লেনদেন থাকলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও বিধি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতির বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে থাকেন এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নোবিপ্রবির আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা স্থায়ী বহিষ্কার 
  • আগের ভোটের সবাই বাদ, ‘যোগ্য’ নতুন ডিসি খুঁজে পাচ্ছে না সরকার