বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে গ্যাসের চুলা ব্যবহারের সময় মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়। এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে ১৭ ধরনের সেফটি স্ট্যান্ডার্ড বা নিরাপত্তা মান প্রণয়ন করতে যাচ্ছে পণ্যের জাতীয় মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘সেফটি স্ট্যান্ডার্ডস ফর ডোমেস্টিক গ্যাস কুকিং অ্যাপ্লায়েন্সেস’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান বিএসটিআইর মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম।

বিএসটিআই, পেট্রোবাংলা ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) যৌথভাবে কর্মশালাটির আয়োজন করে। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিঅং ও পেট্রোবাংলার পরিচালক (পরিকল্পনা) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসটিআইর পরিচালক (মান) মো.

সাইদুল ইসলাম।

বিদায়ী ২০২৪ সালের শেষ দিকে রাজধানীর মিরপুরে গ্যাসের চুলায় রান্নার সময় দুর্ঘটনায় খলিল–দম্পতির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ধরনের আরও কয়েকটি দুর্ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরেন বিএসটিআইর মহাপরিচালক ফেরদৌস আলম। তিনি বলেন, গৃহস্থালিতে গ্যাসের চুলায় রান্নার সময় দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ হলো সেফটি কুকিং অ্যাপ্লায়েন্স সম্পর্কে সচেতনতা না থাকা। দেরিতে হলেও বিএসটিআই এ ধরনের সেফটি স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়ন করতে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতি রেখে এসব স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিএসটিআইর মহাপরিচালক। তিনি বলেন, স্ট্যান্ডার্ডগুলো ইতিমধ্যে বিএসটিআইর টেকনিক্যাল কমিটির অনুমোদন পেয়েছে। এরপর উচ্চতর বিভাগীয় কমিটিতে অনুমোদিত পেলে তা বাস্তবায়ন শুরু করবে বিএসটিআই। এসব নিরাপত্তা মান বাস্তবায়ন হলে গ্যাসের চুলার রান্নায় দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হবে।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসটিআইর উপপরিচালক (প্রকৌশল) মো. মুরসালিন মাহফুজ। এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির সহকারী অধ্যাপক মাসরুর-উর-রহমান, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক আবদুর রহিম, জেএমআই এলপিজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী লিয়াকত আলী প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর এই বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

টানা ৩০ ঘণ্টা অনশনে তিন জবি শিক্ষার্থী অসুস্থ

‘নভেম্বরে সম্পূরক বৃত্তির আশ্বাস দিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন ও কার্যক্রম শুরু হবে। কমিশন পরবর্তী ১১ দিনের মধ্যে তফসিল প্রস্তুত ও ঘোষণা করবে। এছাড়া কমিশন ধাপে ধাপে নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এর মধ্যে থাকবে— জকসু নির্বাচন নীতিমালা ও আচরণবিধি প্রণয়ন; ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময়; ভোটার তালিকা প্রণয়ন, খসড়া প্রকাশ ও সংশোধন; চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ; মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি; প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ও প্রচারণা কার্যক্রম।

সবশেষে ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ, একই দিনে অফিসিয়াল ফলাফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। দীর্ঘ আন্দোলন, দাবি-দাওয়া ও শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে অবশেষে প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলো প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংবিধি ও বিধি অনুযায়ী রোডম্যাপের প্রতিটি ধাপ বাস্তবায়িত হবে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • প্রকৌশল পেশাজীবীদের দাবি পূরণে উপাচার্য-অধ্যক্ষদের সঙ্গে আগামীকাল বৈঠক
  • এক সপ্তাহের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ ৫ দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের