পৌষ শেষে গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে মাঘ মাস। প্রচলিত আছে, মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে। তবে শীতের সেই আমেজ নেই রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায়। অবশ্য উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত শীতের অনুভূতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। তবে শনিবার থেকে তাপমাত্রা কমে একটানা পাঁচ-ছয় দিন শীত কিছুটা বেশি অনুভূত হতে পারে।
সারাদেশের মধ্যে ব্যতিক্রম শুধু পঞ্চগড়। গত দু’দিন ধরে এ জেলায় চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আবারও নেমেছে এককের ঘরে। গতকাল সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে ছিল গোটা এলাকা। তবে দুপুর ১২টার দিকে ঘন কুয়াশা সরিয়ে দেখা দেয় সূর্য।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মাঘের প্রথম দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। মঙ্গলবার এটি ছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি। দিনের তাপমাত্রাও (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা) কমে রেকর্ড হয়েছে ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি। এর আগে ৯ জানুয়ারি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয় এই তেঁতুলিয়াতেই। তবে রাজধানীতে এবার শীতের দেখা তেমন মেলেনি। গতকালও ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, আগামী দু-তিন দিন তাপমাত্রা বাড়া বা কমার তেমন উল্লেখযোগ্য প্রবণতা নেই। কখনও কিছুটা বাড়তে পারে, আবার কখনও কমতে পারে। তবে আগামী শনিবার থেকে দিনের তাপমাত্রা কমার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ফলে তখন শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। কোনো কোনো অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহও হতে পারে। তবে শৈত্যপ্রবাহ সম্পর্কে এখনই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। দেশের উত্তরাঞ্চলে কুয়াশা কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা, ভারী বর্ষণের আশঙ্কা
দেশের উপকূলীয় এলাকায় সক্রিয় রয়েছে স্থানীয় মৌসুমী বায়ু। এর প্রভাবে চার সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রাকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পূর্বভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আজ ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুরে অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। সারা দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। এই দিন থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে, বিশেষ করে নদীতীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের। একইসঙ্গে সম্ভাব্য জলাবদ্ধতা ও কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতির বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে খুলনায় ৭৫ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নরসিংদীতে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকা/ইভা