পারিশ্রমিক বিতর্ক ঠেলে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করেছে দুর্বার রাজশাহী। এনামুল হক বিজয়, রায়ান বার্লের ব্যাটে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান করেছে রাজশাহী। স্লগে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলাররা ভালো করায় দুইশ’ রান হয়নি বিজয়দের।
ব্যাট করতে নেমে ২৯ রানের ওপেনিং জুটি পায় রাজশাহী। এর মধ্যে ১৯ রান করে ফিরে যান হারিস রউফ। পরে জিসান আলম ২০ রান করে ফিরে যান। তিনে নেমে বিজয় খেলেন ২২ বলে ৩২ রানের ইনিংস। তিনটি চার ও দুটি ছক্কার শট খেলেন রাজশাহীর অধিনায়ক।
দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন জিম্বাবুয়ের লেগ স্পিন অলরাউন্ডার রায়ান বার্ল। তিনি ৪টি ছক্কা ও একটি চারের শট খেলেন। এর মধ্যে ছক্কার হ্যাটট্রিক করেন সিলেটের অধিনায়ক আরিফুলের বলে। ইয়াসির রাব্বি ১০ বলে ১৯ রান যোগ করেন। স্লগে বাজে ব্যাটিং করেছেন আকবর আলী। তিনি ১৫ বলে মাত্র ১৪ রান করতে পারেন।
সিলেটের হয়ে বাঁ-হাতি মিডিয়াম পেসার রুয়েল মিয়া ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। এর মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারে মাত্র ২ রান দেন তিনি। ডানহাতি স্পিনার নাহিদুল ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। বাঁ-হাতি তরুণ স্পিনার নাহিদুজ্জামান ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল