নারায়ণগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলনে পাল্টে যাচ্ছে নদীর গতিপথ
Published: 17th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলো থেকে অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী মহল। এতে নাব্যতা হারানোর পাশাপাশি গতিপথ ও ভারসাম্য নষ্ট হয়ে চরম বিপর্যয় ঘটছে নদীগুলোর। বিলীন হচ্ছে নদীর মিঠা পানির মাছও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে এই অবৈধ বালু উত্তোলনের ব্যবসা। তবে নদী রক্ষায় এসব অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করছেন এলাকাবাসীসহ পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তবে অচিরেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাসহ কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।
কয়েকটি নদী ঘুরে দেখা যায়, নদীর তীরে সারিবদ্ধভাবে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এতে নাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে নদীগুলো। নারায়ণগঞ্জে মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদীতে চলাচলের সময় চোখে পড়ে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের এমন দৃশ্য।
এলাকাবাসির অভিযোগ, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে স্থানীয় প্রভাবশালি চক্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে এভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। কিছুদিন আগেও দিনে দুপুরে বালু উত্তোলন করা হতো।
তবে এখন যৌথ বাহিনীর নজর এড়াতে রাতের আঁধারে সন্ত্রাসীদের ছত্রছায়ায় এই অপকর্ম চলছে। ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নদীর গতিপথ ও ভারসাম্য। বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীর পুরনো ঐতিহ্য সহ সব ধরণের সুস্বাদু মাছ। ঝুঁকির মুখে পড়েছে ইলিশের প্রজননও।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, নদীর পুলিশ বা প্রশাসন এখানে আসেও না, কোন খবরও রাখে না। আমরা এলাকার মানুষ পড়েছি বিপদে। এদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করতে গেলে মারধর করে অস্ত্র দেখিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। তাই এসব সন্ত্রাসিদে ভয়ে এলাকার মানুষ কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না।
নদী রক্ষার জন্য অবৈধ বালু উত্তোলনকারিদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছেন বিভিন্ন পরিবেশবাদি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মো.
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের দাবি যে কোন উপায়ে নদী গুলোকে রক্ষা করা হউক। অবৈধ বালু ব্যবসায়ী চক্রকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হোক। তা না হলে নদী রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
এদিকে, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে নজরদারি চলছে দাবি করে নৌ-পুলিশকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনার কথা জানান বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন মজুমদার।
তিনি বলেন, নৌ পুলিশ কিন্তু নিয়মিত নদীতে নজরদারি করছে। পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন সময়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি। দিনের বেলায় অভিযান চলাকালে এইসব অবৈধ ড্রেজার আমাদের চোখে পড়ে না।
যেহেতু গভীর রাতে বা ভোরবেলায় বালু উত্তোলন করছে, আমরা অচিরেই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। নৌপুলিশের সহযোগিতা নিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করে এগুলো উচ্ছেদের চেষ্টা করব
বিআইডব্লিউটিএ’র এই কর্মকর্তা আরও জানান, নারায়ণগঞ্জে গত এক বছরে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে নদী থেকে অর্ধশতাধিক অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদ করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: শ তলক ষ য ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাথে গিয়াসউদ্দিনের মতবিনিময় সভা
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায়, নারায়ণগঞ্জের সুনাম বৃদ্ধিতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার মত প্রকাশ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সমস্যা, জনদুর্ভোগ, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় সিনিয়র সাংবাদিকরা গিয়াস উদ্দিনকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তার সময়েই নারায়ণগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বেশ কয়েকটি প্রতিরোধ স্তম্ভসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মিত হয়েছিল।
আলহাজ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন তার বক্তব্যে সাংবাদিকদের ‘রাজনীতিবিদদের সবচেয়ে বড় বন্ধু’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, গঠনমূলক সমালোচনা আত্মশুদ্ধিতে সহায়তা করে। কারো চরিত্র হনন না করে সঠিক লেখনির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের সুনাম বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি মানুষের সম্মান ক্ষুন্ন করে এমন সংবাদের প্রকাশের ক্ষেত্রে স্থানীয় পত্রিকাগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য নতুন কার্যকরী পরিষদের প্রতি অনুরোধ জানান।
রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সবসময় নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে থেকে কাজ করে যাবো ইনশা’আল্লাহ। আগামীতে বিএনপি থেকে যাকেই মনোনয়ন দিবে, দলের মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করতে আমি তার পক্ষে কাজ করে যাব।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, যুগ্ম সম্পাদক আহসান সাদিক শাওন, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান জুয়েল, কার্যকরী পরিষদ সদস্য আরিফ আলম দীপু, আব্দুস সালাম, রফিকুল ইসলাম জীবন ও প্রণব কৃষ্ণ রায়।
আরো উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সিনিয়র সদস্য অহিদুল হক খান, হাফিজুর রহমান মিন্টু, নাহিদ আজাদ, মাকসুদুর রহমান কামাল, শফিউদ্দিন বিটু, মনির হোসেন, নাফিজ আশরাফ, আনিসউর রহমান আনিস, সালাম জুবায়ের, রফিকুল ইসলাম রফিক, মজিবুল হক পলাশ, ইউসুফ আলী এটম, হাসান আরিফ, মোঃ শফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হাসান, শওকত আলী সৈকত, দিলীপ কুমার মন্ডল, মো: মহিউদ্দিন পলাশ, মোশতাক আহমেদ (শাওন), মো: সামন হোসেন, মো: রাসেল (আদিত্য), হাজী হাবিবুর রহমান শ্যামল, এমরান আলী সজীব, সাবিত আল হাসান ও মো: সাইফুল ইসলাম (সায়েম) এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল, দৈনিক অগ্রবানী’র সম্পাদক স্বপন চৌধুরী, সোনারগাঁ থানা যুবদলের আহ্বায়ক শহীদুর রহমান স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ প্রধান, বিএনপি নেতা পল্টু কর্মকার। সভা শেষে সবাই মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহন করেন।