ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ৭৩৭ জন ফিলিস্তিনির হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি বিচার মন্ত্রণালয়। গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের প্রথম পর্যায়ে মুক্তি দেওয়া হবে এই ৭৩৭ জন ফিলিস্তিনিকে। তবে ইসরায়েলি বিচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামীকাল রোববার বিকেল চারটার আগে এই বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে না।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় মুক্তি দেওয়ার জন্য এর আগে কারাবন্দী ৯৫ ফিলিস্তিনির একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল ইসরায়েলে বিচার মন্ত্রণালয়। পরে এই তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে।  সূত্র-টাইমস অব ইসরায়েল

যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, গাজায় হামাসের হাতে থাকা ৩৩ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এসব বন্দীকে মুক্ত করে দেবে।

ইসরায়েলি তালিকায় কারাবন্দী খালিদা জাররারের নাম আছে। তিনি ফিলিস্তিনি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট ফর দি লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের নেতা। একইসঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনের আইন পরিষদের সদস্য। তালিকায় ফিলিস্তিনের সাংবাদিক বুশরা আল-তাবিলের নামও রয়েছে।

ফিলিস্তিনি তিন সংগঠন—হামাস, ইসলামিক জিহাদ ও ফাতাহর বেশ কয়েকজন সদস্যকে মুক্তি দিতে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে ইসরায়েল। তাদের অনেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করে আসছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

শনিবার সকালে ইসরায়েল জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন পায়। এর আগে গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করে।

আগামীকাল রোববার থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা। এর মধ্য দিয়ে গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস ধরা চলা রক্তক্ষয়ের অবসান হওয়ার পথ খুলছে বলে আশা করা হচ্ছে।।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ