নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, “আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনকে দুর্বৃত্তমুক্ত করতে হবে। স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট যেন ফিরে এসে সংসদে আসন নিতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।”

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক অঙ্গনকে পরিচ্ছন্ন করতে হবে। যারা মানুষ খুন করেছে, যারা বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছে, যারা বিভিন্নভাবে নিপীড়ন নির্যাতন করেছে, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তারা যেন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে। কোনো রাজনীতিতে তারা যেন ভূমিকা রাখতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে (বার্ড) ময়নামতি মিলনায়তনে ‘কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ’ আয়োজিত ড্রিম মেগাসিটি কুমিল্লা ও এএইচকে স্যাটেলাইট সিটি বিষয়ে প্রণীত কার্যপত্র মূল্যায়ন ও অনুমোদন বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি। পরে তিনি সাংবিদিকদের এসব কথা বলেন। সেমিনারে কার্যপত্রটি প্রণয়ন উপস্থাপন করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‍“১৫০টির মতো সংস্কার সুপারিশ করা হয়েছে। গত তিনটি যে কলঙ্কজনক নির্বাচন হয়েছে, যে জালিয়াতির নির্বাচনে হয়েছে তার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছি। একটি স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে দায়বদ্ধ এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আলাদা একটি কর্তৃপক্ষ গঠনেরও সুপারিশ করা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “জুলাই গণ-আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের কথা মাথায় রেখে, আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সুপারিশ করেছি।” 

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন- হাইকোর্টের প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন, বার্ডের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক ড.

আবদুল করিম, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। এছাড়া, কারিগরি মতামত দেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী আবু সায়েম মজুমদার, জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী নাজমুস সাদাত, কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোতালেব হোসেন মজুমদার।

কুমিল্লাবাসী বঞ্চনা প্রতিকারে ঐক্যবদ্ধ হউন-সোচ্চার হউন এই স্লোগানে কুমিল্লা নগরী ও বিভিন্ন উপজেলার বিশিষ্টজনেরা সেমিনারে অংশ নেন। সেমিনারে আধুনিক কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে এবং জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন বিষয়ে প্রয়োজনীয়তা, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প র শ কর র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ