কৃষি খাতে বিশেষ সিএসআরের আওতায় নোয়াখালীর মাইজদী ও চৌমুহনীর ৫০০ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে এনসিসি ব্যাংক বিনামূল্যে বৃক্ষরোপণ কৃষি উপকরণ ও যন্ত্রপাতি বিতরণ করেছে।

সম্প্রতি মাইজদীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এনসিসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মো. মনিরুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ধানের বীজ, সার, কীটনাশক এবং ব্যাকপ্যাক স্প্রে মেশিন বিতরণ করেন।

এছাড়া পান্থপথ শাখার এসভিপি ও ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের এসভিপি ও আঞ্চলিক প্রধান মোহাম্মদ নূরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাইজদী এসএমই/কৃষি শাখার ব্যবস্থাপক মো.

আব্দুল খালেকসহ এনসিসি ব্যাংকের অন্যান্য শাখার ব্যবস্থাপকরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মো. মনিরুল আলম বলেন, ‍“এনসিসি ব্যাংক আমাদের দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। এই প্রেক্ষাপটে, এনসিসি ব্যাংক দেশে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিশেষ সিএসআর কর্মসূচির আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরনের সবজি বীজ, সার, কীটনাশক এবং যন্ত্রপাতি বিতরণ করছে।”

তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন সবজি ফসল চাষের পাশাপাশি তাদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ এনস স ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের গুদামে ইতোমধ্যেই এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো শুরু হয়েছে।

সোমবার বিকেলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্বাচন ভবনের বেসমেন্টে অবস্থিত ইসির গুদামে নির্বাচনী সরঞ্জাম দেখতে যান। এ সময় তারা সংগৃহীত ভোটগ্রহণের বিভিন্ন সরঞ্জাম পরীক্ষা করে দেখেন।

এসব নির্বাচনী সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ব্যালট বাক্স, লক, ঢাকনা, গানি ব্যাগ, সিল, বিভিন্ন ধরনের ফরম, প্যাকেট ইত্যাদি।

ইসি ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী দ্রব্য, ফরম, প্যাকেট বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বাসসকে বলেন, ‘আজ বার্ষিক দ্রব্য সংগ্রহের পরিকল্পনা সংক্রান্ত মিটিং করেছি। ইতিমধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম আসা শুরু হয়েছে।’

ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বাসসকে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা কোনো কোনো নির্বাচনী উপকরণ প্রায় অর্ধেক পেয়েছি। আবার কোনো কোনো উপকরণ এখনো আসেনি। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী দ্রব্য সামগ্রী পেয়ে যাব।’

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, বর্তমানে দেশের ১০টি অঞ্চলের আওতায় ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। এবার গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র করার ভিত্তিতে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সব মিলিয়ে ভোটকক্ষ হবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি। আগামী ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের বিষয়ে সম্প্রতি ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ পর্যন্ত ব্রাস সিল ও সিলগালা বাদে অন্যান্য উপকরণগুলো আমরা পাচ্ছি। সময়সীমা দেওয়া আছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উপকরণগুলো পাচ্ছি। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সকল দ্রব্য পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি