শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ, কলেজ সংগীত, মনোজ্ঞ ডিসপ্লে, খেলাধুলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঢাকা’র বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানে ১ মিনিট  নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয় জুলাই বিপ্লবের শহিদদেরকে।

রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞিপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৪তম আন্তঃহাউজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মো.

আলী হোসেন ফকির, অ্যাডিশনাল আইজি (ভারপ্রাপ্ত), এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এর প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর নাসিমা ফেরদৌসী।

শিক্ষার্থীদেরকে অনুপ্রাণিত করার জন্য আরও উপস্থিত ছিলেন এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্সসহ ঢাকাস্থ অন্যান্য এপিবিএন এর অধিনায়করা, গভর্নিং বডির সদস্যগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও অভিভাবকরা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে স্বাগত ভাষণ দেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন। 

প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক অ্যাকাডেমিক ও সহপাঠ কার্যক্রমের অর্জন তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত ডিসপ্লে ও ক্রীড়া নৈপণ্যের প্রশংসা করেন এবং মাদকসহ যে কোনো ধরনের নেতিবাচক সঙ্গ থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ  করেন। অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান যে, তোমরাই আগামীদিনের দেশের  কাণ্ডারি। দেশ সেবার জন্যই তোমাদেরকে প্রস্তুত হতে হবে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ