যশোর সদরের আড়পাড়া গ্রামে জমি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে জমির মালিককে হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ইমরান হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। 

জমির মালিক শহিদুল ইসলাম সোমবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে জানান, ইমরান তার পৈতৃক সম্পত্তি জবর দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসীদের নিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। এতেও দখল করতে না পেরে হত্যা-মারপিট ও হয়রানিমূলক মামলার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। ফলে পরিবার নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে। 

অভিযুক্ত ইমরান যশোর শহরতলীর শেখহাটির আবুল খায়েরের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯৫০ এর দশকে তার বাবা আব্দুল জব্বার শাহাপুর আড়পাড়া রাস্তা সংলগ্ন ৩৩ শতক জমি ক্রয় করেন। ১৯৬২ সালের এসএ রেকর্ড, নব্বইয়ের আরএস চূড়ান্ত খতিয়ানে তাদের নামে এই জমি রয়েছে। এমনকি পুরাতন কাগজপত্রের মধ্যে ১৯৫৭ সালে তাদের পরিশোধিত খাজনার রশিদও সংরক্ষিত রয়েছে। গত ৭০ বছর ধরে বংশ-পরম্পরায় তারা এই জমি ভোগ দখল করে আসছেন। ২০১৪-১৫ সালের দিকে ইমরান হোসেন তাদের জমির পেছনে অবস্থিত অন্য মালিকের ১২৯ শতক জমি কেনেন। ইমরানের দলিলেও রাস্তাসংলগ্ন জমি শহিদুলের বলে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু তা সত্যেও পেশিশক্তি, অর্থ ও প্রভাব খাটিয়ে ইমরান হোসেন তাদের জমি জবর দখলের চেষ্টা শুরু করে। সর্বশেষ স্থানীয় নওয়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও এসিল্যান্ডের কাছে বিষয়টি সমাধানে অভিযোগ দিলে উভয়কে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান। কিন্তু সমাধানের সব উদ্যোগই ভেস্তে যায় ইমরান পক্ষীয়দের একগুঁয়েমির কারণে। এখন ইমরান জমি জবরদখলে নিতে নানা হুমকি দিচ্ছে।

তবে এর আগে অভিযুক্ত ইমরান হোসেন পাল্টা এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, জবরদখল নয়; দলিল মূলেই শহিদুল ইসলামের কাছে জমি দাবি করছেন তিনি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইমর ন হ স ন দখল র

এছাড়াও পড়ুন:

জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের কাছে এসব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

স্মারকলিপিতে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী সংবিধি ও আচরণবিধি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়বদ্ধ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ছাত্রদলের ১২ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে; স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি বাক্সে আলাদা নম্বর থাকতে হবে; ব্যালট ছাপানোর সংখ্যা, কাস্টিং ভোটার ও নষ্ট ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে; কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রে (ভুল তথ্য প্রচার হলে) সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে; পোলিং এজেন্টরা নিজ কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন, তবে অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না।

বাকি দাবিগুলো হলো- ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের সময়সূচি বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের সুবিধা অনুযায়ী যথাযথ সময় রেখে জকসু নির্বাচন নির্ধারণ করতে হবে; আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলে নির্বাচনী প্রচারণার আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে, পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের চুক্তি ও অবস্থান বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে; অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমফিল শিক্ষার্থীদেরও জকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে এবং বিধিমালা থেকে তাদের বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।

এছাড়া জকসুর আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার আলোকে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ কার্ড দিতে হবে, যা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যকর হবে; রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।

নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, যেন একটি গণতান্ত্রিক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। অন্যথায়, কমিশন কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব বা চাপের মুখে পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের মনে হতে পারে।

ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারা সন্তোষজনকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি উপস্থাপন করেছে এবং কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ