বিশ্বাসের রেণু ছড়িয়ে সৌম্যর ঘোষণা, ‘আমরা পারব’
Published: 21st, January 2025 GMT
এতদিনে তার মাঠে ফেরার কথা ছিল। আঙুলের চোট কাটিয়ে বিপিএলে অংশগ্রহণ করেও ফেলতেন। কিন্তু ‘এইচএমপিভি’ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তার মাঠে ফেরা বিলম্ব হয়। তবে খুব বেশি দেরিও হয়নি।
বিপিএলে ফিরতে রংপুর রাইডার্স শিবিরে যোগ দিয়েছেন। গত কিছুদিন ব্যাট হাতে অনুশীলন করেছেন। এখন শুরু করেছেন ফিল্ডিং। দুয়েক দিনের ভেতরেই খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন বলে আশাবাদী সৌম্য।
সৌম্যকে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে পাবে সেই আশায় ছিল রংপুর। বিপিএলের আগে গ্লোবল টি-টোয়েন্টিতে রংপুর শিরোপা জেতে। সৌম্য টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন। ছিলেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়। নিজের পারফরম্যান্সের ওই ধারাবাহিকতায় জাতীয় দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও পারফর্ম করেন। কিন্তু ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পান। পরে তার পাঁচ সেলাই লাগে।
আরো পড়ুন:
অধিনায়ক হয়ে ‘২০০ শতাংশ’ দেওয়ার কথা বললেন পন্ত
বাবাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার বাইক কিনে দিলেন রিংকু
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ৩-০ ব্যবধানে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। সেই সাফল্যের পেছনের অন্যতম কারিগর সৌম্য জানালেন, প্রতিযোগিতা শুরুর আগে গোটা দলে বিশ্বাসের রেণু ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। পেছনে ফিরে সেই গল্প শোনালেন সৌম্য, ‘‘সবাই যদি বিশ্বাস করি আমরা পারি তাহলে আমরা পারব। আমরা তো কেউ বিশ্বাসই করি না যে আমরা পারব। আগে নেতিবাচক কথা বললে তো হবে না। ওই টুর্নামেন্টের শুরু থেকে আমি বলেছিলাম আমরা যদি তিন বিভাগে ভালো করতে পারি তাহলে জিতবে পারব যেকোনো দলের বিপক্ষে।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজে পাওয়া যে সাফল্য সেখান থেকে আরও উন্নতি করার তাগিদ দিলেন সৌম্য, ‘‘ওখানে ভালো করেছি কিন্তু এখন সেখান থেকে কতটা উন্নতি করতে পারব সেটা হলো দেখার। বিপিএলে অনেক রান হচ্ছে। বোলাররা ভালো করছে। যদি এটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি তাহলে টি-টোয়েন্টিতেও উন্নতি করতে পারব। কারণ, আমরা জানব ২০০ রান কিভাবে করতে হয় নিয়মিত। ১০টা উইকেট কিভাবে নিতে হয়। এটা যত আমাদের আয়ত্বের ভেতরে থাকবে তখন আমরা ওখানে গেলে চাপে পড়ব না। আমরা চাপটা সহজ মানিয়ে নিতে পারব।’’
বিপিএলের শুরু থেকে খেলতে না পারার আক্ষেপ ঝরল তার কণ্ঠে, ‘‘যেহেতু মাঠে ফিরেছি এটা খুবই ভালো জিনিস। ইনজুরি ছিল একটু কঠিন সময় গেছে। সব থেকে কষ্ট ছিল বাসায় বসে খেলাগুলো দেখছিলাম। খেলাগুলো খেলতে পারছিলাম না এটা একটু কষ্টের জায়গা ছিল। খেলোয়াড় থাকলে তো ইনজুরি থাকবে এটা একটু মেনে নিতেই হবে। অনেক সময় থাকে যে, খেলা থাকে না তখন ইনজুরি আসে। ওই সময়ে এক ধরনের রিকোভারি হয়। এখন খেলা চলছে, ইচ্ছা ছিল শুরু থেকে খেলার। তাই একটা আফসোস ছিল।’’
‘‘দিনকে দিন ভালোর দিকে যাচ্ছে। এতোদিন ব্যাটিং করতে পারছিলাম না এখন ব্যাটিং করতে পারছি। ফিল্ডিংও আস্তে আস্তে করা শুরু করেছি। সময়ও বেশি লাগছে। মাঝখানে নতুন যে একটা ভাইরাস এসেছিল সেটাও হয়েছিল। এজন্য রিকোভারি করতে একটু সময় লেগে গেছে।’’
যেখানে সৌম্য সবশেষ থেমেছিলেন সেখান থেকেই আবার শুরু করার ইচ্ছা তার। যেই ফর্ম ধরে রেখেছিলেন সামনে সেটা আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় তার, ‘‘আমার দিক থেকে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি উন্নতি করার। উন্নতির তো অভাব নেই। অনেক উন্নতি করার আছে। শুধু আমার কাছ থেকে সবাই বড় ইনিংস চায় না, সব খেলোয়াড়দের কাছ থেকেই চায়। চেষ্টা করব সামনে যেন ইনিংস বড় হয়।’’
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বেতন বাড়াল বিসিবি
জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ মিরপুরে বিসিবি পরিচালকদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এত দিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মেয়েরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। তাঁদের বেতন ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ টাকা করে বেতন। তাঁরা এখন থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।
‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য ৩০ হাজার ও সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নারী ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন তিন ক্রিকেটার—নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ফারাজনা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন স্বর্ণা আক্তার।
‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তারর, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার। এই চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ জাতীয় দলে এলে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।