Samakal:
2025-11-03@16:50:32 GMT

সম্পর্কের একঘেয়েমি দূর করুন

Published: 21st, January 2025 GMT

সম্পর্কের একঘেয়েমি দূর করুন

যে কোনো সম্পর্ক শুরুতে আনন্দময় ও রোমাঞ্চকর মনে হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একঘেয়েমি আসতে পারে। এটিই স্বাভাবিক, কারণ সম্পর্কের ভিন্ন দিকগুলো নিয়ে কাজ না করলে তা ধীরে ধীরে একঘেয়েমির দিকে গড়ায়। তবে সম্পর্ককে সুন্দর রাখা সম্ভব, যদি কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়। 
খোলামেলা আলোচনা 
যে কোনো সম্পর্কের ভিত্তি হলো সৎ থাকা এবং খোলামেলা আলাপ-আলোচনা। একে অপরের অনুভূতি, চাওয়া এবং সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করুন এবং সঙ্গীর কথাগুলো গুরুত্ব দিয়ে শুনুন। অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি থেকেই সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এ কারণে সব সময় কথা বলার মাধ্যমে বিষয়গুলো পরিষ্কার রাখুন।
ছোট ছোট অভ্যাস গড়ে উঠুক 
ছোট ছোট ভালো অভ্যাস সম্পর্ককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সঙ্গীকে ছোটখাটো কাজে সাহায্য করা, ভালো ভালো কথা বলা এগুলো সম্পর্কের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এগুলো সম্পর্ককে মজবুত করতে বড় ভূমিকা রাখে।
একসঙ্গে সময় কাটান
রোজকার ব্যস্ততার ফাঁকে একসঙ্গে সময় কাটানো খুব জরুরি। একসঙ্গে বই পড়া, সিনেমা দেখা বা নতুন কোনো কাজ চেষ্টা করা– এসব করতে পারেন। সম্পর্ক একঘেয়ে হয়ে গেলে নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করার চেষ্টা করুন। নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া বা একসঙ্গে কোনো কাজ করা সম্পর্কের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা এনে দিতে পারে।
সেপারেশন টাইম
না, এখানে একদম আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। যদি খুব বেশি একঘেয়েমি লাগে তাহলে দু’জন কিছু সময়ের জন্য আলাদা থাকুন। এ সময়টাতে দু’জনের কাটানো মুহূর্তগুলো মনে করার চেষ্টা করুন। একে অপরকে অনুভব করার চেষ্টা করতে পারেন, ঠিক তখনই একে অপরের অনুপস্থিতিটা বুঝতে পারবেন। এর ফলে একঘেয়েমি দূর হয়ে নতুন করে একে অপরের প্রতি ভালো লাগা সৃষ্টি হবে।
ডাবল-ডেট পরিকল্পনা 
দু’জন মিলে প্রায়ই তো আপনাদের ঘুরতে যাওয়া হয়। তবে মাঝেমধ্যে উভয়ের বন্ধুদের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে ডাবল ডেটের পরিকল্পনা করতেই পারেন। এতে করে বন্ধুদের মধ্যে গড়ে ওঠা আড্ডায় একে অপরকে নিয়ে নানা প্রশ্ন এবং বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে দু’জন দু’জনের বন্ডিংকে আরও পাকাপোক্ত করে একঘেয়েমি নিমেষই দূর করতে পারবেন।
সারপ্রাইজ দিন
একঘেয়েমি দূর করতে সঙ্গীকে মাঝেমধ্যে সারপ্রাইজ দিন। এটি হতে পারে তাঁর প্রিয় খাবার তৈরি করা, হঠাৎ করে কোনো উপহার দেওয়া বা ছোট কোনো নোটে ভালোবাসার কথা লেখা। এ ধরনের ছোট ছোট সারপ্রাইজ সঙ্গীকে আনন্দিত করে এবং সম্পর্কের মধ্যে নতুনত্ব যোগ করে।
নিজেকে সময় দিন
কখনও কখনও সম্পর্কের মধ্যে একঘেয়েমি আসার কারণ হতে পারে নিজের প্রতি কম সময় দেওয়া। নিজের যত্ন নেওয়া, ব্যক্তিগত শখ বা ইচ্ছে নিয়ে কাজ করা এবং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সম্পর্কের মধ্যে নতুন শক্তি এনে দেয়। আপনি যদি নিজের সঙ্গে খুশি থাকেন, তবে সম্পর্কেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
পরস্পরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
কৃতজ্ঞতা সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে। প্রতিদিন সঙ্গীর ভালো দিকগুলো খুঁজে বের করুন এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। সঙ্গীকে তাঁর ছোট ছোট প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ ধরনের কৃতজ্ঞতা সম্পর্কের মধ্যে ইতিবাচকতা এবং আন্তরিকতা বজায় রাখে।
সমস্যা এড়িয়ে যাবেন না
অনেক সময় সম্পর্কের সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, যা পরে বড় আকার ধারণ করতে পারে। সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে সেটি সমাধানের চেষ্টা করুন। ঠান্ডা মাথায় আলোচনা করুন এবং সমাধান খুঁজে বের করুন।
পরস্পরের ব্যক্তিত্বকে সম্মান করুন
সম্পর্কের মধ্যে একঘেয়েমি এড়ানোর জন্য সঙ্গীর ব্যক্তিত্ব এবং পছন্দ-অপছন্দকে সম্মান করা খুব জরুরি। পরস্পরের দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাধারাকে গুরুত্ব দিন এবং তাঁকে নিজের মতো করে গ্রহণ করুন। একসঙ্গে হাসিখুশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। হাসিখুশি মুহূর্ত একঘেয়েমি দূর করে সম্পর্ককে সুন্দর রাখে।
সম্পর্কের প্রতি সচেতন থাকুন
সম্পর্কে বিনিয়োগ করতে হবে সময়, মনোযোগ এবং ভালোবাসা। সম্পর্ক নিয়ে উদাসীন হলে একঘেয়েমি আসতেই পারে। তাই প্রতিদিন চেষ্টা করুন সম্পর্ককে ভালো রাখার।
ছবি: আর্কাইভ
সূত্র: উইকি হাউ, বেটার আপ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: একসঙ গ দ র কর সময় ক সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক

‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।

এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।

বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
  • সব সিম লক রেখে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে অপারেটররা
  • আগামী বছর নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা: ধর্ম উপদেষ্টা
  • শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা
  • শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?