Samakal:
2025-08-01@21:56:41 GMT

সম্পর্কের একঘেয়েমি দূর করুন

Published: 21st, January 2025 GMT

সম্পর্কের একঘেয়েমি দূর করুন

যে কোনো সম্পর্ক শুরুতে আনন্দময় ও রোমাঞ্চকর মনে হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একঘেয়েমি আসতে পারে। এটিই স্বাভাবিক, কারণ সম্পর্কের ভিন্ন দিকগুলো নিয়ে কাজ না করলে তা ধীরে ধীরে একঘেয়েমির দিকে গড়ায়। তবে সম্পর্ককে সুন্দর রাখা সম্ভব, যদি কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়। 
খোলামেলা আলোচনা 
যে কোনো সম্পর্কের ভিত্তি হলো সৎ থাকা এবং খোলামেলা আলাপ-আলোচনা। একে অপরের অনুভূতি, চাওয়া এবং সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করুন এবং সঙ্গীর কথাগুলো গুরুত্ব দিয়ে শুনুন। অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি থেকেই সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এ কারণে সব সময় কথা বলার মাধ্যমে বিষয়গুলো পরিষ্কার রাখুন।
ছোট ছোট অভ্যাস গড়ে উঠুক 
ছোট ছোট ভালো অভ্যাস সম্পর্ককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সঙ্গীকে ছোটখাটো কাজে সাহায্য করা, ভালো ভালো কথা বলা এগুলো সম্পর্কের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এগুলো সম্পর্ককে মজবুত করতে বড় ভূমিকা রাখে।
একসঙ্গে সময় কাটান
রোজকার ব্যস্ততার ফাঁকে একসঙ্গে সময় কাটানো খুব জরুরি। একসঙ্গে বই পড়া, সিনেমা দেখা বা নতুন কোনো কাজ চেষ্টা করা– এসব করতে পারেন। সম্পর্ক একঘেয়ে হয়ে গেলে নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করার চেষ্টা করুন। নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া বা একসঙ্গে কোনো কাজ করা সম্পর্কের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা এনে দিতে পারে।
সেপারেশন টাইম
না, এখানে একদম আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। যদি খুব বেশি একঘেয়েমি লাগে তাহলে দু’জন কিছু সময়ের জন্য আলাদা থাকুন। এ সময়টাতে দু’জনের কাটানো মুহূর্তগুলো মনে করার চেষ্টা করুন। একে অপরকে অনুভব করার চেষ্টা করতে পারেন, ঠিক তখনই একে অপরের অনুপস্থিতিটা বুঝতে পারবেন। এর ফলে একঘেয়েমি দূর হয়ে নতুন করে একে অপরের প্রতি ভালো লাগা সৃষ্টি হবে।
ডাবল-ডেট পরিকল্পনা 
দু’জন মিলে প্রায়ই তো আপনাদের ঘুরতে যাওয়া হয়। তবে মাঝেমধ্যে উভয়ের বন্ধুদের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে ডাবল ডেটের পরিকল্পনা করতেই পারেন। এতে করে বন্ধুদের মধ্যে গড়ে ওঠা আড্ডায় একে অপরকে নিয়ে নানা প্রশ্ন এবং বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে দু’জন দু’জনের বন্ডিংকে আরও পাকাপোক্ত করে একঘেয়েমি নিমেষই দূর করতে পারবেন।
সারপ্রাইজ দিন
একঘেয়েমি দূর করতে সঙ্গীকে মাঝেমধ্যে সারপ্রাইজ দিন। এটি হতে পারে তাঁর প্রিয় খাবার তৈরি করা, হঠাৎ করে কোনো উপহার দেওয়া বা ছোট কোনো নোটে ভালোবাসার কথা লেখা। এ ধরনের ছোট ছোট সারপ্রাইজ সঙ্গীকে আনন্দিত করে এবং সম্পর্কের মধ্যে নতুনত্ব যোগ করে।
নিজেকে সময় দিন
কখনও কখনও সম্পর্কের মধ্যে একঘেয়েমি আসার কারণ হতে পারে নিজের প্রতি কম সময় দেওয়া। নিজের যত্ন নেওয়া, ব্যক্তিগত শখ বা ইচ্ছে নিয়ে কাজ করা এবং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সম্পর্কের মধ্যে নতুন শক্তি এনে দেয়। আপনি যদি নিজের সঙ্গে খুশি থাকেন, তবে সম্পর্কেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
পরস্পরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
কৃতজ্ঞতা সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে। প্রতিদিন সঙ্গীর ভালো দিকগুলো খুঁজে বের করুন এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। সঙ্গীকে তাঁর ছোট ছোট প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ ধরনের কৃতজ্ঞতা সম্পর্কের মধ্যে ইতিবাচকতা এবং আন্তরিকতা বজায় রাখে।
সমস্যা এড়িয়ে যাবেন না
অনেক সময় সম্পর্কের সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, যা পরে বড় আকার ধারণ করতে পারে। সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে সেটি সমাধানের চেষ্টা করুন। ঠান্ডা মাথায় আলোচনা করুন এবং সমাধান খুঁজে বের করুন।
পরস্পরের ব্যক্তিত্বকে সম্মান করুন
সম্পর্কের মধ্যে একঘেয়েমি এড়ানোর জন্য সঙ্গীর ব্যক্তিত্ব এবং পছন্দ-অপছন্দকে সম্মান করা খুব জরুরি। পরস্পরের দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাধারাকে গুরুত্ব দিন এবং তাঁকে নিজের মতো করে গ্রহণ করুন। একসঙ্গে হাসিখুশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। হাসিখুশি মুহূর্ত একঘেয়েমি দূর করে সম্পর্ককে সুন্দর রাখে।
সম্পর্কের প্রতি সচেতন থাকুন
সম্পর্কে বিনিয়োগ করতে হবে সময়, মনোযোগ এবং ভালোবাসা। সম্পর্ক নিয়ে উদাসীন হলে একঘেয়েমি আসতেই পারে। তাই প্রতিদিন চেষ্টা করুন সম্পর্ককে ভালো রাখার।
ছবি: আর্কাইভ
সূত্র: উইকি হাউ, বেটার আপ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: একসঙ গ দ র কর সময় ক সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

৭ উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোবিপ্রবিতে শিক্ষা সমাপনী

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) নবম ব্যাচের (নবনীতক ৯) শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা সমাপনী-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের বিদায় বেলায় এক মঞ্চে আসীন হন দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান সাত উপাচার্য।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টায় একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণে আনন্দঘন পরিবেশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ছাড়াও অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন তারেক।

আরো পড়ুন:

নতুনবাজারের সেই রনির বুলেটের যন্ত্রণা আজো থামেনি

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

এক মঞ্চে একইসঙ্গে এতজন উপাচার্যকে পেয়ে সমাপনী ব্যাচসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “এভাবে একসঙ্গে পুরো সেশনের শিক্ষা সমাপনী আয়োজনের আইডিয়াটি অত্যন্ত চমৎকার। এতে করে একটি ব্যাচের একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রবেশ ঘটে। যেখানে সবার একসঙ্গে পরীক্ষা হয়, রেজাল্ট প্রকাশ হয় এবং কোনো সেশন জট থাকে না। আমি এই আইডিয়াটি আমার নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।”

খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান বলেন, “আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ এখানে এসেছি সংহতি জানানোর জন্য। আমি নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জীবনে সফলতা কামনা করছি।”

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিসিএস দেওয়া, বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করা বা ব্যবসা করার লক্ষ্য থাকে। তবে জীবনে কোনো না কোনো কিছু করতেই হবে। এক্ষেত্রে অবসর বলে কোনো শব্দ থাকা উচিত নয়।”

পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “আমি যখন দেশের বাইরে পড়াশোনা করতাম, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমি কখনোই দেখিনি। আর বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে কখনো একসঙ্গে সাতজন উপাচার্যকেও বসতে দেখিনি, এটা অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর করে দেখিয়েছেন।”

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, “আমরা যদি আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তা করি, আমাদের চাকরি খোঁজার পাশাপাশি এমন কিছু করার মানসিকতা রাখতে হবে, যা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।”

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আতিয়ার রহমান বলেন, “শিক্ষা সমাপনী মানেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করা নয়। বিশ্বে এমন অনেক নজির আছে, যেখানে অ্যালামনাই থেকে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। তাই নিজেকে বিস্তৃত পরিসরে মেলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করার দায়িত্ব নিতে হবে।”

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “নিজেকে চেনাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা। আর শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনই বলে দেবে, তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কতটা জ্ঞান অর্জন করেছে।”

প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর আগত উপাচার্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। একইসঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি তুলে ধরাও আমাদের লক্ষ্য। আমরা জানিয়ে দিতে চাই, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায় এবং অচিরে দাঁড়াবেই।”

তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ইউজিসির দুইটি হিট প্রকল্প পেয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরো পাব। আমরা আশা করছি, বি ক্যাটাগরি থেকে আগামী অর্থবছরের আগেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি এ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।”

গোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসানের সভাপতিত্বে এতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও প্রাধ্যক্ষগণ, দপ্তর প্রধানগণ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।

শিক্ষা সমাপনী উপলক্ষে বুধবার ছাত্রদের কালার ফেস্ট ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতের কাছে তেল বিক্রি করতে পারে পাকিস্তান, খোঁচা দিলেন ট্রাম্প
  • কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর ডিনার, গুঞ্জন
  • শিক্ষার্থী সাজিদ স্মরণে ইবিতে ব্যতিক্রমী আয়োজন
  • ৭ উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোবিপ্রবিতে শিক্ষা সমাপনী