রাঙ্গুনিয়ায় ইটভাটায় অভিযান: ড্রাম চিমনি ধ্বংস, ৫ লাখ টাকা জরিমানা
Published: 22nd, January 2025 GMT
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, বালু উত্তোলন ও টপ সয়েল কেটে আবাদি কৃষি জমি ধ্বংসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার উপজেলায় এ অভিযান পরিচালনা করেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। অভিযানে সহযোগিতা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সমকালের শেষের পাতায় ‘রাঙ্গুনিয়ায় পরিবেশ ধ্বংসে আ’লীগ বিএনপি একাট্টা’ শিরোনাম এ বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই এ্যাকশন শুরু করে প্রশাসন।
বুধবার অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলার জঙ্গল সরফভাটা এলাকায় অনুমোদনহীন ইটভাটা পরিচালনা ও পাহাড় কেটে মাটি দিয়ে ইট প্রস্তুত করা, পরিবেশ ধ্বংসকারী ড্রাম চিমনি ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করায় ক্ষতিকর ড্রাম চিমনি ধ্বংস ও পাহাড়ি মাটি দিয়ে প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।
এছাড়াও দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে ধ্বংস করা, জ্বালানি হিসেবে বনের কাঠ ব্যবহার ও কৃষি জমির টপ সয়েল কাটার অপরাধে একটি ইটভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এ অভিযান চালাকালে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা সহযোগিতা প্রদান করে।
অভিযানের বিষয়ে ইউএনও মাহমুদুল হাসান জানান, অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, বালু উত্তোলন ও টপ সয়েল কেটে আবাদি কৃষি জমি ধ্বংসের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’