থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আন্তঃবিভাগ নাট্য প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছে বাংলা বিভাগ।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১১টায় মুক্তমঞ্চে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) একমাত্র এ নাট্য সংগঠনটি আয়োজিত প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

নাট্য প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বিভাগ নাটক মঞ্চায়ন করে। বিভাগগুলো হলো- বাংলা বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ও নৃবিজ্ঞান বিভাগ।

এ প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। এছাড়া সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ।

থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গুলশান পারভীন সুইটির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হান্নান রহিম ও সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য নুসরাত জাহানের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের ছেলেমেয়েরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। শিক্ষার্থীদের ইচ্ছাশক্তিকে সহায়ক শক্তি হিসেবে নিয়ে কিছু সংস্কৃতিমনা মানুষ নাটক, সিনেমার মাধ্যমে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মেসেজ দিয়ে থাকে। যার মাধ্যমে সার্বজনীন একটা গ্রহণযোগ্যতা আসে।”

তিনি বলেন, “আমার প্রত্যাশা থাকবে থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের এ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করে যাবে।”

নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক হাসেনা বেগম বলেন, “আজকে আমরা চারটি দলের নাটক উপস্থাপনা দেখলাম। আমি সবার অভিনয়েই মুগ্ধ হয়েছি, সবাই খুব ভালো অভিনয় করেছে। অনেক সুন্দর সুন্দর থিম তারা উপস্থাপন করেছে। যেহেতু এটা একটা প্রতিযোগিতা, সুতরাং এখানে কেউ বিজয়ী হবে, কেউ হারবে। তবে আমি সবাইকেই অভিনন্দন জানাই।”

আয়োজন নিয়ে থিয়েটার, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গুলশান পারভীন সুইটি বলেন, “থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এটাই আমার শেষ প্রোগ্রাম। আশাকরি আগামীতে সবাই থিয়েটারের সঙ্গে থাকবেন।”

অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকী,  বাংলা বিভাগের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আবুল হায়াত, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: মুর্শেদ রায়হান প্রমুখ।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিকাশ, নগদ, রকেটসহ এমএফএস প্রতিষ্ঠানের সেবার মান ঠিক আছে কি না, দেখতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক

গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেন সুরক্ষিত রাখতে আরও নজরদারিতে আসছে দেশের বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরগুলোকে নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। এ জন্য এসব সেবার কার্যক্রম নিয়মিত মূল্যায়নের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে জানা যাবে, কোন প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কতটা মানসম্মত সেবা দিচ্ছে।

বর্তমানে দেশে ১৩টি এমএফএস ও ২১টি পিএসপি এবং পিএসও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে সম্প্রতি একটি চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বমূল্যায়নপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বলা হয়েছে।

যেভাবে মূল্যায়ন করা হবে

প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা যাচাইয়ে নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্র ও কিছু সূচক দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক ও আইনি কাঠামো, আর্থিক অবস্থা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।

মূল্যায়নের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নগুলোর উত্তর ‘হ্যাঁ’, ‘না’ অথবা ‘আংশিক’ আকারে দিতে হবে। প্রতিটি উত্তরের জন্য থাকবে মন্তব্য কলাম, যা পূরণ করা বাধ্যতামূলক।

মান নির্ধারণ ও ব্যবস্থা গ্রহণ

মূল্যায়নে প্রাপ্ত স্কোরের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হবে—শক্তিশালী, সন্তোষজনক, মোটামুটি, প্রান্তিক ও দুর্বল। ফলে কোন প্রতিষ্ঠানের কোন খাতে ঝুঁকি রয়েছে, তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই উদ্যোগ ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে, যা গ্রাহকদের আস্থা বাড়াতে সাহায্য করবে। ডিজিটাল লেনদেন যখন বাড়ছে, তখন এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী মনে করছেন তাঁরা।

দেশে দীর্ঘদিন ধরেই মোবাইলে আর্থিক সেবা দিচ্ছে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনব্যবস্থা সম্পন্ন করে দিচ্ছে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) ও পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর (পিএসও)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিশোধসংক্রান্ত কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বমূল্যায়নপ্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে দেশের ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থার ওপর মানুষের বিশ্বাস আরও বাড়বে। সামনে ডিজিটাল লেনদেন বাড়বে। তাই এ সময়ে এই উদ্যোগ সময়োপযোগী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ