মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে দুর্বৃত্তদের হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট
Published: 23rd, January 2025 GMT
কক্সবাজারের মহেশখালী মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে চাঁদা না দেওয়ায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ লুট ও নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মাতারবাড়ী বন্দরের কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাজ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাজী আব্বাস উদ্দিন জানান, টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পেয়ে গত বছর থেকেই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে জমির মানোন্নয়নে কাজ করছিলেন তারা। দুর্গম এলাকা হওয়ায় স্থানীয় কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেও সঙ্গে নিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি আরও বেশ কয়েকজন বিভিন্ন পরিচয়ে ফোন করে তাদের কাছে কাজের ভাগ চান। একপর্যায়ে চাঁদা দাবি করে তারা। অস্বীকৃতি জানালে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ৫০ থেকে ৬০ জনের সশস্ত্র দল নিরাপত্ত্বাকর্মীদের মারধর করে পাঁচটি লড়ি ও একটি এক্সকেভেটর জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় ১৪ হাজার জিও ব্যাগসহ ছোট খাটো বিভিন্ন যন্ত্রাংশ লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এছাড়া একই প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত তাজ এন্টারপ্রাইজের সহযোগী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইটি এন্টারপ্রাইজের তিনটি এক্সকেভেটর এবং তিনটি লোড ট্রাক্টর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা।
মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, হামলার বিষয়টি তারা জেনেছেন। করণীয় ঠিক করতে চট্টগ্রাম বন্দরের একটি টিম মাতারবাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমেদ জানান, সবাইকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাচ্চু ও নুরুল ইসলাম পুতুর সহযোগিরা জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। ঘটনার জানার পরপরই নৌবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।