বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় অবৈধভাবে শিকার করা প্রায় ১২০০ ঝুট শালিক পাখি উদ্ধারের পর অবমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার গাওলা ইউনিয়নের রাজপাট গ্রামের একটি বিল থেকে পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বিশেষ জালে আটকে রাখা পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় শিকারিরা প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, “শীতের মৌসুমে মাছের ঘের ও বিলের আশেপাশে পাখির আনাগোনা বেড়ে যায়। এই সুযোগে একশ্রেণির অসাধু শিকারি বিভিন্ন ফাঁদ পেতে পাখি ধরে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা গাওলা বিল এলাকায় অভিযান চালাই। একটি মৎস্য ঘেরের অস্থায়ী ঘরের ভেতর বিশেষ জালে আটকে রাখা ১২০০ ঝুট শালিক উদ্ধার করি এবং পাখিগুলোকে মুক্ত করি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারিরা পালিয়ে যায়। যদি আমরা আরও কিছুটা দেরি করতাম, তাহলে পাখিগুলো পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হবে এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলবে।”
ঢাকা/শহিদুল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহত ১ হাজার ২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই চিকিৎসকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এতে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত একদল চিকিৎসক ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মিয়ানমারে অবস্থান করেন। তারা আহত ১ হাজার ২০০ জনের চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০০ জনকে সার্জারি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক দলের উদ্দেশে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, মানবতার ধর্মই পরম ধর্ম। এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আপনারা যেভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন, সেটা প্রশংসনীয়। এই প্রশংসনীয় কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমানসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।