দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্কের কারণে পলাতক ফ্যাসিবাদের সুযোগ করে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘‘এ বিতর্ক পলাতক ফ্যাসিবাদের জন্য একটা সুযোগ করে দিতে পারে। এ সুযোগ দেওয়া যাবে না।’’

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেছেন। নির্বাচন দিতে হবে, তা হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন, তিনি এই দাবিটাই করেছেন। এই দাবি করা খুবই যৌক্তিক। দেশের সাধারণ মানুষ এই নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন-সংগ্রাম ও লড়াই করেছে। সরকারে যারা আছেন, তাদের শোনার মনমানসিকতা থাকতে হবে। কথাগুলো যদি না শোনেন, উপলব্ধি যদি না করেন এবং যদি বিএনপি মহাসচিব সম্পর্কে একটা কাউন্টার তৈরি হয়, এটা কিন্তু ঠিক হবে না। এটা জাতির জন্য আরেকটি ক্রান্তিকাল হয়ে যেতে পারে।’’

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

তরুণদের রাজনৈতিক দলকে স্বাগত: তারেক রহমান 

শত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও জাতীয় প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকব: আসিফ

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘‘দেশে স্বাভাবিক সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে হবে, এ প্রজন্ম ও দেশবাসীর জন্য একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে। লক্ষ্যই হচ্ছে, একটি সুন্দর বাংলাদেশ আমরা গড়বো। সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সরকার ও আমরা বাইরে যারা আছি, নির্বাচনকে নিয়ে সবাইকে ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। এটি দীর্ঘদিনের ডিমান্ড, সুতরাং এখানে নির্বাচনকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার সুযোগ নেই। পলাতক ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দেবো, এ ধরনের বিতর্ক আর যেন না হয়।’’

তিনি বলেন, ‘‘এ অন্তর্বর্তী সরকারের সকলকে অনুরোধ করব, গোল টেবিল আলোচনা হতে পারে। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্র আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এই সুযোগটা আপনাদের তৈরি করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলকে আপনারা ডাকবেন আলোচনার টেবিলে, এটার সমাধান এখন খুবই জরুরি। একটা যৌক্তিক সময় যুগোপযোগী নির্বাচন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’’

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুব আলম মামুনের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক খোদেজা খাতুনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এতে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ দিদার হোসেন প্রমুখ। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি।

ঢাকা/লিটন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ স য গ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ