খাবার নিয়ে কেন ঝগড়া করেছিলেন মমতা-আমিশা?
Published: 28th, January 2025 GMT
নব্বই দশকের লাস্যময়ী ও সাহসী অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। অক্ষয় কুমার, আমির খান, সালমান খান, গোবিন্দ, সঞ্জয় দত্তের মতো তারকা শিল্পীদের সঙ্গে জুটি বেঁধে পর্দায় ঝড় তুলেছেন। কয়েক দিন আগে আলো ঝলমলে দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে সন্ন্যাসিনী হয়েছেন এই অভিনেত্রী।
গত বছরের শেষ লগ্ন থেকে আলোচনায় মমতা। সন্ন্যাসিনী হয়ে আলোচনার আগুনে ঘি ঢেলেছেন তিনি। মজার বিষয় হলো, প্রায় দুই যুগ আগে খাবার নিয়ে ঝগড়া করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন তিনি। তা-ও তৎকালীন নবাগত অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেলের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল এই অভিনেত্রীর। ঠিক কী হয়েছিল মমতা-আমিশার?
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইসের তথ্য অনুসারে, মরিশাসে এক বন্ধুর পার্টিতে হাজির হয়েছিলেন মমতা কুলকার্নি এবং আমিশা প্যাটেল। সবকিছু ভালোই চলছিল। কিন্তু যখন খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল, তখন খাবারের মান নিয়ে মমতা কুলকার্নি ওয়েটার এবং বাবুর্চিদের তিরস্কার করেছিলেন। ওয়েটারদের হেনস্তা করতে দেখে আমিশা প্যাটেল অভিনেত্রী মমতার শিষ্টাচারের অভাব বলে মন্তব্য করেছিলেন। এ খবর জানতে পেরে নবাগত আমিশা প্যাটেলকে বাক্যবাণে জর্জরিত করেছিলেন।
আমিশা প্যাটেলকে মমতা কুলকার্নি বলেছিলেন, “চুলের তেলের বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের জন্য তুমি মরিশাসে আছো, তাই না? তোমার অবগতির জন্য বলছি, তোমাকে এক লাখ রুপি পারিশ্রমিক দেওয়া হলেও, আমি পাচ্ছি ১৫ লাখ রুপি। তাহলে তুমিই বলো, কে বড় তারকা, তুমি নাকি আমি?”
এ ঘটনার অনেক বছর পর মাসালা ডটকমকে সাক্ষাৎকার দেন আমিশা প্যাটেল। এই আলাপচারিতায় মমতার সঙ্গে ঘটা সেই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অস্বীকার করেন। পরে এ অভিনেত্রী বলেছিলেন— “আমরা সবাই মিস্টার বাজাজের (বাজাজ সেবাশ্রম খ্যাত) আয়োজিত একটি ডিনার পার্টিতে ছিলাম। মমতা খাবার নিয়ে সকলকে অভিযোগ এবং হয়রানি করছিলেন। মমতা ও তার ব্যক্তিগত সহকারী লোকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন।”
বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে আমিশা প্যাটেল বলেছিলেন, “মরিশাসে অবস্থান করলেও আয়োজকরা ভারতীয় রাঁধুনিদের দিয়ে ভালো খাবার রান্নার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। তাই আমার মনে হয়েছিল, এটা নিয়ে অভিযোগ করা উচিত নয়। আমার কথায় মমতা রেগে গিয়েছিলেন। কারণ সে নিজেকে বড় তারকা ভেবেছিলেন। এরপর মমতা নিজেকে বড় তারকা হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন। সে আমাকে বলেছিলেন— ‘তুমি নিজেকে কি মনে করো?”
“তুমি যদি একটু শিক্ষিত হতে, তবে তা তোমার কাজে আসতো।” আমিশা প্যাটেলের এ কথা শুনে তার দিকে তেড়ে আসেন মমতার ব্যক্তিগত সহকারী। শুধু তাই নয়, আমিশাকে মারধরের হুমকিও দেন। এরপরই আমিশার মা মমতার ব্যক্তিগত সহকারীর হাত ধরে চিৎকার করে বলেছিলেন, “আমার মেয়েকে স্পর্শ করার সাহস কারো নেই।”
১৯৯২ সালে রাজ কুমার ও নানা পাটেকরের ‘তিরঙ্গা’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেন মমতা কুলকার্নি। নব্বইয়ের দশকে ‘করণ অর্জুন’, ‘ওয়াক্ত হামারা হ্যায়’, ‘ক্রান্তিবীর’, ‘সাবছে বড় খিলাড়ি’-এর মতো হিট সিনেমার নায়িকা তিনি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ল ন হয় ছ ল ন মমত মমত র
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে সুনামগঞ্জে ২, নেত্রকোনায় ১ কৃষকের মৃত্যু
সুনামগঞ্জের হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দিরাই উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রিংকু দাস এবং দুপুরে জামালগঞ্জ উপজেলায় মানিক মিয়া নামের আরেক কৃষক মারা যান। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বাড়ির পাশের খেতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে গোলাপ মিয়া (৩০) নামের আরও এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিরাই উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। বিকেলে গ্রামের পাশের উদগল হাওরে ধান কাটছিলেন কৃষকেরা। ধান কাটায় অন্যদের সঙ্গে রিংকু দাসও (২৪) ছিলেন। তখন বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে বজ্রপাতে আহত হন রিংকু দাস। স্থানীয় কৃষকেরা তাঁকে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। রিংকু দাস উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বজ্রপাতে রিংকু দাসের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
জামালগঞ্জ উপজেলায় হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বজ্রপাতে মানিক মিয়া (৩৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়। মানিক মিয়া জামালগঞ্জ উপজলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুনবজ্রপাতে ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের মৃত্যু ২৮ এপ্রিল ২০২৫পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার পাকনার হাওরে সকালে ধান কাটতে যান মানিক মিয়া। দুপুরে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছিল। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে হাওরে থাকা অন্য কৃষকেরা তাঁর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। জামালগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে খেতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যাওয়া গোলাপ মিয়া ওই গ্রামের পাইক মিয়ার ছেলে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির সামনের খেতে বোরো ধান কাটছিলেন গোলাপ মিয়া। এ সময় সঙ্গে তাঁর বাবা, ভাইসহ পরিবারের অন্য লোকজনও ছিলেন। দুপুর দুইটার দিকে হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়। একপর্যায়ে গোলাপ মিয়ার পাশেই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে গিয়ে জমির একপাশে গিয়ে পড়েন গোলাপ। সঙ্গে থাকা পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর চিকিৎসক গোলাপকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, বজ্রপাতের ঘটনায় মৃত্যু হওয়ায় এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তাই তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুনবজ্রপাত কমলেও বছরে মৃত্যু দেড় শ মানুষের০৫ জুন ২০২১