Samakal:
2025-05-01@07:10:01 GMT

ভারত-তালেবান জড়াজড়ি

Published: 28th, January 2025 GMT

ভারত-তালেবান জড়াজড়ি

ভারতের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ও পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি চলতি জানুয়ারি মাসে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে দুবাইয়ে দেখা করেছেন। প্রতিবেদনমতে, ভারত আফগানিস্তানে উন্নয়ন প্রকল্পে অংশ নেওয়ার কথা বিবেচনা করবে। এ ছাড়া রয়েছে দেশের স্বাস্থ্য খাতে যথেষ্ট সহায়তা প্রদান এবং এ জন্য উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন, ইরানের চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ও মানবিক সংযোগ সম্প্রসারণ।

এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পৃক্ততার প্রশংসা করে কাবুলে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতকে ‘উল্লেখযোগ্য আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার’  হিসেবে বর্ণনা করেছে। ‘ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক’ জোরদার করার আগ্রহের বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেছে। ‘আফগানিস্তানের কাছ থেকে কোনো হুমকি নেই’ বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং ব্যবসায়ী, রোগী ও শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতীয় ভিসা-সুবিধায় ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর কথা উঠে এসেছে’। এখন পর্যন্ত কোনো দেশই তালেবান সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি, যদিও অন্তত কিছু আবাসিক মিশনের মাধ্যমে ৪০ বার তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের ঘটনা ঘটেছে। 
ভারত তালেবানকে চরমপন্থি আন্দোলন হিসেবে দেখে। তাই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার এবং ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতায় আসার পর ভারত তার কূটনৈতিক উপস্থিতি ও উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছিল।

দুবাইয়ে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় অগ্রগতির ইঙ্গিত দেয়। এটি মূলত পাকিস্তান ফ্যাক্টর দ্বারা প্রভাবিত। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে বিভক্ত করেছে ডুরান্ড লাইন, যা ২ হাজার ৬৪০ কিলোমিটার বিস্তৃত। এই সীমারেখা নিয়ে বিতর্ককালে ইসলামাবাদ দেখেছে, তালেবানরা পাকিস্তানে তেহরিক-ই-তালেবান জঙ্গি সরবরাহ করেছে, যারা নিয়মিত পাকিস্তানে সশস্ত্র হামলা চালায়। পাকিস্তানে হামলার প্রতিশোধ নিতে গত বছরের মার্চ ও ডিসেম্বরে দেশটির বিমানবাহিনী আফগানিস্তানে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের অবস্থান লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে। 
পাকিস্তান ও আফগান সরকারের মধ্যে বিভাজন ভারতকে তালেবানের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্কের সম্ভাবনা বের করার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ কারণে আফগানিস্তানের জনগণের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার দরজা খুলেছে। একটি ইতিবাচক ভারতীয় সাড়াকে উৎসাহিত করতে তালেবান পুনরায় বলেছে, তারা তাদের ভূখণ্ড ভারতের প্রতি শত্রুতামূলক তৎপরতার পক্ষে ব্যবহার করার অনুমতি দেবে না।

তালেবানের সঙ্গে উন্নত সম্পর্ক ভারতের দীর্ঘমেয়াদি ভূরাজনৈতিক স্বার্থেও কাজ করবে। এটি আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার প্রজাতন্ত্রগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য চাবাহার বন্দর ব্যবহার করার সঙ্গে যুক্ত। লজিস্টিক সংযোগের এই লক্ষ্য কমপক্ষে দুই দশক ধরে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু আফগানিস্তানের সংঘাতের কারণে তা আগে বাস্তবায়িত হয়নি। যথেষ্ট শক্তি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা মাথায় রেখে এসব সংযোগ বর্তমানে ভারতের জন্য যথেষ্ট কৌশলগত গুরুত্ব হিসেবে বাস্তবসম্মত উপায়ে অনুসরণ করা যেতে পারে।
যদিও তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক গঠনের অনেক মূল্য রয়েছে, একই সঙ্গে রয়েছে অনিশ্চয়তা ও চ্যালেঞ্জ। প্রথমত, তালেবানরা এখনও ভারত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বৃহৎ অংশকে বোঝাতে পারেনি– তারা নিজেদের চরমপন্থা অবস্থান ত্যাগ করেছে। দ্বিতীয়ত, আন্দোলন কোনো ঐক্যবদ্ধ একক ক্ষেত্র নয়; এটি বিচিত্র গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত, যার মধ্যে কয়েকটি ভারতের সঙ্গে উন্নত সম্পর্কের বিরোধিতা করতে পারে। তৃতীয়ত, তালেবানরা পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণ করে না। তালেবানদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংঘাত পুনরুজ্জীবিত করতে এবং দেশকে নতুন যুদ্ধে নিমজ্জিত করার জন্য বিচিত্র বিরোধী আন্দোলন রয়েছে।
তালেবান সরকার বর্তমানে তার আদর্শগত প্রতিশ্রুতি এবং সমমনা চরমপন্থি গোষ্ঠীর সঙ্গে সহাবস্থানের ব্যাপারে বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। দেশটির জনগণের উন্নয়নের চাহিদা মেটাতে বহির্বিশ্বের সমর্থন দরকার। 

তালমিজ আহমদ: সাবেক ভারতীয় কূটনীতিক; আরবনিউজ থেকে ভাষান্তর ইফতেখারুল ইসলাম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন র ক টন ত ক ন সরক র র জন য র কর র

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীরে সংঘাতের আসল সমস্যা কী

কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনস্থল পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই নৃশংস ঘটনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এখনো অনেকটাই উপেক্ষিত থেকে গেছে।

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর ভূমি মালিকানা নিয়ে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সেই উদ্বেগ কাজে লাগিয়ে বেসামরিক মানুষদের ওপর হামলার যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে হামলার দায় স্বীকারকারী ‘জঙ্গি গোষ্ঠী’। তারা বলেছে, যাঁরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন, তাঁরা ‘বহিরাগত বসতি স্থাপনকারী’।

‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামের সংগঠনটি—যেটিকে লস্কর-ই-তৈয়্যেবার শাখা বলে মনে করা হয়—মিডিয়ায় দেওয়া বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে ৮৫ হাজারের বেশি বহিরাগতকে ডোমিসাইল (স্থায়ী বাসিন্দা সনদ) দেওয়া হয়েছে। ফলে অধিবাসীদের ধরনে পরিবর্তনের পথ তৈরি করা হচ্ছে। তাঁরা পর্যটকের ছদ্মবেশে এসে ডোমিসাইল নেন, তারপর নিজেদের মালিক মনে করেন। ফলে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানো হবে।’

আরও পড়ুনভারত-পাকিস্তান কি যুদ্ধের একেবারে কিনারায়৩০ এপ্রিল ২০২৫

এ অভিযোগ যতই অযৌক্তিক হোক না কেন, ইতিহাসে দেখা গেছে, চরমপন্থী সংগঠনগুলো প্রায়ই সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণ করে। আশি–নব্বইয়ের দশকে পাঞ্জাবে খালিস্তানি গোষ্ঠীরাও তেমন করেই নিজেদের কার্যকলাপ বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।

টিআরএফ (দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট) এখন কাশ্মীরে পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই হামলা চালিয়ে অনেক কাশ্মীরির জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

কাশ্মীরে জমির মালিকানা নিয়ে ক্ষোভ ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে মোদি সরকার অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর ক্ষমতা হ্রাস করার পর তা উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। এরপর কেন্দ্রীয় সরকার নতুন জমি আইন চালু করেছে। তবে তা কেবল স্থানীয়দের জন্য নির্ধারিত জমির অধিকার বাতিল করে বহিরাগত বিনিয়োগকারীদের জমি কিনতে উৎসাহিত করে।

পেহেলগামের হামলার পর মোদি সরকারের ওপর গোয়েন্দা ব্যর্থতা ও নিরাপত্তা ত্রুটির অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে সরকার যেভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা চরমপন্থী গোষ্ঠীদের পক্ষে মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে সহায়তা করছে।আরও পড়ুনভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাঁধলে ক্ষতি হবে কার২৯ এপ্রিল ২০২৫

২০২০ সালে চালু হওয়া নতুন ডোমিসাইল আইনে বলা হয়েছে, যে কেউ সেখানে ১৫ বছর বসবাস করেছে বা ৭ বছর পড়াশোনা করেছে, সে সেখানে জমির মালিক হতে পারে। সরকার বলেছে, এই আইন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও সংখ্যালঘুদের উপকারে আসবে। তবে বিরোধীরা মনে করে, এটি কাশ্মীরের জনসংখ্যাগত কাঠামো বদলে দিতে পারে।

সরকার জানিয়েছে, গত দুই বছরে ৮৩ হাজার ৭৪২ জন বহিরাগতকে ডোমিসাইল সনদ দেওয়া হয়েছে। অথচ ২০১৯ সালে মাত্র ১৮৫ জন বহিরাগত জমি কিনেছিল। ২০২১-২২ সালে এই হার বেড়েছে।

এই ভূমি বিতর্ক এখন কেবল সাধারণ মানুষের মধ্যেই নয়, ব্যবসায়ী মহলেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিভিন্ন বড় প্রকল্পে সরকার জমি অধিগ্রহণ করছে। বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহ দিচ্ছে। পেহেলগামে একটি সাত তারকা হোটেল তৈরি হচ্ছে। এর মালিক নাকি এক বহিরাগত। এতে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুনভারতের সেনাবাহিনী যুদ্ধের জন্য কতটা সক্ষম২৮ এপ্রিল ২০২৫

জে কে হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুশতাক চায়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গুলমার্গের হোটেলগুলোর ৫০ বছরের লিজ নবায়নের অনুরোধ জানান। আপাতত সরকার এই লিজ বাড়ানোর কথা বলেছে। তবে সংশয় এখনো কাটেনি।

এ ছাড়া দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, তা নতুন জমি আইনগুলোর ফল।

বড় বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী জম্মু ও কাশ্মীরে জমি কেনায় আগ্রহ দেখিয়েছে। জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত ৬ হাজার ৯০০-এর বেশি আবেদন জমা পড়েছে। মুরালিধরনের কোম্পানি, ওয়েলস্পুন গ্রুপ এবং দুবাইয়ের এমার গ্রুপ ইতিমধ্যেই জমি পেয়েছে। জম্মু অঞ্চলে ৮১ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকার এবং কাশ্মীরে ৪১ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে।

এসব ঘটনা কাশ্মীর উপত্যকায় জমির মালিকানা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের চিত্র তুলে ধরছে। হিন্দুত্ববাদীরা জমি মালিকানা নিয়ে যেভাবে উল্লাস প্রকাশ করছে, তাতে কাশ্মীরিদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়ছে। এসব বক্তব্যে প্রায়ই মুসলিমদের টার্গেট করা হয়।

আরও পড়ুনভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ লাগলে যুক্তরাষ্ট্র কী করবে২৭ এপ্রিল ২০২৫

বিজেপির অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাই কাশ্মীরে জমি ‘উন্মুক্ত’ করে দেওয়াকে অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ইতিবাচক বলছেন। তবে স্থানীয় লোকজন মনে করছেন, এতে কেবল ‘বহিরাগত’রা লাভবান হয়েছেন।

নতুন ওয়াক্‌ফ আইনও জম্মু ও কাশ্মীরে কার্যকর হয়েছে। এতে মুসলিমদের জমির অধিকার নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

পেহেলগামের হামলার পর মোদি সরকারের ওপর গোয়েন্দা ব্যর্থতা ও নিরাপত্তা ত্রুটির অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে সরকার যেভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা চরমপন্থী গোষ্ঠীদের পক্ষে মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে সহায়তা করছে।

প্রধানমন্ত্রীর দায় শুধু নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়েই নয়, কাশ্মীরিদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার পর তাঁর দল ও সমর্থকদের উল্লাস নিয়েও মোদিকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।

সরকার এখন নিজেদের সক্রিয় দেখানোর চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ, নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক, সর্বদলীয় বৈঠক এবং সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে পাকিস্তানের আকাশপথ এড়িয়ে ফেরা—সবই তার প্রমাণ।

কিন্তু হিন্দুত্ববাদী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এই সুযোগে মুসলিমবিরোধী ঘৃণা ছড়াচ্ছে। তারা কাশ্মীরিদের টার্গেট করছে এবং প্রতিশোধের ডাক দিচ্ছে।

গত পাঁচ বছরের তথ্য বলছে, সন্ত্রাসবাদী হামলা এখনো থামেনি। বরং গত দুই বছরে বেসামরিক মৃত্যুর হার বেড়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, শুধু সামরিক পথ নয়, প্রয়োজনে সরকারকে আরও গভীর সামাজিক সমাধানের পথে হাঁটতে হবে।

অজয় আশীর্বাদ মহাপ্রশস্ত দ্য ওয়্যারের রাজনৈতিক সম্পাদক

দ্য ওয়্যার থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনূদিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাশ্মীরে সংঘাতের আসল সমস্যা কী