Risingbd:
2025-06-16@08:21:52 GMT

তবুও আফসোস নেই শরিফুলের

Published: 31st, January 2025 GMT

তবুও আফসোস নেই শরিফুলের

জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ কয়েকটা সিরিজ মোটেও ভালো কাটেনি পেসার  শরিফুল ইসলামের। বাদ পড়েন আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াড থেকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) ভালো যাচ্ছিল না। প্রথম ৯ ম্যাচে ওভারে প্রতি ৯ রান দিয়ে নিয়েছিলেন মাত্র ৮ উইকেট! 

সেই শরিফুল জ্বলে উঠলেন শেষে এসে। প্লে অফে ওঠার লড়াইয়ে নিজেকে আরেকবার চেনালেন চিটাগং কিংসের এই পেসার। বৃহস্পতিবার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৯৬ রানে হারিয়ে আসরের তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে চিটাগং কিংস।

 ৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন শরিফুল। বিপিএলে ৪ উইকেট নেওয়া কোনো বোলার এর আগে এত কম রান দেননি! 

আরো পড়ুন:

শরিফুলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, ৫ রানে ৪ উইকেট

বিপিএলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যুতে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’ 

এই ম্যাচে শরিফুলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর আফসোস বেড়ে যাওয়ার কথা। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সুযোগ পাননি এই ফাস্ট বোলার। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেই শরিফুল জানালেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ না পেয়ে তার কোন আফসোস নেই।

যা হওয়ার তা হয়েছে সেটা নিয়ে মোটেই ভাবছেন না শরিফুল। নেই কোন আফসোস। চিটাগাং কিংসের এই বাঁহাতি বিপিএলের পারফরম্যান্স সামনেও ধরে রাখতে চান। আগামীতে ভালো কিছু হবে বলেই বিশ্বাস করেন তিনি, “জানি না… তবে আফসোস নেই। আল্লাহ হয়তো ভালো কিছু কপালে লিখে রেখেছেন।”

বাস্তবতা মেনে নিয়ে শরিফুল মনোনিবেশ করছেন নিজের বোলিংয়ের দিকেই, “না না, খারাপ লাগছে না (দলে জায়গা না পেয়ে)। অনেক খুশি আমি, আল্লাহর ওপর ভরসা আছে।”

বিপিএলের শুরুর দিকে নিজের অস্ত্র ইনসুইং কাজ করছিল না। ঘাবড়ে না গিয়ে কাজ করেছেন কোচ শন টেইটের সঙ্গে। ফলও পেয়েছেন ইতিমধ্যে। 

“আসলেই শুরুতে হচ্ছিল না। আমি নিজেও পরে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কোচ তখন আমার সঙ্গে খুব পজিটিভ একটি মিটিং করেন। আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন। সঙ্গে নাসু (অ্যানালিস্ট নাসির আহমেদ) ভাইও। তারা বলেন যে, যত ম্যাচ যাবে, তত রিদম ফিরবে।”

“এসব নিয়েই কাজ করছিলাম। অনুশীলনে নতুন বলে বেশি বেশি বল করছিলাম। এখন আর ফিরতে পেরেছি।ইনজুরির কারণে এফোর্ট একটু কম হচ্ছিল। শরীর আগেই পড়ে যাচ্ছিল। এটাই অনুশীলনে চেষ্টা করছিলাম-আরও যোগ করেন শরিফুল।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল উইক ট করছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়

অভাগাদের বছরে ‘কুফা’ কাটানোর তালিকায় সর্বশেষ নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসে গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টেস্টের রাজদণ্ড হাতে পেয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। প্রোটিয়াদের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর শেষ হয়েছে।

তবে এর রেশ থাকতেই চলে এসেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর বা চক্র। ২০২৫-২৭ চক্রের শুরুটা হচ্ছে বাংলাদেশকে দিয়েই। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।

ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণে বাংলাদেশ প্রায় ২৫ বছর পার দিলেও রেকর্ড ভালো নয়। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসার পর থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ক্রমশ উন্নতির দিকে।

প্রথম চক্রে (২০১৯-২১) কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় চক্রে (২০২১-২৩) মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে বলার মতো কিছু নেই। প্রথম দুই চক্র শেষ করতে হয়েছে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে।

তবে তৃতীয় চক্রে (২০২৩-২৫) বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ আশাব্যঞ্জক। ১২ টেস্ট খেলে জিতেছে চারটিতে। এর মধ্যে গত বছর পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের সুখস্মৃতিও আছে। পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান ছিল সাত নম্বরে; পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপরে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশ খেলেছে ৩১ টেস্ট। জিতেছে পাঁচটি, ড্র করে দুটি আর হেরেছে ২৪টি।

এবার কী হবে? শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণীই শুনিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল। তিনি বলেছেন, ‘গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। লক্ষ্য থাকবে এই চক্রে কীভাবে আরও একটা-দুইটা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।’ সেটা কতটুকু সম্ভব, সময়ই বলে দেবে।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগের তিন চক্রের মতো এবারও অংশ নিচ্ছে ৯ দল। প্রত্যেক দল খেলবে ছয়টি করে সিরিজ—তিনটি নিজেদের মাঠে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। পয়েন্ট সিস্টেমেও কোনো পরিবর্তন আসেনি (জিতলে ১২, ড্র করলে ৪, টাই করলে ৬ পয়েন্ট)।

তবে এবার ম্যাচের সংখ্যা গত দুবারের চেয়ে একটি বেড়েছে। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭১টি, সিরিজ ২৭টি। প্রত্যেক সিরিজেই সর্বনিম্ন দুই ও সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ হবে।

চতুর্থ চক্রের ফাইনালও লর্ডসে আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ম্যাচ হবে ২০২৭ সালের জুনে। ফাইনালের আগে শেষ সিরিজ হবে সেই বছরের মার্চে; পাকিস্তানে দুটি টেস্ট খেলতে যাবে নিউজিল্যান্ড।

এবার সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। সবচেয়ে কম ১২টি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা, যাদের সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের চক্র। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ এই একটিই। নাজমুল-মুশফিক-তাইজুলদের বাকি পাঁচ সিরিজই ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। সব সিরিজেই দুটি করে ম্যাচ।

২০২৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ মার্চে, ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই বছরের আগস্টে দল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০০৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেটিই হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রথম টেস্ট সিরিজ।

এই চক্রে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সিরিজ খেলবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে; খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের মাসে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। বাংলাদেশের শেষ সিরিজ দেশের মাটিতেই; ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসবে ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর এটিই হবে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ।

অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো খবর হলো ২০২৫-২৭ চক্রে বাংলাদেশ যে ছয় দলের বিপক্ষে খেলবে, এর চারটির বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে তারা হারেনি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছে আর পাকিস্তানকে করেছে ধবলধোলাই (দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়)। সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কা আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন অধিনায়ক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তামিমের
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
  • ব্রাজিলে আলোকাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • ব্রাজিলে আলো কাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির 
  • কোচ কাবরেরার পদত্যাগ দাবি, অনিশ্চয়তায় ভবিষ্যৎ